অভিনেত্রী শাওনের সঙ্গে প্রতারণা, গ্রেপ্তার রবিউল একদিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২২, ১৭: ১৭

প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার রবিউল ইসলামকে একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

আজ শুক্রবার বিকেলে আসামি রবিউলকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর আগে গত মে মাসের প্রথম দিকে এক ব্যক্তি নিজেকে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া পরিচয় দিয়ে শাওনকে ফোন করে জানান, নুহাশ পল্লীর উন্নয়ন বাবদ অস্ট্রেলিয়া থেকে বড় অঙ্কের একটি ফান্ড এসেছে, যা বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা আছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিবের মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। শাওন ওই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে অন্য প্রান্ত থেকে নিজেকে উপ-সচিব পরিচয় দিয়ে ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য সরকারি ফি বাবদ ৩১ হাজার ৮৫০ টাকা দিতে বলেন। সেই ফাঁদে পা দেন শাওন। টাকা দিয়ে প্রতারিত হন। 

একপর্যায়ে প্রতারকের নম্বর বন্ধ পেয়ে বিষয়টি বুঝতে পেরে নুহাশ পল্লীর ম্যানেজার বাদী হয়ে গত ১২ মে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। এরপর ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ তদন্ত করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. রবিউল ইসলাম (৪১) নামের ওই প্রতারককে গত বুধবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করা চারটি সিমকার্ড জব্দ করে ডিবি। 

এডিসি নাজমুল হক বলেন, বিভিন্ন কৌশলে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নম্বর সংগ্রহ করত রবিউল। পরবর্তীতে ওই নম্বরে কল করে নিজেকে বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশিসহ অন্যান্য সংসদ সদস্য বলে দাবি করত। পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে বিদেশি অনুদান এসেছে বলে জানাত। এরপর অনুদান পেতে হলে সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স ও প্রসেসিং ফি বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দিতে বলত। প্রতারক রবিউল ইসলাম ২০১৯ সাল থেকে এভাবে প্রতারণা করে আসছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিত। দীর্ঘ দিন ধরে সমাজের বিশিষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল রবিউল। 
 
গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রতারক রবিউল ইসলামের নামে আরও বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত তিনটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। আরও মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

এদিকে অনলাইন ও মোবাইল ফোনে কারও পরিচয়ে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতার পরামর্শ দিয়ে নাজমুল হক বলেন, অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া কোনো লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়া। কোথাও লেনদেনের আগে তার সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে লেনদেন করা উচিত। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত