রাজধানীর উত্তরখানের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী একরামুল ইসলাম শিবলুকে (৩৫) গ্রেপ্তারের পর এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে উত্তরখানের বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। 

উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উত্তরখান থানাধীন মৈনারটেকের গোবিন্দপুর তেতুলতলা থেকে গত রোববার সন্ত্রাসী ও মাদক চোরাকারবারী একরামুল ইসলাম শিবলুকে গ্রেপ্তার করে এসআই জহিরুল ইসলাম ও এএসআই নাজমুল হাসান। গ্রেপ্তারকালে গাড়ি থেকে ১১০ পিচ ইয়াবা ও ২০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় উত্তরখান থানায় একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, শিবলুর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। শিবলুকে গ্রেপ্তারের পর উত্তরখানের মানুষ আনন্দে মৈনারটেক, উজামপুর ও মাউসাঈদ এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছে। শিবলু কিশোর গ্যাং লিডার বলেও দাবি করে ওসি মজিদ। 

উত্তরখানের মৈনারটেক ও উজামপুর এলাকাবাসী আজকের পত্রিকাকে জানায়, মৈনারটেক ও এর আশেপাশের এলাকায় কেউ ঘর বাড়ি নির্মাণ করতে গেলেই শিবলুকে চাঁদা দেওয়া লাগতো। কেউ জায়গা জমি কিনলে তাঁর কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করত শিবলু। শুধু তাই’ই নয়, এলাকার কিশোর গ্যাং নিয়ে মাদক কারবারসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতাও ছিল সে। 

এদিকে উত্তরার বিভিন্ন থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া শিবলুর বিরুদ্ধে উত্তরাখান থানায় ২০১৫ সালে একটি হত্যা মামলা, মামলা নং-১৬ (২) ১৫) ; ২০০৯ সালে তুরাগ থানায় একটি অস্ত্র মামলা, মামলা নং-১২ (৫) ১৯; ২০১৩ সালে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মাদক মামলা, মামলা নং-১০ (১০) ১৩; ও ২০১৫ সালে গাজীপুরের কাপাসিয়া থানায় একটি মাদক মামলা, মামলা নং-৩ (০১) ১৫' রয়েছে। এছাড়াও উত্তরখান থানায় ইয়াবা-হেরোইনসহ গ্রেপ্তারের পর গত ২৯ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। 

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে শিবলু একজন নারীকে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়াও ২০১৯ সালের মৈনারটেক এলাকায় সোহেল নামের এক যুবকের দুই হাতে কেটে ফেলে। বর্তমানে সোহেল মৈনারটেক বাজার এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে করুণ অবস্থায় জীবন যাপন করছেন।