নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
গত ২৪ জুলাই (রোববার) শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার একটি গ্রাম থেকে বিদ্যালয়ে বৃত্তির টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় এক কিশোরী (১৬)। নিখোঁজের দুই দিন পর গত মঙ্গলবার ‘খুঁজলেও লাভ হবে না, শি ইজ ডেড’ লেখা একটি পোস্টসহ ওই কিশোরীর মুখ বাঁধা একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তবে এই ঘটনার মূল রহস্য উন্মোচন করেছে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ। নিখোঁজের সাত দিন পর গতকাল শনিবার বিকেলে গাজীপুরের হোতাপাড়া থেকে ওই কিশোরীসহ তাঁর প্রেমিককে (২০) উদ্ধার করে রাতে থানায় নিয়ে আসা হয়।
উদ্ধারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরী পুলিশকে বলে, ‘অপহরণের পুরো ঘটনা ছিল পরিকল্পিত। আমাকে অপহরণ করা হয়নি বা হত্যার চেষ্টাও করা হয়নি। প্রেমের টানে আমি স্বেচ্ছায় প্রেমিকের বাড়ি চলে গিয়েছিলাম।’
পুলিশ, এলাকাবাসী ও মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওই কিশোরী (১৬) এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত ২৪ জুলাই সকাল ১০টার দিকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে কিশোরীর মায়ের মোবাইল ফোনে দুইবার কল আসে। ফোনে জানানো হয়, এলাকার এমপির বৃত্তির টাকা দেওয়া হবে। পরে মা তাঁর মেয়েকে ডেকে স্কুলে পাঠান। সন্ধ্যা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফিরলে তার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো জবাব আসেনি। কল না ধরায় এবং মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারটি দুশ্চিন্তায় পড়ে। পরে তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, স্কুলে কোনো বৃত্তির টাকা দেওয়া হয়নি। এরপর আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও কিশোরীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে কিশোরীর বাবা গত সোমবার রাতে নালিতাবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গত মঙ্গলবার বিষয়টি জামালপুর র্যাব-১৪-কেও জানানো হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে নিখোঁজ কিশোরীর ফেসবুক আইডির স্টোরিতে তার মুখ বাঁধা একটি ছবি পোস্ট করা হয়। সেখানে ওই কিশোরী মৃত বলে জানানো হয়। এ বিষয়ে কিশোরীর এক বান্ধবী (১৬) বলে, ‘মেসেঞ্জার স্টোরিতে ছবিটা দেখে ওই আইডিতে কল করি। ওপাশ থেকে দুজন পুরুষের কথা শুনতে পাই। আমার সঙ্গে ৪৯ সেকেন্ড কথা হয়। তারা বলে, আমার বান্ধবী আর বেঁচে নেই।’
উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে ওই কিশোরী বলে, প্রায় সাত মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় গাজীপুরের মাহাদী মৃধা রানা নামে এক যুবকের সঙ্গে। ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় বিপত্তি বাঁধে। পরিণয় ঘটাতে সাজানো হয় অপহরণের নাটক। পরে গত ২৪ জুলাই সকালে ওই কিশোরীর পরিকল্পনা অনুযায়ী মাহাদী তার মায়ের মোবাইলে ফোন করেন এবং শিক্ষক পরিচয়ে বিদ্যালয়ে বৃত্তির টাকা বিতরণের কথা বলেন।
ওই দিন সকাল ১০ টার দিকে নিজের কাছে থাকা ১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ের নাম করে গাজীপুরে প্রেমিকের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয় কিশোরী। বিকেলে প্রেমিকের বাড়ি পৌঁছায়।
পরদিন (সোমবার) গাজীপুর জজ কোর্টে প্রথমে অ্যাফিডেভিট করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে কিশোরী। প্রেমিকের নামের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখা হয় তাবাচ্ছুম মৃধা। একই দিন তারা বিয়ে করে।
ওই কিশোরী পুলিশকে বলে, ‘আমি স্বেচ্ছায় ধর্ম ত্যাগ করে বিয়ে করেছি। পরিবার যেন আমায় খোঁজার চেষ্টা না করে তাই আমি ইচ্ছা করে আমার মুখ বেঁধে একটি সেলফি তুলে ছবি পোস্ট করেছিলাম। আমার আইডির স্টোরিতে নিজেই লিখেছিলাম— (কিশোরীর নাম) না খোঁজাই ভালো। খুঁজলেও লাভ হবে না। শি ইউজ ডেড।’
এই খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কিশোরীকে খুঁজতে থাকে থানা পুলিশ ও র্যাব। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত শুক্রবার রাতে গাজীপুর চলে যায় থানা পুলিশের একটি দল। শনিবার দুপুরে গাজীপুরের হোতাপাড়ায় মাহাদীর বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে এবং বাড়ির কাছ থেকে মাহাদীকে আটক করে থানা পুলিশ। রাতে তাদের নালিতাবাড়ী থানায় নিয়ে আসা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করেছিলাম এটি অপহরণ নয়, প্রেমঘটিত ঘটনা। কিশোরীকে উদ্ধারের পর এর সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই কিশোরী অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ২৪ জুলাই (রোববার) শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার একটি গ্রাম থেকে বিদ্যালয়ে বৃত্তির টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় এক কিশোরী (১৬)। নিখোঁজের দুই দিন পর গত মঙ্গলবার ‘খুঁজলেও লাভ হবে না, শি ইজ ডেড’ লেখা একটি পোস্টসহ ওই কিশোরীর মুখ বাঁধা একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তবে এই ঘটনার মূল রহস্য উন্মোচন করেছে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ। নিখোঁজের সাত দিন পর গতকাল শনিবার বিকেলে গাজীপুরের হোতাপাড়া থেকে ওই কিশোরীসহ তাঁর প্রেমিককে (২০) উদ্ধার করে রাতে থানায় নিয়ে আসা হয়।
উদ্ধারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরী পুলিশকে বলে, ‘অপহরণের পুরো ঘটনা ছিল পরিকল্পিত। আমাকে অপহরণ করা হয়নি বা হত্যার চেষ্টাও করা হয়নি। প্রেমের টানে আমি স্বেচ্ছায় প্রেমিকের বাড়ি চলে গিয়েছিলাম।’
পুলিশ, এলাকাবাসী ও মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওই কিশোরী (১৬) এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত ২৪ জুলাই সকাল ১০টার দিকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে কিশোরীর মায়ের মোবাইল ফোনে দুইবার কল আসে। ফোনে জানানো হয়, এলাকার এমপির বৃত্তির টাকা দেওয়া হবে। পরে মা তাঁর মেয়েকে ডেকে স্কুলে পাঠান। সন্ধ্যা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফিরলে তার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো জবাব আসেনি। কল না ধরায় এবং মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারটি দুশ্চিন্তায় পড়ে। পরে তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, স্কুলে কোনো বৃত্তির টাকা দেওয়া হয়নি। এরপর আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও কিশোরীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে কিশোরীর বাবা গত সোমবার রাতে নালিতাবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গত মঙ্গলবার বিষয়টি জামালপুর র্যাব-১৪-কেও জানানো হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে নিখোঁজ কিশোরীর ফেসবুক আইডির স্টোরিতে তার মুখ বাঁধা একটি ছবি পোস্ট করা হয়। সেখানে ওই কিশোরী মৃত বলে জানানো হয়। এ বিষয়ে কিশোরীর এক বান্ধবী (১৬) বলে, ‘মেসেঞ্জার স্টোরিতে ছবিটা দেখে ওই আইডিতে কল করি। ওপাশ থেকে দুজন পুরুষের কথা শুনতে পাই। আমার সঙ্গে ৪৯ সেকেন্ড কথা হয়। তারা বলে, আমার বান্ধবী আর বেঁচে নেই।’
উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে ওই কিশোরী বলে, প্রায় সাত মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় গাজীপুরের মাহাদী মৃধা রানা নামে এক যুবকের সঙ্গে। ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় বিপত্তি বাঁধে। পরিণয় ঘটাতে সাজানো হয় অপহরণের নাটক। পরে গত ২৪ জুলাই সকালে ওই কিশোরীর পরিকল্পনা অনুযায়ী মাহাদী তার মায়ের মোবাইলে ফোন করেন এবং শিক্ষক পরিচয়ে বিদ্যালয়ে বৃত্তির টাকা বিতরণের কথা বলেন।
ওই দিন সকাল ১০ টার দিকে নিজের কাছে থাকা ১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ের নাম করে গাজীপুরে প্রেমিকের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয় কিশোরী। বিকেলে প্রেমিকের বাড়ি পৌঁছায়।
পরদিন (সোমবার) গাজীপুর জজ কোর্টে প্রথমে অ্যাফিডেভিট করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে কিশোরী। প্রেমিকের নামের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখা হয় তাবাচ্ছুম মৃধা। একই দিন তারা বিয়ে করে।
ওই কিশোরী পুলিশকে বলে, ‘আমি স্বেচ্ছায় ধর্ম ত্যাগ করে বিয়ে করেছি। পরিবার যেন আমায় খোঁজার চেষ্টা না করে তাই আমি ইচ্ছা করে আমার মুখ বেঁধে একটি সেলফি তুলে ছবি পোস্ট করেছিলাম। আমার আইডির স্টোরিতে নিজেই লিখেছিলাম— (কিশোরীর নাম) না খোঁজাই ভালো। খুঁজলেও লাভ হবে না। শি ইউজ ডেড।’
এই খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কিশোরীকে খুঁজতে থাকে থানা পুলিশ ও র্যাব। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত শুক্রবার রাতে গাজীপুর চলে যায় থানা পুলিশের একটি দল। শনিবার দুপুরে গাজীপুরের হোতাপাড়ায় মাহাদীর বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে এবং বাড়ির কাছ থেকে মাহাদীকে আটক করে থানা পুলিশ। রাতে তাদের নালিতাবাড়ী থানায় নিয়ে আসা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করেছিলাম এটি অপহরণ নয়, প্রেমঘটিত ঘটনা। কিশোরীকে উদ্ধারের পর এর সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই কিশোরী অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২২ দিন আগে