১ হাজার ১৬১ কোটি টাকা দুর্নীতি: বিমানের ২১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জামিন শুনানি হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৩, ১৭: ১৮
আপডেট : ২৮ মে ২০২৩, ১৭: ৪৩

১ হাজার ১৬১ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাবেক ও বর্তমান ২১ কর্মকর্তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি। তাঁরা যেমন আছেন, তেমন থাকবেন আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আজ রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ আদেশ দিয়েছেন।

আদেশে বলা হয়েছে, ওই দিন আত্মসমর্পণ করা আসামিদের জামিনের আবেদনের ওপর আরও শুনানি গ্রহণ করা হবে। এরপর তাঁদের জামিনের বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে। আজ তাঁদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। আসামিদের পক্ষে শুনানির জন্য সময় চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করে পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। ৮ মে তিনজনের জামিন আবেদন শুনানি হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করে। 

এর আগে গত ১৫ মার্চ ২১ আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে ৮ মে পর্যন্ত আসামিরা যেমন ছিলেন তেমন থাকবেন নির্দেশ দিয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলায় আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট এই কর্মকর্তাদের জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং তাঁদের তিন সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের ওই নির্দেশনা অনুযায়ী ২১ জন জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিমানের সাবেক ফ্লাইট ক্যাপ্টেন (অপারেশন) ইশরাত আহমেদসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রথমে নিজেদের লাভের জন্য এবং পরে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে ইজিপ্ট এয়ারের দুটি উড়োজাহাজ ইজারা ও পুনরায় সরবরাহ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের ১ হাজার ১৬১ কোটি টাকা লোকসান করেন।

দুদক সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০১৪ সালে ইজিপ্ট এয়ারের কাছ থেকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে দুটি বোয়িং ৭-২০০ ইআর মডেলের উড়োজাহাজ ইজারা নেয়। প্রথম বছরের শেষে দুটি উড়োজাহাজেরই ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। ইঞ্জিনগুলো ১২ থেকে ১৫ বছরের পুরোনো ছিল।

উড়োজাহাজ সচল রাখার জন্য ইজিপ্ট এয়ারের কাছ থেকে আরেকটি ইঞ্জিন ইজারা নেওয়া হয়। দেড় বছর পর সেটিও নষ্ট হয়ে যায়। এতে পাঁচ বছরে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তদন্তে এসব তথ্য উঠে আসে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি প্রথমে বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং দুটি উড়োজাহাজ ইজারা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের খোঁজ পায়। পরে দুদককে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সুপারিশ করা হয়। এরপর দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করে দুদক। অনুসন্ধান শেষে দুদক এই মামলা করে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত