আব্দুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা
ঢাকার তুলনামূলকভাবে নতুন পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা আফতাবনগরে প্রতিনিয়ত চলছে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ। অবকাঠামো নির্মাণ আবাসিক প্রকল্পের অনিবার্য অংশ হলেও সতর্কতার অভাবে বিষয়টি এলাকার বাসিন্দাদের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্মাণ-সংক্রান্ত কাজকর্মের পাশাপাশি নির্মাণসামগ্রী বহনকারী যানগুলো শব্দ ও ধুলা উৎপাদন করে চলেছে নিরন্তর। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ ব্যক্তিরাসহ সবাই রয়েছেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
সুবিধাজনক অবস্থান ও ভাড়া তুলনামূলকভাবে আয়ত্তের মধ্যে থাকায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির অনেক মানুষের ঠিকানা হয়ে উঠেছে আফতাবনগর। অনেকেই কিছুটা নিরিবিলি ও খোলামেলা স্থান হিসেবেও পছন্দ করেন এ এলাকাটিকে। কিন্তু ধুলা ও শব্দদূষণ তাঁদের স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে। ধুলাজনিত শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার কারণে অনেক পরিবারেই চিকিৎসার খরচ নতুন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নির্মাণ কাজের আইন না মানা এবং কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাব এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ু ও শব্দদূষণ স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ সমস্যা মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
রামপুরা থেকে বাড্ডার দিকে যেতে হাতের ডানদিকে আফতাবনগরে প্রবেশ করার ফটক। গত বুধবার এলাকাটিতে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা ও আশপাশের অবকাঠামো ও গাছগুলোতে মোটা ধুলার আস্তরণ। একটু ভেতরে ঢুকলে পাইলিং ও অন্যান্য নির্মাণ যন্ত্রপাতির প্রচণ্ড শব্দ। চারদিক ধুলায় ধূসরিত। সড়কের পাশে উন্মুক্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে বালু। একটু জোর বাতাসেই তা ছড়িয়ে পড়ছে। নিয়ম অনুযায়ী বালু ঢেকে রাখার কথা থাকলেও এসব নিয়ম মানছে না বেশির ভাগ আবাসন নির্মাণপ্রতিষ্ঠান।
এফ-ব্লকের বাসিন্দা নুজহাত আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘তীব্র শব্দের কারণে কাজে মনোযোগ দেওয়া যায় না। কখনো দিনের বেলা একটু বিশ্রাম নিতে চাইলে তাও সম্ভব হয় না। আর ধুলাবালুর কারণে আমার নিজের ও মায়ের হাঁচি-কাশি লেগেই থাকে।’
এফ-ব্লকের মাদ্রাসাতুল মানার নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশেই চলছে কয়েকটি ভবনের নির্মাণকাজ। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আবদুর রহিম মাহমুদ বলেন, রাতে ট্রাকে করে নির্মাণসামগ্রী এনে নামানো হয়। সে সময় অনেক শব্দ হয়। প্রায়ই গভীর রাতে উচ্চশব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে এ কাজ চলছে।
জি-ব্লকের মুখের টং দোকানি আসমত মিয়া বলেন, ‘এত ধুলাবালু চারদিকে, জিনিসপত্র বারবার মোছা লাগে। ধুলায় অনেক সময় খাবার নষ্ট হয়ে যায়।’
বছরখানেক ধরে আফতাবনগরে অটোরিকশা চালাচ্ছেন ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ‘ধুলার কারণে এলাকায় আসার পর থেকেই সর্দি-কাশি লাইগা থাকে। ওষুধ খাইলে দু-এক দিন ভালো থাকি। আবার শুরু হয়। যে পরিমাণ ধুলা, মাস্ক পরলেও রক্ষা নাই।’
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব এ বিষয়ে বলেন, ঢাকা মহানগরীজুড়ে ভয়ংকর বায়ু ও শব্দদূষণ চলছে। ইমারতগুলো যথাযথভাবে নির্মিত হচ্ছে কি না, এটা দেখার দায়িত্ব যেমন রাজউকের, তেমনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্ব শব্দ ও বায়ুদূষণের ঘনঘটার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ভুক্তভোগী জনগণের যেন এ বিষয়ে কোথাও অভিযোগ করার জায়গা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের এ বিষয়ে কোনো ধরনের বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন বা কল সেন্টার গঠনের কোনো উদ্যোগ নেই।’
পরামর্শ দিয়ে ইকবাল হাবিব বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও রাজউক দুই সিটি করপোরেশনকে সঙ্গে নিয়ে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। নির্মাণকাজের জায়গায় ৪০ ডেসিবেলের বেশি মাত্রার শব্দ সৃষ্টি না করা এবং নির্মাণকাজের স্থান চারদিক থেকে বেষ্টিত করে রাখা জরুরি। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ট্রাফিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার কারণে নির্মাণসামগ্রী বহনকারী বড় বড় ট্রাক রাত ছাড়া শহরে ঢুকতে পারে না।
ফলে সেগুলো রাতেই মাল পরিবহন করে এবং তীব্র শব্দ সৃষ্টি করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।’
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাতাসের ধুলাবালু নিশ্বাসের সঙ্গে ঢুকে ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য রোগবালাই হয়। শিশু এবং বৃদ্ধরা এ ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ছাড়া শব্দদূষণের ফলে আমাদের কানে শোনার ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। দীর্ঘদিন বায়ুদূষণের শিকার হলে নারীদের গর্ভের সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়ে।’
ঢাকার তুলনামূলকভাবে নতুন পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা আফতাবনগরে প্রতিনিয়ত চলছে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ। অবকাঠামো নির্মাণ আবাসিক প্রকল্পের অনিবার্য অংশ হলেও সতর্কতার অভাবে বিষয়টি এলাকার বাসিন্দাদের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্মাণ-সংক্রান্ত কাজকর্মের পাশাপাশি নির্মাণসামগ্রী বহনকারী যানগুলো শব্দ ও ধুলা উৎপাদন করে চলেছে নিরন্তর। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ ব্যক্তিরাসহ সবাই রয়েছেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
সুবিধাজনক অবস্থান ও ভাড়া তুলনামূলকভাবে আয়ত্তের মধ্যে থাকায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির অনেক মানুষের ঠিকানা হয়ে উঠেছে আফতাবনগর। অনেকেই কিছুটা নিরিবিলি ও খোলামেলা স্থান হিসেবেও পছন্দ করেন এ এলাকাটিকে। কিন্তু ধুলা ও শব্দদূষণ তাঁদের স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে। ধুলাজনিত শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার কারণে অনেক পরিবারেই চিকিৎসার খরচ নতুন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নির্মাণ কাজের আইন না মানা এবং কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাব এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ু ও শব্দদূষণ স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ সমস্যা মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
রামপুরা থেকে বাড্ডার দিকে যেতে হাতের ডানদিকে আফতাবনগরে প্রবেশ করার ফটক। গত বুধবার এলাকাটিতে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা ও আশপাশের অবকাঠামো ও গাছগুলোতে মোটা ধুলার আস্তরণ। একটু ভেতরে ঢুকলে পাইলিং ও অন্যান্য নির্মাণ যন্ত্রপাতির প্রচণ্ড শব্দ। চারদিক ধুলায় ধূসরিত। সড়কের পাশে উন্মুক্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে বালু। একটু জোর বাতাসেই তা ছড়িয়ে পড়ছে। নিয়ম অনুযায়ী বালু ঢেকে রাখার কথা থাকলেও এসব নিয়ম মানছে না বেশির ভাগ আবাসন নির্মাণপ্রতিষ্ঠান।
এফ-ব্লকের বাসিন্দা নুজহাত আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘তীব্র শব্দের কারণে কাজে মনোযোগ দেওয়া যায় না। কখনো দিনের বেলা একটু বিশ্রাম নিতে চাইলে তাও সম্ভব হয় না। আর ধুলাবালুর কারণে আমার নিজের ও মায়ের হাঁচি-কাশি লেগেই থাকে।’
এফ-ব্লকের মাদ্রাসাতুল মানার নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশেই চলছে কয়েকটি ভবনের নির্মাণকাজ। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আবদুর রহিম মাহমুদ বলেন, রাতে ট্রাকে করে নির্মাণসামগ্রী এনে নামানো হয়। সে সময় অনেক শব্দ হয়। প্রায়ই গভীর রাতে উচ্চশব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে এ কাজ চলছে।
জি-ব্লকের মুখের টং দোকানি আসমত মিয়া বলেন, ‘এত ধুলাবালু চারদিকে, জিনিসপত্র বারবার মোছা লাগে। ধুলায় অনেক সময় খাবার নষ্ট হয়ে যায়।’
বছরখানেক ধরে আফতাবনগরে অটোরিকশা চালাচ্ছেন ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ‘ধুলার কারণে এলাকায় আসার পর থেকেই সর্দি-কাশি লাইগা থাকে। ওষুধ খাইলে দু-এক দিন ভালো থাকি। আবার শুরু হয়। যে পরিমাণ ধুলা, মাস্ক পরলেও রক্ষা নাই।’
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব এ বিষয়ে বলেন, ঢাকা মহানগরীজুড়ে ভয়ংকর বায়ু ও শব্দদূষণ চলছে। ইমারতগুলো যথাযথভাবে নির্মিত হচ্ছে কি না, এটা দেখার দায়িত্ব যেমন রাজউকের, তেমনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্ব শব্দ ও বায়ুদূষণের ঘনঘটার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ভুক্তভোগী জনগণের যেন এ বিষয়ে কোথাও অভিযোগ করার জায়গা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের এ বিষয়ে কোনো ধরনের বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন বা কল সেন্টার গঠনের কোনো উদ্যোগ নেই।’
পরামর্শ দিয়ে ইকবাল হাবিব বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও রাজউক দুই সিটি করপোরেশনকে সঙ্গে নিয়ে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। নির্মাণকাজের জায়গায় ৪০ ডেসিবেলের বেশি মাত্রার শব্দ সৃষ্টি না করা এবং নির্মাণকাজের স্থান চারদিক থেকে বেষ্টিত করে রাখা জরুরি। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ট্রাফিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার কারণে নির্মাণসামগ্রী বহনকারী বড় বড় ট্রাক রাত ছাড়া শহরে ঢুকতে পারে না।
ফলে সেগুলো রাতেই মাল পরিবহন করে এবং তীব্র শব্দ সৃষ্টি করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।’
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাতাসের ধুলাবালু নিশ্বাসের সঙ্গে ঢুকে ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য রোগবালাই হয়। শিশু এবং বৃদ্ধরা এ ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ছাড়া শব্দদূষণের ফলে আমাদের কানে শোনার ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। দীর্ঘদিন বায়ুদূষণের শিকার হলে নারীদের গর্ভের সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়ে।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