নান্দাইলে নির্বাচনে হেরে ৯ বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ 

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ২০: ০০

ময়মনসিংহের নান্দাইলে পরাজিত সাধারণ সদস্যপদ প্রার্থী আব্দুল জব্বারের সমর্থকেরা বাহাদুরপুর গ্রামের ৯টি বাড়ি, একটি মোটরসাইকেল ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচনে আব্দুল জব্বার পরাজিত হয়। এতে ক্ষিপ্ত আব্দুল জব্বারের সমর্থিত ৪০-৪৫ জন আজ সকালে বাহাদুরপুর গ্রামের ৯টি বাড়ি, একটি মোটরসাইকেল ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং হামলা চালান। এ সময় ষাঁড়, গাভি, টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যান তাঁরা। বাদল মিয়ার স্ত্রী নাছিমা খাতুনকে (৪০) রামদা দিয়ে মাথায় কোপ দেওয়া হয়। আহত অবস্থায় নাছিমা খাতুনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

পরাজিত প্রার্থী আব্দুল জব্বারের সমর্থকেরা মো. কাজল মিয়া নামে একজনের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া বাদল মিয়ার দুটি ষাঁড়, একটি গাভি ও দুটি সাইকেলসহ আনুমানিক ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। দেলোয়ার হোসেনের একটি গাভি, একটি ষাঁড় ও ঘরে থাকা ৩ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। সুরুজ আলী নামে অপর একজনের দুটি গাভি যার মূল্য এক লাখ টাকা, দুটি সাইকেল ও ঘরে থাকা ২ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এ সময় সুরুজ আলীর রান্না ঘরের চুলা ভাঙচুর করেছে।

ভুক্তভোগী ফাতেমা খাতুন নামে একজন বলেন, আমি ঘরে পিঠা বানাচ্ছিলাম। এমন সময় ২০-২৫ জন লোক এসে আমার চুলার হাঁড়িতে থাকা পিঠা ফেলে দিয়ে বাসন ভাঙচুর করে চলে যায়।

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, খেতে মাটি কাটছিলাম। পরে হামলার খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যুবকেরা মহড়া দিচ্ছেন।

শামছুন্নাহার নামে আরেকজন বলেন, আমাকে রামদা দিয়ে আঘাত করছে চাইছিল। কিন্তু আমি সরে গেছি। কয়েকজন আমার পাশের ঘরের গোয়ালে থাকা বড় দুটি ষাঁড় নিয়ে গেছেন। 

হারিছ মিয়া বলেন, আমার ঘরের বাক্স খুলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন। তাঁরা আবার আসবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। 

ভাঙচুর ও লুটের বিষয়ে কথা বলতে আব্দুল জব্বারের মোবাইলে কল করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

ভুক্তভোগী কাজল মিয়া বলেন, আমরা সবাই টিউবওয়েলের কাজ করি। আজ সকালে সবাই কাজে চলে গিয়েছিলাম। এ সুযোগে পরাজিত আব্দুল জব্বারের লোকজন এসে হামলা চালিয়েছেন। খবর পেয়ে বাড়িতে এসে এ অবস্থা দেখি। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল দেই। পুলিশ আসলে হামলাকারীরা চলে যান। 
 
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বাবুল বলেন, হামলার ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এমন ঘটনা কাম্য নয়। 

এ ব্যাপারে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে এএসআইন হারুন ও কনস্টেবল মোজাম্মেল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত