ধর্ষণের অভিযোগ হয়ে গেল ধর্ষণচেষ্টা, দাবি পরিবারের

নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ২১: ০৪
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ২৩: ৫৭

নরসিংদীর বেলাবতে ঘরে ঢুকে পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বেলাব থানায় অভিযুক্ত মেরাজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার দাবি ভুক্তভোগীর পরিবারের। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগের চার দিন পর গতকাল সোমবার ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে। 

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দেওয়ানের চর নামের গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তের বিচার দাবি করে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। 

অভিযুক্ত মেরাজ বেলাব উপজেলার দেওয়ানের চর গ্রামের গাংকুলপাড়ার চাঁন মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত মেরাজ ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। 

নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা জানান, ঘটনার দিন রাতে ওই শিশুকে বাড়িতে রেখে পাশের একটি মাজারে যান পরিবারের সদস্যেরা। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রাত ৯টার দিকে অভিযুক্ত মেরাজ মিয়া জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত মেরাজ পালিয়ে যান। 

ঘটনার পর রাতেই বেলাব থানায় মেরাজকে অভিযুক্ত করে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, লিখিত অভিযোগ দেওয়ার চার দিনেও মামলা গ্রহণ করেনি বেলাব থানা-পুলিশ। মামলা না নিয়ে ঘটনার সাক্ষী নিয়ে আসার কথা জানিয়ে সময়ক্ষেপণ করা হয়। এমনকি শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়ারও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত রোববার বিকেলে নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। শিশুটি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। 

পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ ও মামলা গ্রহণ না করার বিষয়ে জানতে বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে তথ্য না দিয়ে ফোন কেটে দেন। 

সোমবার বিকেলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তদন্তের পর এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে। তাঁরা যেভাবে অভিযোগ দিয়েছেন, সেভাবেই মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মেরাজ মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া অভিযোগের সঙ্গে পুলিশের মামলার মিল নেই বলে জানিয়েছেন নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা। তিনি বলেন, ‘চার দিন পর মামলা নেওয়া হলেও আমরা যেভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, সেভাবে মামলা নেওয়া হয়নি। আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। আমার মেয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত