সাগর খান, আদমদীঘি (বগুড়া)
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর শহরের ক্রিকেট প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে রমরমা জুয়া খেলা চলছে। বিভিন্ন বয়সের মানুষজনের মধ্যে বিশেষ করে তরুণেরা এই জুয়ায় বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে জুয়ার নেশায় সর্বস্ব হারাতে বসেছেন। অনেকে জুয়ার টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নেওয়ার পাশাপাশি ব্যবসার মূলধনও ভেঙে ফেলেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার সান্তাহার পৌর এলাকা থেকে শুরু করে আশপাশের প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে এই জুয়ার বিস্তার লাভ করছে। দেশে ও বিদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া যেকোনো ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হলেই তা নিয়ে জুয়া বাজি ধরা হচ্ছে। বছর দু-এক আগে সীমিত পরিসরে শুরু হলেও সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের সময় এই ক্রিকেট জুয়া ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। তবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর পর এই জুয়া সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে এসে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ঘিরে আবারও শুরু হয়েছে একই রকম জুয়া। সান্তাহার পৌর এলাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের বেশ কিছু এলাকায় রয়েছে জুয়াড়িদের প্রতিনিধি (এজেন্ট)। ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এসব প্রতিনিধির কাছে টাকা জমা দিয়ে বাজি ধরতে হয়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, গোটা পৌর শহর জুড়েই এই জুয়া খেলা বিস্তার লাভ করেছে। তবে পৌর শহরের চা-বাগান মোড়, স্টেশন রোড, রেলগেটে চত্বর, রেলওয়ে সুপার মার্কেট, বাজার এলাকায়, বাসস্ট্যান্ড ও বিভিন্ন অভিজাত মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে জুয়াড়িদের তৎপরতা সবচেয়ে বেশি। স্মার্টফোনে কিছু অ্যাপসের মাধ্যমেও জুয়ার বাজি ধরার ব্যবস্থা এলাকার চা-স্টল ও সেলুনগুলোতে থাকা টেলিভিশন ঘিরে রয়েছে। ক্রিকেট জুয়ায় বাজি ধরে অনেকেরই নিঃস্ব হয়ে গেছে। সন্ধ্যার পর খেলা শুরু হতেই এসব স্থানে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কর্মজীবী অসংখ্য তরুণ এক জায়গায় হয়ে জুয়া খেলা শুরু করে।
ফলে পরিবারের জমানো অর্থ শেষ করে দিয়ে বাবা-মাকে পথে বসিয়েছেন অনেক তরুণ ও শিক্ষার্থী। আবার অনেকে বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে বা ব্যবসার মূলধন ভেঙে ক্রিকেট জুয়ায় সব খুইয়েছেন।
সান্তাহার বাজারের ব্যবসায়ী এনামুল হক বলেন, আমার বড় ভাই কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ক্রিকেট জুয়া শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি জড়িয়ে পড়েন। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নেওয়ার পাশাপাশি ব্যবসার মূলধনও ভেঙে ফেলেছেন। পাওনাদারের চাপে এখন এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
শহরের স্টেশন রোডে ফটোকপি ব্যবসায়ী নয়ন হোসেন বলেন, আমাদের পাশে বসে জুয়াড়িরা মুঠোফোনের মাধ্যমে জুয়া খেলায় অংশ নেন। সাধারণ মানুষ পাশে বসেও বুঝতে পারেন না সেখানে হাত বদল হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। বিভিন্ন সাংকেতিক ভাষায় চলছে এই ক্রিকেট জুয়া। প্রতি ২০ ওভারের ম্যাচে কোন দল জিতবে, কোন ক্রিকেটার কত রান করবে বা কতগুলো উইকেট নেবে তা নিয়ে ধরা হচ্ছে বাজি।
সান্তাহার ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, ক্রিকেট জুয়ায় বাজি ধরে ওভারে কত রান হবে, কোন খেলোয়াড় বেশি রান করবে, কোন বোলার বেশি উইকেট পাবে, কোন ব্যাটসম্যান বেশি ছক্কা মারবে, কে বেশি চার মারবে, কোন বলে চার বা ছয় হবে তা নিয়েও ধরা হচ্ছে বাজি। হার-জিতের টাকার লেনদেন হচ্ছে নগদে অথবা মোবাইলের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমেও বাজি ধরা হচ্ছে। এভাবে ক্রিকেট জুয়ার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন লোকজন।
