অন্যের এনআইডি দিয়ে টিকিট, ট্রেন ছাড়ার আগে ৩-৪ গুণ বেশি দামে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮: ০৫

রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে অথবা অনলাইনে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে টিকিট কাটত কালোবাজারি চক্রের সদস্যরা। এরপর ট্রেন ছাড়ার আগ মুহূর্তে কয়েক গুন বেশি দামে বিক্রি করত এসব টিকিট। ট্রেন ছাড়ার সময় যত কাছাকাছি আসত, টিকিটের দাম ততেই বাড়াত চক্রটি। 

র‍্যাব জানায়, গতকাল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কমলাপুর এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে পৃথক দুটি অভিযানে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের মূল হোতা উত্তম দাসসহ চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—উত্তম দাস (৩২), মো. ইলিয়াস (৫৯), মো. শাহ আলম (৩৪), ও মো. খোকন মিয়া (৫৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪২টি কালোবাজারি টিকিট, ৩ টি মোবাইল ফোন, একটি সিমকার্ড এবং নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। 

র‍্যাবের অধিনায়ক বলেন, রাজধানীর কমলাপুর এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনসহ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে অধিক মুনাফার আশায় ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির মাধ্যমে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ তৎপরতা চালিয়ে আসছে। কমলাপুর রেলস্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে অথবা অনলাইনে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে টিকিট কাটত কালোবাজারি চক্রের সদস্যরা। এর পর উত্তম দাসের নেতৃত্বে চক্রের সদস্যরা ট্রেন ছাড়ার ৩-৪ ঘণ্টা আগে কয়েক গুণ বেশি দামে টিকিট বিক্রি শুরু করত। ট্রেন ছাড়ার সময় যত কাছাকাছি আসত, ট্রেনের টিকিটের দাম ততই বাড়ত। 

আরিফ মহিউদ্দিন আরও বলেন, চক্রটি মূলত সোনার বাংলা, কালনী এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশিথা, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে থাকে। এই চক্রটির আরও সদস্য ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে ৫-৭ জন করে সদস্য রয়েছে। তারা এই ট্রেনগুলোর টিকিট সাধারণ যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে। 
 
র‍্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, চক্রের মূল হোতা উত্তম দাস রেলস্টেশনে কর্মরত অসাধু একটি চক্রের যোগসাজশে ২০১৮ সাল থেকে টিকিট কালোবাজারির ব্যবসা শুরু করে। উত্তম বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে জামিনে বের হয়ে আবারও একই কাজ করে আসছিলেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত