ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি
গত শনিবার (২৫ মার্চ) বিজয় একাত্তর হলের সামনে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনার পর আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীকে নিয়ে গঠিত প্রলয় গ্যাং। এবার গত বছরের আগস্টে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ হোসাইনকে মারধরেও এই গ্যাং জড়িত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা এভাবে বিভিন্নজনকে মারধরের গল্প গর্বভরেই বলে বেড়ান বলে জানাচ্ছেন তাঁদের বন্ধুরা।
গত শনিবার রাত ৮টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের (হল চত্বর) সামনে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে মারধর করেন প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যরা। মূলত শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়েই বেরিয়ে আসে প্রলয় গ্যাং নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এখন জানা যাচ্ছে, গত বছরের ৮ আগস্ট ঢামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন ডা. সাজ্জাদ হোসাইনকে মারধরের ঘটনায়ও এই গ্যাং সদস্যরা জড়িত।
এই গ্যাং সদস্যদের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা বন্ধুদের কাছে ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের কথা ‘গর্ব’ করে বলতেন। তাঁরা বলতেন, ইন্টার্নকে মেরেছি, কেউ তো কিছু করতে পারেনি, পারবেও না। ক্যাম্পাসে যা ইচ্ছে করব। একসময় নেতারা (ছাত্রলীগের) আমাদের ডাকবে, নিজেদের প্রয়োজনে। সামনে নির্বাচন তখন নেতাদের আমাদের লাগবে!
গ্যাং থেকে বেরিয়ে আসা একাধিক শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদককে এমন তথ্য দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্যাং সদস্যদের এক বন্ধু বলেন, গ্যাংয়ের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ফয়সাল আহমেদ সাকিব ঢামেকের ইন্টার্ন ডা. সাজ্জাদের মুখে লাথি মারেন। উপর্যুপরি চড়-থাপ্পড় কিল-ঘুষি মারেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের তবারক মিয়া। এরপর এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন কবি জসীমউদ্দীন হল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদ এবং একই হলের রহমান জিয়া, ফিন্যান্স বিভাগের মোশারফ হোসেন, বঙ্গবন্ধু হলের মুরসালীন আহমেদ ফাইয়াজ। সবাই তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, সেদিন (৮ আগস্ট, ২০২২) শহিদ মিনারে ডা. সাজ্জাদ হোসেন একা বসা ছিলেন। এ সময় প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যরা গিয়ে তাঁর পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। আইডি কার্ড না দেখানোয় একপর্যায়ে তাঁকে মারধর শুরু করেন তাঁরা। সেদিন গ্যাংয়ের সব সদস্য একসঙ্গে ছিলেন।
প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যদের ছবি দেখালে ডা. সাজ্জাদ হোসাইন তাঁদের কয়েকজনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। ছবি দেখে প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্য, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী তবারক মিয়াও ওই সময় উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানান ডা. সাজ্জাদ।
তিনি বলেন, ‘তবারকের এক বড় ভাইসহ আমাকে বলে সে খুব অসহায়, তাকে ফাঁসাতে নাম দেওয়া হয়েছে—পরে আমি তাই মনে করছিলাম, এখন গণমাধ্যমের সংবাদ দেখে মনে হচ্ছে, তবারক অপরাধী। ঢাবি মেডিকল সেন্টারের বিপরীত পাশেই এ ঘটনা ঘটেছিল। তাদের কার্যালয় যেহেতু ঢাবি মেডিকেলের তৃতীয় তলায়, সব দিক থেকে আমার সন্দেহ হচ্ছে, এরাই আমাকে মারধর করেছে।’
প্রলয় গ্যাংয়ের বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘জোবায়েরকে মারধরের মামলায় তদন্ত চলমান। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি দেখছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে।’
উল্লেখ্য, শহীদ মিনারে ডা. সাজ্জাদকে মারধরের ঘটনায় ওই সময় শাহাবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও আজও এর কোনো অগ্রগতি হয়নি। ওই ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতিও পালন করেছিল।
গত শনিবারে বিজয় একাত্তর হলের সামনে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় আলোচনায় আসা প্রলয় গ্যাং নিয়ে আলোচনা শুরু হলে গত বছরের ওই ঘটনাও নতুন করে সামনে এসেছে। প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যদের বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করে ইন্টার্ন সাজ্জাদকে মারধরের সঙ্গেও এই গ্যাং সদস্যরা জড়িত বলে তথ্য-প্রমাণ মিলছে।
এদিকে শনিবার রাতে প্রলয় গ্যাংয়ের হাতে মারধরের শিকার জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনের মা সাদিয়া আফরোজ খান বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৬/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছেন। গ্যাংয়ের সদস্য সাকিব ফেরদৌস ও নাইমুর রহমান দুর্জয়কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও খবর পড়ুন:
গত শনিবার (২৫ মার্চ) বিজয় একাত্তর হলের সামনে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনার পর আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীকে নিয়ে গঠিত প্রলয় গ্যাং। এবার গত বছরের আগস্টে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ হোসাইনকে মারধরেও এই গ্যাং জড়িত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা এভাবে বিভিন্নজনকে মারধরের গল্প গর্বভরেই বলে বেড়ান বলে জানাচ্ছেন তাঁদের বন্ধুরা।
গত শনিবার রাত ৮টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের (হল চত্বর) সামনে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে মারধর করেন প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যরা। মূলত শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়েই বেরিয়ে আসে প্রলয় গ্যাং নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এখন জানা যাচ্ছে, গত বছরের ৮ আগস্ট ঢামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন ডা. সাজ্জাদ হোসাইনকে মারধরের ঘটনায়ও এই গ্যাং সদস্যরা জড়িত।
এই গ্যাং সদস্যদের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা বন্ধুদের কাছে ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের কথা ‘গর্ব’ করে বলতেন। তাঁরা বলতেন, ইন্টার্নকে মেরেছি, কেউ তো কিছু করতে পারেনি, পারবেও না। ক্যাম্পাসে যা ইচ্ছে করব। একসময় নেতারা (ছাত্রলীগের) আমাদের ডাকবে, নিজেদের প্রয়োজনে। সামনে নির্বাচন তখন নেতাদের আমাদের লাগবে!
