আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশাশুনিতে মরিচ্চাপ নদের ওপর নির্মিত দুটি সেতু ও একটি কালভার্ট ধসে পড়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্যাংদহা আবাসন প্রকল্পের কাছে নির্মিত কালভার্ট গত নভেম্বরে ধসে পড়ে। তার দক্ষিণে বেউলা সেতু ধসে পড়ে ৩ বছর আগে। বেউলা সেতুর আরও দক্ষিণে কামালকাটি সেতু ধসে পড়েছে গত সেপ্টেম্বরে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মরিচ্চাপ নদ খনন হয় গড়ে ১৬০ ফুট চওড়া করে।
আর সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল মাত্র ৬০ ফুট লম্বা করে। ফলে খননের কিছুদিনের মধ্যে ধসে পড়েছে সেতু ও কালভার্ট।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আশাশুনির কুন্দুড়িয়া-বাঁকড়ার সংযোগস্থলে মরিচ্চাপ নদের ওপর ৫৪ লাখ ৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬০ মিটার বেউলা সেতু নির্মাণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় কামালকাটি সেতু।
জানা গেছে, আশাশুনির শোভনালী ইউনিয়নের বাঁকড়া, শরাফপুরসহ ৬টি গ্রাম, সদর উপজেলার ব্যাংদহাসহ ৪টি গ্রাম, বুধহাটা ইউনিয়নের কুন্দুড়িয়া, হাজীডাঙ্গা, শ্বেতপুরসহ ৬টি গ্রাম এবং সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা উপজেলার কয়েক লাখ লোক চলাচল করে এসব কালভার্ট ও সেতু দিয়ে। এগুলো ধসে পড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের হাফিজউদ্দীন বলেন, ‘এই সেতু ভেঙে পড়ার কারণে আমাদের চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতে সমস্যা হয়। জোয়ারের সময় তো আরও সমস্যা হয়। তাড়াতাড়ি সেতুটি নির্মিত হলে ছেলেমেয়েরা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারবে।’
আশাশুনি উপজেলার শ্বেতপুর গ্রামের কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘মরিচ্চাপের ওপর দুটি সেতু ও একটি কালভার্ট আছে। সবগুলোর বেহাল দশা। এখানে ৭-৮টি গ্রাম আছে। আমাদের যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্যে খুব ক্ষতি হচ্ছে। আমরা দ্রুত সংস্কার চাই।’
একই উপজেলার কামালকাটি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে যে স্কুল
আছে, তার ৪০ শতাংশ ছেলেমেয়ে এই সেতু পার হয়ে স্কুলে যায়। দীর্ঘদিন এটি বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। অভিভাবক ও আমরা সন্তানদের নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।’
আশাশুনি উপজেলার কামালকাটি গ্রামের অরবিন্দু রায় বলেন, ‘সম্প্রতি ডুবে যাওয়া সেতু পার হতে গিয়ে পিলারের বাড়ি খেয়ে আমার হাটুমালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৫-১৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে সুস্থ হতে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সেতু ও কালভার্টগুলো যদিও আমাদের নির্মিত নয়। তবুও জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বরাদ্দের জন্য পত্র পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা যাবে।’
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। নদী খননে প্রশস্ততা বেড়ে যাওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। আমি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বলেছি পদক্ষেপ নিতে। তাঁর উদ্যোগে ইতিমধ্যে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।’
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশাশুনিতে মরিচ্চাপ নদের ওপর নির্মিত দুটি সেতু ও একটি কালভার্ট ধসে পড়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্যাংদহা আবাসন প্রকল্পের কাছে নির্মিত কালভার্ট গত নভেম্বরে ধসে পড়ে। তার দক্ষিণে বেউলা সেতু ধসে পড়ে ৩ বছর আগে। বেউলা সেতুর আরও দক্ষিণে কামালকাটি সেতু ধসে পড়েছে গত সেপ্টেম্বরে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মরিচ্চাপ নদ খনন হয় গড়ে ১৬০ ফুট চওড়া করে।
আর সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল মাত্র ৬০ ফুট লম্বা করে। ফলে খননের কিছুদিনের মধ্যে ধসে পড়েছে সেতু ও কালভার্ট।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আশাশুনির কুন্দুড়িয়া-বাঁকড়ার সংযোগস্থলে মরিচ্চাপ নদের ওপর ৫৪ লাখ ৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬০ মিটার বেউলা সেতু নির্মাণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় কামালকাটি সেতু।
জানা গেছে, আশাশুনির শোভনালী ইউনিয়নের বাঁকড়া, শরাফপুরসহ ৬টি গ্রাম, সদর উপজেলার ব্যাংদহাসহ ৪টি গ্রাম, বুধহাটা ইউনিয়নের কুন্দুড়িয়া, হাজীডাঙ্গা, শ্বেতপুরসহ ৬টি গ্রাম এবং সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা উপজেলার কয়েক লাখ লোক চলাচল করে এসব কালভার্ট ও সেতু দিয়ে। এগুলো ধসে পড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের হাফিজউদ্দীন বলেন, ‘এই সেতু ভেঙে পড়ার কারণে আমাদের চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতে সমস্যা হয়। জোয়ারের সময় তো আরও সমস্যা হয়। তাড়াতাড়ি সেতুটি নির্মিত হলে ছেলেমেয়েরা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারবে।’
আশাশুনি উপজেলার শ্বেতপুর গ্রামের কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘মরিচ্চাপের ওপর দুটি সেতু ও একটি কালভার্ট আছে। সবগুলোর বেহাল দশা। এখানে ৭-৮টি গ্রাম আছে। আমাদের যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্যে খুব ক্ষতি হচ্ছে। আমরা দ্রুত সংস্কার চাই।’
একই উপজেলার কামালকাটি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে যে স্কুল
আছে, তার ৪০ শতাংশ ছেলেমেয়ে এই সেতু পার হয়ে স্কুলে যায়। দীর্ঘদিন এটি বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। অভিভাবক ও আমরা সন্তানদের নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।’
আশাশুনি উপজেলার কামালকাটি গ্রামের অরবিন্দু রায় বলেন, ‘সম্প্রতি ডুবে যাওয়া সেতু পার হতে গিয়ে পিলারের বাড়ি খেয়ে আমার হাটুমালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৫-১৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে সুস্থ হতে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সেতু ও কালভার্টগুলো যদিও আমাদের নির্মিত নয়। তবুও জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বরাদ্দের জন্য পত্র পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা যাবে।’
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। নদী খননে প্রশস্ততা বেড়ে যাওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। আমি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বলেছি পদক্ষেপ নিতে। তাঁর উদ্যোগে ইতিমধ্যে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