নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মুহূর্তেই কথার জালে মানুষকে আটকে ফেলেন তিনি। কী করে মানুষকে ভয় দেখাতে হয় তাও ভালো করে জানেন উচ্চশিক্ষিত, মেধাবী এই তরুণ। এসব–ই মূল পুঁজি মহিউদ্দিন মাহির। মাহি পড়াশোনা করেছেন চীনে। দেশে ফিরে দুই চীনা নাগরিকের সহায়তায় নিজের মেধা আর বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে বানিয়েছেন প্রতারণার ফাঁদ—‘র্যাপিড ক্যাশ’ নামে একটি অ্যাপ। শুধু দেশে নয়, ভারত ও পাকিস্তানেও এই অ্যাপ ব্যবহার করে চলছিল প্রতারণা। তবে মাহিরা খুব বেশি এগোতে পারেনি। ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে।
আজ বুধবার মহিউদ্দিন মাহির এই চক্রটি সম্পর্কে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিউ)। আজ দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিউ) প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সাইবার ক্রাইম উইংয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, র্যাপিড ক্যাশ একটি মোবাইল ফোন অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ৫০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দিত চক্রটি। সহজে ঋণ পাওয়ার আশায় মানুষও অ্যাপটি নিজেদের মোবাইলে ডাউনলোড করত। আর তখনই শুরু হত বিপত্তি। এই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে থাকা ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য হাতিয়ে নিত তারা। পরে ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে করা হত টাকা আদায়। এভাবে কয়েক দিনের মধ্যে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।
সম্প্রতি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় এক ভুক্তভোগী চক্রের হাতে প্রতারিত হয়ে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে মামলা তদন্তে চক্রটির সন্ধান পায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিউ)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ রোডের একটি কল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে এর পরিচালক মহিউদ্দিন মাহিসহ ২৬ জনকে আটক করেছে এটিউর সাইবার ক্রাইম উইং। তবে এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড দুই চীনা নাগরিককে পাওয়া যায়নি। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু কম্পিউটার ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।
এসপি ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, সাধারণ মানুষ ঋণ নেওয়ার জন্য অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর সব কন্টাক্ট নম্বর, গ্যালারির তথ্য, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয় চক্রটি। চক্রটির সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করা মহিউদ্দিন মাহি চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর পড়াশোনা করেছে। তিনি ভালো চীনা ভাষা বলতে পারেন। এই সুযোগে তাঁরা এই প্রতারণাটি করে আসছিল। বাংলাদেশে বসে তাঁরা প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকদের একইভাবে ঋণ দিয়ে প্রতারণা করত। তাঁরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদায় করত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ফারহানা ইয়াসমিন আরও বলেন, সহজে ঋণ দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলত চক্রটি। এরপর মোবাইলের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার নামে ভোটার আইডি ও ছবি নিত। গ্রাহকেরা এই কাজগুলো করার সময় চক্রটি কৌশলে মোবাইলের কল লিস্ট, গ্যালারির ছবি, ভিডিওসহ সব তথ্য হাতিয়ে নিত। এরপর ঋণ দেওয়ার পর উচ্চসুদে আদায় শুরু করত। কেউ দিতে আপত্তি জানালে তাঁকে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের হুমকি দিত। এই অ্যাপটি বানিয়েছে চীনারা। তাঁরা এটাকে এভাবেই বানিয়েছে যে ডাউনলোড করলেই সব তথ্য হাতিয়ে নেওয়া যেত।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অভিযানে আমরা দেখতে পাই একটি বাসার ভেতরে গোপনে তাঁরা এ কাজ করছেন। অফিসে কাজ করা তরুণ-তরুণীরা হিন্দি ও উর্দু ভাষায় ভারতীয় ও পাকিস্তানি নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। ভারত ও পাকিস্তানে একই অ্যাপ ভিন্ন নামে লোন দিচ্ছে। একইভাবে তাদের সঙ্গেও ঋণ দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। ৫০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণ দিয়েছে তারা। এর বিপরীতে তারা ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা আদায় করত। এ কাজ করা প্রত্যেক কর্মীকে ১২-১৫ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হত। পাশাপাশি গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারলে বোনাস দেওয়া হত। এর মাধ্যমে কর্মীরা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পেত। আমরা ধারণা করছি এই চক্রের আরও এমন কলসেন্টার রয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, মাহি উচ্চশিক্ষিত। তিনি চীনা ভাষায় অত্যন্ত দক্ষ। ক্রিপ্ট কারেন্সি কয়েন ব্যবসা সম্পর্কে তিনি জানেন। পাশাপাশি তিনি কথায় অনেক পটু। কীভাবে মানুষকে ভয় দেখাতে হবে, কি বললে টাকা আদায় করা যাবে তিনি সব জানেন। এমনকি তাঁর কর্মীদের ওপর প্রচণ্ড মানসিক চাপ সৃষ্টি করতেন গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে। টাকা আদায় করতে না পারলে কর্মীদের বের করে দিতেন।
তিনি জানান, আটক প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
মুহূর্তেই কথার জালে মানুষকে আটকে ফেলেন তিনি। কী করে মানুষকে ভয় দেখাতে হয় তাও ভালো করে জানেন উচ্চশিক্ষিত, মেধাবী এই তরুণ। এসব–ই মূল পুঁজি মহিউদ্দিন মাহির। মাহি পড়াশোনা করেছেন চীনে। দেশে ফিরে দুই চীনা নাগরিকের সহায়তায় নিজের মেধা আর বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে বানিয়েছেন প্রতারণার ফাঁদ—‘র্যাপিড ক্যাশ’ নামে একটি অ্যাপ। শুধু দেশে নয়, ভারত ও পাকিস্তানেও এই অ্যাপ ব্যবহার করে চলছিল প্রতারণা। তবে মাহিরা খুব বেশি এগোতে পারেনি। ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে।
আজ বুধবার মহিউদ্দিন মাহির এই চক্রটি সম্পর্কে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিউ)। আজ দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিউ) প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সাইবার ক্রাইম উইংয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, র্যাপিড ক্যাশ একটি মোবাইল ফোন অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ৫০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দিত চক্রটি। সহজে ঋণ পাওয়ার আশায় মানুষও অ্যাপটি নিজেদের মোবাইলে ডাউনলোড করত। আর তখনই শুরু হত বিপত্তি। এই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে থাকা ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য হাতিয়ে নিত তারা। পরে ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে করা হত টাকা আদায়। এভাবে কয়েক দিনের মধ্যে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।
সম্প্রতি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় এক ভুক্তভোগী চক্রের হাতে প্রতারিত হয়ে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে মামলা তদন্তে চক্রটির সন্ধান পায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিউ)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ রোডের একটি কল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে এর পরিচালক মহিউদ্দিন মাহিসহ ২৬ জনকে আটক করেছে এটিউর সাইবার ক্রাইম উইং। তবে এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড দুই চীনা নাগরিককে পাওয়া যায়নি। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু কম্পিউটার ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।
এসপি ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, সাধারণ মানুষ ঋণ নেওয়ার জন্য অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর সব কন্টাক্ট নম্বর, গ্যালারির তথ্য, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয় চক্রটি। চক্রটির সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করা মহিউদ্দিন মাহি চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর পড়াশোনা করেছে। তিনি ভালো চীনা ভাষা বলতে পারেন। এই সুযোগে তাঁরা এই প্রতারণাটি করে আসছিল। বাংলাদেশে বসে তাঁরা প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকদের একইভাবে ঋণ দিয়ে প্রতারণা করত। তাঁরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদায় করত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ফারহানা ইয়াসমিন আরও বলেন, সহজে ঋণ দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলত চক্রটি। এরপর মোবাইলের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার নামে ভোটার আইডি ও ছবি নিত। গ্রাহকেরা এই কাজগুলো করার সময় চক্রটি কৌশলে মোবাইলের কল লিস্ট, গ্যালারির ছবি, ভিডিওসহ সব তথ্য হাতিয়ে নিত। এরপর ঋণ দেওয়ার পর উচ্চসুদে আদায় শুরু করত। কেউ দিতে আপত্তি জানালে তাঁকে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের হুমকি দিত। এই অ্যাপটি বানিয়েছে চীনারা। তাঁরা এটাকে এভাবেই বানিয়েছে যে ডাউনলোড করলেই সব তথ্য হাতিয়ে নেওয়া যেত।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অভিযানে আমরা দেখতে পাই একটি বাসার ভেতরে গোপনে তাঁরা এ কাজ করছেন। অফিসে কাজ করা তরুণ-তরুণীরা হিন্দি ও উর্দু ভাষায় ভারতীয় ও পাকিস্তানি নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। ভারত ও পাকিস্তানে একই অ্যাপ ভিন্ন নামে লোন দিচ্ছে। একইভাবে তাদের সঙ্গেও ঋণ দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। ৫০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণ দিয়েছে তারা। এর বিপরীতে তারা ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা আদায় করত। এ কাজ করা প্রত্যেক কর্মীকে ১২-১৫ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হত। পাশাপাশি গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারলে বোনাস দেওয়া হত। এর মাধ্যমে কর্মীরা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পেত। আমরা ধারণা করছি এই চক্রের আরও এমন কলসেন্টার রয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, মাহি উচ্চশিক্ষিত। তিনি চীনা ভাষায় অত্যন্ত দক্ষ। ক্রিপ্ট কারেন্সি কয়েন ব্যবসা সম্পর্কে তিনি জানেন। পাশাপাশি তিনি কথায় অনেক পটু। কীভাবে মানুষকে ভয় দেখাতে হবে, কি বললে টাকা আদায় করা যাবে তিনি সব জানেন। এমনকি তাঁর কর্মীদের ওপর প্রচণ্ড মানসিক চাপ সৃষ্টি করতেন গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে। টাকা আদায় করতে না পারলে কর্মীদের বের করে দিতেন।
তিনি জানান, আটক প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২২ দিন আগে