সান্তাহার নাগরিক কমিটির সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দীন বলেন, ক্রিকেট জুয়ার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতে অনেকের নিঃস্ব হওয়ারও খবর পাচ্ছি। যেকোনো ভাবে এই জুয়া বন্ধ করতে না পারলে সামাজিক বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না। তাইতো আমি পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বলেন, ক্রিকেট জুয়া বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে জড়িতদের খুঁজে বের করে জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর শহরের ক্রিকেট প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে রমরমা জুয়া খেলা চলছে। বিভিন্ন বয়সের মানুষজনের মধ্যে বিশেষ করে তরুণেরা এই জুয়ায় বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে জুয়ার নেশায় সর্বস্ব হারাতে বসেছেন। অনেকে জুয়ার টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নেওয়ার পাশাপাশি ব্যবসার মূলধনও ভেঙে ফেলেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার সান্তাহার পৌর এলাকা থেকে শুরু করে আশপাশের প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে এই জুয়ার বিস্তার লাভ করছে। দেশে ও বিদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া যেকোনো ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হলেই তা নিয়ে জুয়া বাজি ধরা হচ্ছে। বছর দু-এক আগে সীমিত পরিসরে শুরু হলেও সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের সময় এই ক্রিকেট জুয়া ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। তবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর পর এই জুয়া সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে এসে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ঘিরে আবারও শুরু হয়েছে একই রকম জুয়া। সান্তাহার পৌর এলাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের বেশ কিছু এলাকায় রয়েছে জুয়াড়িদের প্রতিনিধি (এজেন্ট)। ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এসব প্রতিনিধির কাছে টাকা জমা দিয়ে বাজি ধরতে হয়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, গোটা পৌর শহর জুড়েই এই জুয়া খেলা বিস্তার লাভ করেছে। তবে পৌর শহরের চা-বাগান মোড়, স্টেশন রোড, রেলগেটে চত্বর, রেলওয়ে সুপার মার্কেট, বাজার এলাকায়, বাসস্ট্যান্ড ও বিভিন্ন অভিজাত মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে জুয়াড়িদের তৎপরতা সবচেয়ে বেশি। স্মার্টফোনে কিছু অ্যাপসের মাধ্যমেও জুয়ার বাজি ধরার ব্যবস্থা এলাকার চা-স্টল ও সেলুনগুলোতে থাকা টেলিভিশন ঘিরে রয়েছে। ক্রিকেট জুয়ায় বাজি ধরে অনেকেরই নিঃস্ব হয়ে গেছে। সন্ধ্যার পর খেলা শুরু হতেই এসব স্থানে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কর্মজীবী অসংখ্য তরুণ এক জায়গায় হয়ে জুয়া খেলা শুরু করে।
ফলে পরিবারের জমানো অর্থ শেষ করে দিয়ে বাবা-মাকে পথে বসিয়েছেন অনেক তরুণ ও শিক্ষার্থী। আবার অনেকে বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে বা ব্যবসার মূলধন ভেঙে ক্রিকেট জুয়ায় সব খুইয়েছেন।
সান্তাহার বাজারের ব্যবসায়ী এনামুল হক বলেন, আমার বড় ভাই কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ক্রিকেট জুয়া শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি জড়িয়ে পড়েন। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নেওয়ার পাশাপাশি ব্যবসার মূলধনও ভেঙে ফেলেছেন। পাওনাদারের চাপে এখন এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
শহরের স্টেশন রোডে ফটোকপি ব্যবসায়ী নয়ন হোসেন বলেন, আমাদের পাশে বসে জুয়াড়িরা মুঠোফোনের মাধ্যমে জুয়া খেলায় অংশ নেন। সাধারণ মানুষ পাশে বসেও বুঝতে পারেন না সেখানে হাত বদল হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। বিভিন্ন সাংকেতিক ভাষায় চলছে এই ক্রিকেট জুয়া। প্রতি ২০ ওভারের ম্যাচে কোন দল জিতবে, কোন ক্রিকেটার কত রান করবে বা কতগুলো উইকেট নেবে তা নিয়ে ধরা হচ্ছে বাজি।
সান্তাহার ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, ক্রিকেট জুয়ায় বাজি ধরে ওভারে কত রান হবে, কোন খেলোয়াড় বেশি রান করবে, কোন বোলার বেশি উইকেট পাবে, কোন ব্যাটসম্যান বেশি ছক্কা মারবে, কে বেশি চার মারবে, কোন বলে চার বা ছয় হবে তা নিয়েও ধরা হচ্ছে বাজি। হার-জিতের টাকার লেনদেন হচ্ছে নগদে অথবা মোবাইলের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমেও বাজি ধরা হচ্ছে। এভাবে ক্রিকেট জুয়ার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন লোকজন।
সান্তাহার নাগরিক কমিটির সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দীন বলেন, ক্রিকেট জুয়ার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতে অনেকের নিঃস্ব হওয়ারও খবর পাচ্ছি। যেকোনো ভাবে এই জুয়া বন্ধ করতে না পারলে সামাজিক বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না। তাইতো আমি পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বলেন, ক্রিকেট জুয়া বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে জড়িতদের খুঁজে বের করে জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৬ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৬ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৭ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২১ দিন আগে