নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আবরার ফাহাদ থাকতেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে। একই কক্ষে থাকতেন ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান। মিজানুর রহমানের নাম মামলার এজাহারে না থাকলেও তদন্তে জানা যায়, আবরার হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ও সূচনাকারী ছিলেন মিজানুর রহমান। আবরার হত্যার দুই দিন আগে মিজানুর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিনকে বলেন, আবরারকে তাঁর শিবির বলে সন্দেহ হয়। এরপর ওই দিনই তাঁরা আবরারের খোঁজ করেন। কিন্তু ওই সময় আবরার তাঁর নিজ বাড়ি কুষ্টিয়ায় ছিলেন। এরপর আসামিরা কয়েক দফা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা আবরারকে ধরবেন।
এরপর ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় হোসেন মোহাম্মদ তোহা ও শামসুল আরেফীন ইফতি মোশাররফসহ অন্য আসামিদের জানান, আবরার গ্রামের বাড়ি থেকে হলে এসেছেন। এই খবর পাওয়ার পর তাঁরা সবাই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে একত্রিত হন। রাত ৮টার দিকে মেহেদী হাসান ওরফে রবিন ও ইফতি মোশাররফের নির্দেশে এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম, মুনতাসির আল জেমি, এ এস এম নাজমুস সাদাত আবুজার মিলে আবরারের কক্ষে (১০১১) যান। আবরার তখন ঘুমাচ্ছিলেন। তানিম আবরারকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে বলেন, ‘বড় ভাইয়েরা তোকে ডাকছে। ২০১১ নম্বর রুমে যেতে হবে।’
আবরার কখন এবং কেন যেতে হবে জানতে চাইলে তানিম বলেন, `গেলেই দেখতে পাবি।'
তখন তাঁরা আবরারের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসহ তাঁকে ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। ওই রুমে যাওয়ার পর তাবাখখারুল, ইফতি মোশাররফ ও মুজতবা রাফিদ আবরারের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চেক করতে থাকেন। একজন বলেন, আবরারের মোবাইলে শিবিরের তথ্য পাওয়া গেছে। তখনই মেহেদী হাসান ওরফে রবিন রেগে যান। তখন রবিন আবরারকে তাঁর চোখ থেকে চশমা খুলে ফেলতে নির্দেশ দেন। আবরার চশমা খোলার পর রবিন প্রচণ্ড জোরে তাঁর মুখে কয়েকটি থাপ্পড় মারেন।
এরই মধ্যে মোরশেদ অমর্ত্য ইসলাম কাঠের তৈরি শক্ত ক্রিকেট স্টাম্প নিয়ে আসেন। এরপর ইফতি মোশাররফ প্রথমে জোরে থাপ্পড় মারেন আবরারকে এবং ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে আবরারের পিঠে, পায়ে, হাতেসহ বিভিন্ন স্থানে জোরে আঘাত করতে থাকেন। প্রচণ্ড মারধরের কারণে ক্রিকেট স্ট্যাম্প ভেঙে দুই ভাগ হয়ে যায়। তখন এহতেশামুল রাব্বি ও তানিম আরও একটি ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে আসেন। এরপর অনিক সরকার স্টাম্প দিয়ে একাধারে আবরারের সারা শরীরে ৫০ থেকে ৬০টি আঘাত করেন। এতে আবরার মেঝেতে পড়ে যান।
আবরার মেঝেতে পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে মুজাহিদুল ইসলাম ও শামিম বিল্লা স্কিপিং রোপ (মোটা দড়ি) দিয়ে আবরারকে দুই থেকে তিনটি আঘাত করেন। আবরার ফাহাদ তখন বাঁচার জন্য আকুতি-মিনতি করতে থাকেন। কিন্তু তাতেও তাঁর রক্ষা হয়নি। বরং মিফতাহুল ইসলাম ওরফে জীয়ন স্টাম্প দিয়ে আবরারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে সর্বশক্তি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। বারবার জানতে চান, আবরার শিবির করেন কি না।
পুনরায় ইফতি মোশাররফ ও অনিক সরকার আবরারকে স্ট্যাম্প দিয়ে পেটাতে থাকেন। হাতের কনুই দিয়ে আবরারের পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করেন। তখন সবাই মিলে প্রচণ্ড শক্তিতে আবরারকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি চড়-থাপ্পড় লাথি মারতে থাকেন।
এরপর রাত ১১টায় ওই কক্ষে এসে হাজির হন এস এম মাহমুদ ওরফে সেতু। আবরারের ব্যাপারে উপস্থিত অন্যদের কাছ থেকে তিনি জানতে চান। তখন অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ ও মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ‘আবরার কোনো তথ্য দিচ্ছে না।’ তখন মাহমুদ ওরফে সেতু অন্যদের বলে যান, ‘মারতে থাক।’ এমন নির্দেশনার পর আবরারকে আবার স্টাম্প, স্কিপিং রোপ দিয়ে মারা হয়।
আবার ইফতি মোশাররফ ও অনিক সরকার আববারকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পেটাতে থাকেন। হাতের কনুই দিয়ে আবরারের পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করেন। তখন সবাই মিলে প্রচণ্ড শক্তিতে আবরারকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পড়, লাথি মারতে থাকেন। এরপর ওই কক্ষ থেকে বের হওয়ার আগে অনিক সরকার ও মেহেদী হাসান ওরফে রবিন অন্যদের বলে যান, ‘তোরা আবরারের কাছ থেকে তথ্য বের কর।’ তখন মনিরুজ্জামান মনির বলেন, তিনি আবরারের মোবাইল চেক করে শিবিরের তথ্য পেয়েছেন। এরপর মনিরুজ্জামান ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আবরারকে পেটাতে থাকেন। তাবাখখারুল, নাজমুস সাদাত, এহতেশামুল রাব্বী ওরফে তানিম, মুনতাসির আল জেমি আবরারকে চড়-থাপ্পড় মারেন। বাইরে থেকে আবারও ওই কক্ষে ঢুকে অনিক সরকার স্টাম্প দিয়ে আবরারকে প্রচণ্ড জোরে আরও ৪০ থেকে ৫০টি আঘাত করেন। তখন আবরার বমি ও প্রস্রাব করে দেন। বাঁচার জন্য ইশারা-ইঙ্গিতে কাকুতি-মিনতি করেন। এমন অবস্থায় আবরারকে হলের বাথরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ধুয়েমুছে আবরার ফাহাদের জামা কাপড় বদলানো হয়।
এরপর ইফতি মোশাররফ ও মেহেদী হাসানের নির্দেশে নাজমুস সাদাত, শামীম বিল্লাহ, শামসুল আরেফিন, আকাশ, মোয়াজ আবু হোরায়রা, মুনতাসির আল জেমি ও এহতেশামুল রাব্বি আবরারকে ধরাধরি করে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। ইফতি মোশাররফ হলের মেসবয় জাহিদ হাসানকে ডেকে আনেন। ২০১১ নম্বর কক্ষটি তাঁকে দিয়ে পরিষ্কার করানো হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আবরার ফাহাদকে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নেওয়ার পর ইফতি মোশাররফ অন্যদের বলেন, ‘তোরা এবার আবরারের কাছ থেকে তথ্য বের কর, বুয়েটে কে কে শিবির করে।’ তখন মোয়াজ আবু হোরায়রা ও অমর্ত্য ইসলাম আবরারের মুমূর্ষু অবস্থা দেখে মেহেদি হাসান ওরফে রবিনকে জানান, ‘আবরারকে হাসপাতালে নিতে হবে।’ এই কথা শোনার পর মেহেদি হাসান ওরফে রবিন বলেন, ‘ও নাটক করছে। শিবির চেনস না। শিবির চেনা কষ্ট।’ রাত আড়াইটার সময় ইফতি মোশাররফ, মুজাহিদ, তাবাখখারুল ও তোহা মিলে আবরারকে তোশকে করে হলের দোতালার সিঁড়িতে রাখেন।
এরপর আসামিরা বুয়েটের চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনেন। চিকিৎসক আবরারের দেহ পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবরারকে হত্যার পর ক্রিকেট স্টাম্প, তোশক, বালিশ, আবরারের ল্যাপটপ, চাপাতি হলের ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদের কক্ষে নিয়ে রেখে দেওয়া হয়। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল ও সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ ওই হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে অপরাধ ঘটাতে সার্বিক সহায়তা করেন। আবরারের মরদেহ হলের নিচে নামানোর পর তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল বুয়েটের চিকিৎসকের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ ও সহায়তায় শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে তাঁকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন।
আবরার ফাহাদ থাকতেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে। একই কক্ষে থাকতেন ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান। মিজানুর রহমানের নাম মামলার এজাহারে না থাকলেও তদন্তে জানা যায়, আবরার হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ও সূচনাকারী ছিলেন মিজানুর রহমান। আবরার হত্যার দুই দিন আগে মিজানুর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিনকে বলেন, আবরারকে তাঁর শিবির বলে সন্দেহ হয়। এরপর ওই দিনই তাঁরা আবরারের খোঁজ করেন। কিন্তু ওই সময় আবরার তাঁর নিজ বাড়ি কুষ্টিয়ায় ছিলেন। এরপর আসামিরা কয়েক দফা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা আবরারকে ধরবেন।
এরপর ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় হোসেন মোহাম্মদ তোহা ও শামসুল আরেফীন ইফতি মোশাররফসহ অন্য আসামিদের জানান, আবরার গ্রামের বাড়ি থেকে হলে এসেছেন। এই খবর পাওয়ার পর তাঁরা সবাই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে একত্রিত হন। রাত ৮টার দিকে মেহেদী হাসান ওরফে রবিন ও ইফতি মোশাররফের নির্দেশে এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম, মুনতাসির আল জেমি, এ এস এম নাজমুস সাদাত আবুজার মিলে আবরারের কক্ষে (১০১১) যান। আবরার তখন ঘুমাচ্ছিলেন। তানিম আবরারকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে বলেন, ‘বড় ভাইয়েরা তোকে ডাকছে। ২০১১ নম্বর রুমে যেতে হবে।’
আবরার কখন এবং কেন যেতে হবে জানতে চাইলে তানিম বলেন, `গেলেই দেখতে পাবি।'
তখন তাঁরা আবরারের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসহ তাঁকে ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। ওই রুমে যাওয়ার পর তাবাখখারুল, ইফতি মোশাররফ ও মুজতবা রাফিদ আবরারের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চেক করতে থাকেন। একজন বলেন, আবরারের মোবাইলে শিবিরের তথ্য পাওয়া গেছে। তখনই মেহেদী হাসান ওরফে রবিন রেগে যান। তখন রবিন আবরারকে তাঁর চোখ থেকে চশমা খুলে ফেলতে নির্দেশ দেন। আবরার চশমা খোলার পর রবিন প্রচণ্ড জোরে তাঁর মুখে কয়েকটি থাপ্পড় মারেন।
এরই মধ্যে মোরশেদ অমর্ত্য ইসলাম কাঠের তৈরি শক্ত ক্রিকেট স্টাম্প নিয়ে আসেন। এরপর ইফতি মোশাররফ প্রথমে জোরে থাপ্পড় মারেন আবরারকে এবং ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে আবরারের পিঠে, পায়ে, হাতেসহ বিভিন্ন স্থানে জোরে আঘাত করতে থাকেন। প্রচণ্ড মারধরের কারণে ক্রিকেট স্ট্যাম্প ভেঙে দুই ভাগ হয়ে যায়। তখন এহতেশামুল রাব্বি ও তানিম আরও একটি ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে আসেন। এরপর অনিক সরকার স্টাম্প দিয়ে একাধারে আবরারের সারা শরীরে ৫০ থেকে ৬০টি আঘাত করেন। এতে আবরার মেঝেতে পড়ে যান।
আবরার মেঝেতে পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে মুজাহিদুল ইসলাম ও শামিম বিল্লা স্কিপিং রোপ (মোটা দড়ি) দিয়ে আবরারকে দুই থেকে তিনটি আঘাত করেন। আবরার ফাহাদ তখন বাঁচার জন্য আকুতি-মিনতি করতে থাকেন। কিন্তু তাতেও তাঁর রক্ষা হয়নি। বরং মিফতাহুল ইসলাম ওরফে জীয়ন স্টাম্প দিয়ে আবরারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে সর্বশক্তি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। বারবার জানতে চান, আবরার শিবির করেন কি না।
পুনরায় ইফতি মোশাররফ ও অনিক সরকার আবরারকে স্ট্যাম্প দিয়ে পেটাতে থাকেন। হাতের কনুই দিয়ে আবরারের পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করেন। তখন সবাই মিলে প্রচণ্ড শক্তিতে আবরারকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি চড়-থাপ্পড় লাথি মারতে থাকেন।
এরপর রাত ১১টায় ওই কক্ষে এসে হাজির হন এস এম মাহমুদ ওরফে সেতু। আবরারের ব্যাপারে উপস্থিত অন্যদের কাছ থেকে তিনি জানতে চান। তখন অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ ও মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ‘আবরার কোনো তথ্য দিচ্ছে না।’ তখন মাহমুদ ওরফে সেতু অন্যদের বলে যান, ‘মারতে থাক।’ এমন নির্দেশনার পর আবরারকে আবার স্টাম্প, স্কিপিং রোপ দিয়ে মারা হয়।
আবার ইফতি মোশাররফ ও অনিক সরকার আববারকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পেটাতে থাকেন। হাতের কনুই দিয়ে আবরারের পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করেন। তখন সবাই মিলে প্রচণ্ড শক্তিতে আবরারকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পড়, লাথি মারতে থাকেন। এরপর ওই কক্ষ থেকে বের হওয়ার আগে অনিক সরকার ও মেহেদী হাসান ওরফে রবিন অন্যদের বলে যান, ‘তোরা আবরারের কাছ থেকে তথ্য বের কর।’ তখন মনিরুজ্জামান মনির বলেন, তিনি আবরারের মোবাইল চেক করে শিবিরের তথ্য পেয়েছেন। এরপর মনিরুজ্জামান ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আবরারকে পেটাতে থাকেন। তাবাখখারুল, নাজমুস সাদাত, এহতেশামুল রাব্বী ওরফে তানিম, মুনতাসির আল জেমি আবরারকে চড়-থাপ্পড় মারেন। বাইরে থেকে আবারও ওই কক্ষে ঢুকে অনিক সরকার স্টাম্প দিয়ে আবরারকে প্রচণ্ড জোরে আরও ৪০ থেকে ৫০টি আঘাত করেন। তখন আবরার বমি ও প্রস্রাব করে দেন। বাঁচার জন্য ইশারা-ইঙ্গিতে কাকুতি-মিনতি করেন। এমন অবস্থায় আবরারকে হলের বাথরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ধুয়েমুছে আবরার ফাহাদের জামা কাপড় বদলানো হয়।
এরপর ইফতি মোশাররফ ও মেহেদী হাসানের নির্দেশে নাজমুস সাদাত, শামীম বিল্লাহ, শামসুল আরেফিন, আকাশ, মোয়াজ আবু হোরায়রা, মুনতাসির আল জেমি ও এহতেশামুল রাব্বি আবরারকে ধরাধরি করে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। ইফতি মোশাররফ হলের মেসবয় জাহিদ হাসানকে ডেকে আনেন। ২০১১ নম্বর কক্ষটি তাঁকে দিয়ে পরিষ্কার করানো হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আবরার ফাহাদকে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নেওয়ার পর ইফতি মোশাররফ অন্যদের বলেন, ‘তোরা এবার আবরারের কাছ থেকে তথ্য বের কর, বুয়েটে কে কে শিবির করে।’ তখন মোয়াজ আবু হোরায়রা ও অমর্ত্য ইসলাম আবরারের মুমূর্ষু অবস্থা দেখে মেহেদি হাসান ওরফে রবিনকে জানান, ‘আবরারকে হাসপাতালে নিতে হবে।’ এই কথা শোনার পর মেহেদি হাসান ওরফে রবিন বলেন, ‘ও নাটক করছে। শিবির চেনস না। শিবির চেনা কষ্ট।’ রাত আড়াইটার সময় ইফতি মোশাররফ, মুজাহিদ, তাবাখখারুল ও তোহা মিলে আবরারকে তোশকে করে হলের দোতালার সিঁড়িতে রাখেন।
এরপর আসামিরা বুয়েটের চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনেন। চিকিৎসক আবরারের দেহ পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবরারকে হত্যার পর ক্রিকেট স্টাম্প, তোশক, বালিশ, আবরারের ল্যাপটপ, চাপাতি হলের ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদের কক্ষে নিয়ে রেখে দেওয়া হয়। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল ও সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ ওই হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে অপরাধ ঘটাতে সার্বিক সহায়তা করেন। আবরারের মরদেহ হলের নিচে নামানোর পর তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল বুয়েটের চিকিৎসকের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ ও সহায়তায় শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে তাঁকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে