প্রতিনিধি, উত্তরা (ঢাকা)
রাজধানীর তুরাগে পুলিশের বিরুদ্ধে আবদুল খালেক (৪৫) নামের একজন ফল ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
তুরাগ থানাধীন পশ্চিম কালিয়ারটেকের রজমান মিয়ার বাসা থেকে রোববার (১৫ আগস্ট) সকালে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ওই ব্যবসায়ী হলেন রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন শাহবাজপুর গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে এবং বর্তমানের পশ্চিম কালিয়ারটেক এলাকার ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের কাঁচামালের আড়তে ফলের ব্যবসা করতেন।
ওই বাড়ির মালিক রমজানের স্ত্রী খাদিজা আক্তার আজকের পত্রিকাকে জানান, 'রমজান গত এক মাস ধরে দুই হাজার টাকায় ভাড়া থাকতেন। হঠাৎ করে গতকাল শনিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আড়ত থেকে বাসায় আসে। ফলমূল বিক্রির টাকাগুলো বিছানার ওপরই রাখে। এর কিছুক্ষণ পরই তুরাগ থানার দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ও হাসান নামের একজন সোর্স আসে খালেকের ঘরে। এই দুই কর্মকর্তা হলেন তুরাগ থানার এসআই শাহিনুর রহমান খান ও এএসআই মো. মমিনুল হক খান।'
তিনি বলেন, 'পুলিশ এসে তখন বলে-খালেক রুমে গাঁজা সেবন করছিল। তার কাছ থেকে গাঁজাও পাওয়া গেছে। এই বলে গামছা দিয়ে তার দুই হাত পেছনে বেঁধে ঘরের দরজা চাপিয়ে মারধর করে। পরে বিছানায় থাকা টাকাগুলো পুলিশ হাতে নিয়ে গুনে বলে প্রায় ৯ হাজার টাকা। পুলিশ থেকে থানায় নিয়ে যেতে চাইছিল। কিন্তু ইলমার মা'সহ বাড়ির অনেকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। তখন পুলিশ দাবি করে দুজনকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। পরে বিছানায় থাকা প্রায় ৯ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।'
খাদিজা বলেন, 'তখন খালেক দৌড়ে এসে আমাদের জানায় পুলিশ সব টাকা নিয়ে গেছে। তার সঙ্গে চা-সিগারেট খাওয়ারও কোন টাকা নেই। তখন আমরা পুলিশকে অনুরোধ করলে পুলিশ তাকে (খালেককে) ১০০ টাকা ফেরত দেয়।'
অতঃপর খালেক তাঁর রুমে রাতে ঘুমিয়ে পরে। অতঃপর আজ (রোববার) সকাল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে তাঁকে অচেতন অবস্থায় রুমে পরে থাকতে দেখে ভাড়াটিয়ারা ডাকাডাকি শুরু করে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বলেও জানিয়েছেন খাদিজা।
মরদেহ উদ্ধারের সময় তাঁর কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। সেই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম রয়েছে।
একই বাসার ভাড়াটিয়া ইলমার মা সাহেরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'বিকেল ৪টার আগে খালেকের রুমে দুজন পুলিশ ও একজন সোর্স ঢুকে। তখন পুলিশ দাবি করে খালেকের ঘর থেকে গাঁজা পাওয়া গেছে। তাই দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। এদিকে বিছানায় থাকা খালেকের টাকাগুলো পুলিশ নিয়ে নেন। সেই সঙ্গে খালেককেও মারধর করে। কিন্তু খালেকের কাছ থেকে যে গাঁজা পাওয়া গিয়েছিল, তা কাউকে দেখায় নাই। সেই সঙ্গে ওই রুমে কাউকে ঢুকতেও দেয় নাই। পরে টাকাগুলো নিয়ে পুলিশ চলে যায়। তখন খালেক দৌড়ে এসে আমাকে বলে-খালা আমার কাছে চা খাওয়ারও কোন টাকা নেই। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ খুচরা একশত টাকা তাকে দিয়ে দেয়।'
এদিকে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া ও আশপাশের লোকজনের দাবি, পুলিশের বেধড়ক মারধরের কারণেই ব্যবসায়ী খালেকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন তারা।'
এদিকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে নিহতের চাচা জান মোহাম্মদ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তুহিন বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পশ্চিম কালিয়ারটেক এলাকার একটি বাসায় মরদেহ পরে রয়েছে এমন খবরের ভিত্তিতে খালেকের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।' সুরতাল রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। ময়নাতদন্ত ইতিমধ্যেই কমপ্লিট হয়ে গেছে। এখন শুধু মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।'
অভিযোগ প্রসঙ্গে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'এমন একটি বিষয় শুনেছি। তবে মনে হচ্ছে স্বাভাবিক মৃত্যু। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মরদেহ পাঠানো হয়েছে। মারধরের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
গাঁজা পাওয়া গেছে এমন অভিযোগে টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়টি আমার জানা নেই।'
রাজধানীর তুরাগে পুলিশের বিরুদ্ধে আবদুল খালেক (৪৫) নামের একজন ফল ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
তুরাগ থানাধীন পশ্চিম কালিয়ারটেকের রজমান মিয়ার বাসা থেকে রোববার (১৫ আগস্ট) সকালে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ওই ব্যবসায়ী হলেন রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন শাহবাজপুর গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে এবং বর্তমানের পশ্চিম কালিয়ারটেক এলাকার ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের কাঁচামালের আড়তে ফলের ব্যবসা করতেন।
ওই বাড়ির মালিক রমজানের স্ত্রী খাদিজা আক্তার আজকের পত্রিকাকে জানান, 'রমজান গত এক মাস ধরে দুই হাজার টাকায় ভাড়া থাকতেন। হঠাৎ করে গতকাল শনিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আড়ত থেকে বাসায় আসে। ফলমূল বিক্রির টাকাগুলো বিছানার ওপরই রাখে। এর কিছুক্ষণ পরই তুরাগ থানার দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ও হাসান নামের একজন সোর্স আসে খালেকের ঘরে। এই দুই কর্মকর্তা হলেন তুরাগ থানার এসআই শাহিনুর রহমান খান ও এএসআই মো. মমিনুল হক খান।'
তিনি বলেন, 'পুলিশ এসে তখন বলে-খালেক রুমে গাঁজা সেবন করছিল। তার কাছ থেকে গাঁজাও পাওয়া গেছে। এই বলে গামছা দিয়ে তার দুই হাত পেছনে বেঁধে ঘরের দরজা চাপিয়ে মারধর করে। পরে বিছানায় থাকা টাকাগুলো পুলিশ হাতে নিয়ে গুনে বলে প্রায় ৯ হাজার টাকা। পুলিশ থেকে থানায় নিয়ে যেতে চাইছিল। কিন্তু ইলমার মা'সহ বাড়ির অনেকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। তখন পুলিশ দাবি করে দুজনকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। পরে বিছানায় থাকা প্রায় ৯ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।'
খাদিজা বলেন, 'তখন খালেক দৌড়ে এসে আমাদের জানায় পুলিশ সব টাকা নিয়ে গেছে। তার সঙ্গে চা-সিগারেট খাওয়ারও কোন টাকা নেই। তখন আমরা পুলিশকে অনুরোধ করলে পুলিশ তাকে (খালেককে) ১০০ টাকা ফেরত দেয়।'
অতঃপর খালেক তাঁর রুমে রাতে ঘুমিয়ে পরে। অতঃপর আজ (রোববার) সকাল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে তাঁকে অচেতন অবস্থায় রুমে পরে থাকতে দেখে ভাড়াটিয়ারা ডাকাডাকি শুরু করে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বলেও জানিয়েছেন খাদিজা।
মরদেহ উদ্ধারের সময় তাঁর কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। সেই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম রয়েছে।
একই বাসার ভাড়াটিয়া ইলমার মা সাহেরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'বিকেল ৪টার আগে খালেকের রুমে দুজন পুলিশ ও একজন সোর্স ঢুকে। তখন পুলিশ দাবি করে খালেকের ঘর থেকে গাঁজা পাওয়া গেছে। তাই দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। এদিকে বিছানায় থাকা খালেকের টাকাগুলো পুলিশ নিয়ে নেন। সেই সঙ্গে খালেককেও মারধর করে। কিন্তু খালেকের কাছ থেকে যে গাঁজা পাওয়া গিয়েছিল, তা কাউকে দেখায় নাই। সেই সঙ্গে ওই রুমে কাউকে ঢুকতেও দেয় নাই। পরে টাকাগুলো নিয়ে পুলিশ চলে যায়। তখন খালেক দৌড়ে এসে আমাকে বলে-খালা আমার কাছে চা খাওয়ারও কোন টাকা নেই। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ খুচরা একশত টাকা তাকে দিয়ে দেয়।'
এদিকে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া ও আশপাশের লোকজনের দাবি, পুলিশের বেধড়ক মারধরের কারণেই ব্যবসায়ী খালেকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন তারা।'
এদিকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে নিহতের চাচা জান মোহাম্মদ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তুহিন বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পশ্চিম কালিয়ারটেক এলাকার একটি বাসায় মরদেহ পরে রয়েছে এমন খবরের ভিত্তিতে খালেকের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।' সুরতাল রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। ময়নাতদন্ত ইতিমধ্যেই কমপ্লিট হয়ে গেছে। এখন শুধু মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।'
অভিযোগ প্রসঙ্গে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'এমন একটি বিষয় শুনেছি। তবে মনে হচ্ছে স্বাভাবিক মৃত্যু। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মরদেহ পাঠানো হয়েছে। মারধরের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
গাঁজা পাওয়া গেছে এমন অভিযোগে টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়টি আমার জানা নেই।'
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২২ দিন আগে