গ্যাং থেকে বেরিয়ে আসা একাধিক শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদককে এমন তথ্য দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্যাং সদস্যদের এক বন্ধু বলেন, গ্যাংয়ের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ফয়সাল আহমেদ সাকিব ঢামেকের ইন্টার্ন ডা. সাজ্জাদের মুখে লাথি মারেন। উপর্যুপরি চড়-থাপ্পড় কিল-ঘুষি মারেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের তবারক মিয়া। এরপর এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন কবি জসীমউদ্দীন হল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদ এবং একই হলের রহমান জিয়া, ফিন্যান্স বিভাগের মোশারফ হোসেন, বঙ্গবন্ধু হলের মুরসালীন আহমেদ ফাইয়াজ। সবাই তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, সেদিন (৮ আগস্ট, ২০২২) শহিদ মিনারে ডা. সাজ্জাদ হোসেন একা বসা ছিলেন। এ সময় প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যরা গিয়ে তাঁর পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। আইডি কার্ড না দেখানোয় একপর্যায়ে তাঁকে মারধর শুরু করেন তাঁরা। সেদিন গ্যাংয়ের সব সদস্য একসঙ্গে ছিলেন।
প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যদের ছবি দেখালে ডা. সাজ্জাদ হোসাইন তাঁদের কয়েকজনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। ছবি দেখে প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্য, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী তবারক মিয়াও ওই সময় উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানান ডা. সাজ্জাদ।
তিনি বলেন, ‘তবারকের এক বড় ভাইসহ আমাকে বলে সে খুব অসহায়, তাকে ফাঁসাতে নাম দেওয়া হয়েছে—পরে আমি তাই মনে করছিলাম, এখন গণমাধ্যমের সংবাদ দেখে মনে হচ্ছে, তবারক অপরাধী। ঢাবি মেডিকল সেন্টারের বিপরীত পাশেই এ ঘটনা ঘটেছিল। তাদের কার্যালয় যেহেতু ঢাবি মেডিকেলের তৃতীয় তলায়, সব দিক থেকে আমার সন্দেহ হচ্ছে, এরাই আমাকে মারধর করেছে।’
প্রলয় গ্যাংয়ের বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘জোবায়েরকে মারধরের মামলায় তদন্ত চলমান। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি দেখছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে।’
উল্লেখ্য, শহীদ মিনারে ডা. সাজ্জাদকে মারধরের ঘটনায় ওই সময় শাহাবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও আজও এর কোনো অগ্রগতি হয়নি। ওই ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতিও পালন করেছিল।
গত শনিবারে বিজয় একাত্তর হলের সামনে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় আলোচনায় আসা প্রলয় গ্যাং নিয়ে আলোচনা শুরু হলে গত বছরের ওই ঘটনাও নতুন করে সামনে এসেছে। প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যদের বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করে ইন্টার্ন সাজ্জাদকে মারধরের সঙ্গেও এই গ্যাং সদস্যরা জড়িত বলে তথ্য-প্রমাণ মিলছে।
এদিকে শনিবার রাতে প্রলয় গ্যাংয়ের হাতে মারধরের শিকার জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনের মা সাদিয়া আফরোজ খান বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৬/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছেন। গ্যাংয়ের সদস্য সাকিব ফেরদৌস ও নাইমুর রহমান দুর্জয়কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও খবর পড়ুন:
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২৩ দিন আগে