নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা, আদালতে স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩, ২২: ১১
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৩, ২২: ৩৬

‘যৌতুকের জন্য মারধর করা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল স্বামী শামীম মিয়ার (৪০)। নির্যাতন সইতে না পেরে তাঁকে খুন করি।’ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন স্ত্রী বানু বেগম। 

আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করেন। 

দুপুরের পর বানু বেগমকে আদালতে হাজির করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। এরপর বানু স্বেচ্ছায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মতিউর রহমান। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বানু বেগম জবানবন্দিতে আরও বলেছেন তিনি নিজে খুন করেছেন এবং নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দিয়েছেন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে জাতীয় হেল্পলাইন ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে ফোন দেন বানু বেগম। খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। 

শামীমের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার ছেলে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে—এ খবর আমরা জানতাম না। আগের ঘরে ছোট ছোট তিনটি সন্তান রয়েছে। মুক্তাগাছা এলাকায় আমার ছেলের বালুমাটির ব্যবসা রয়েছে।’ 

শামীমের বাবা আরও বলেন, ‘পাশের এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে শুনেছি। পরে আমরা মেয়েটিকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে জানায়, শামীমের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ এই মেয়েই আমার ছেলেকে ফুসলিয়ে ঢাকায় এনে হত্যা করেছে।’ 

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নিহত শামীমের দ্বিতীয় স্ত্রী বানু। তাঁরা দুই-তিন মাস আগে বিয়ে করে। কয়েক দিন আগে এই বাসায় ওঠে। তাঁদের কোনো সন্তান নেই। নিহতের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানেরা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে থাকে। গ্রেপ্তার বানু বেগমেরও আগে সংসার ও সন্তান রয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত