চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক পৌর কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম হত্যার ঘটনায় উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া ৬ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আদীব আলী এই আদেশ দেন। এ ছাড়াও উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া ২৬ জনের জামিন বহাল রেখেছে আদালত।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি (পিপি) নাজমুল আজম।
এর আগে দুপুরে জেম হত্যা মামলার ৩২ আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করে। পরে আদালতের বিচারক ২৬ জনের জামিন বহাল রেখে ৬ জনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই মামলায় উচ্চ আদালতে জামিনপ্রাপ্ত প্রধান আসামি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেসুর রহমান আদালতে উপস্থিত হননি।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন—চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্যপদে অংশ নেওয়া প্রার্থী ও বহিষ্কৃত জেলা যুবলীগের সভাপতি সামিউল হক লিটন, চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ রানা টিপু, আব্দুল কাদের, আলমগীর হোসেন, জামিল হোসেন, মাহিন রেজা ওরফে মুমিন।
আইনজীবী নাজমুল আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেম হত্যা মামলার মোট আসামি ৪৮ জন। এর মধ্যে ৩৪ জন আসামি উচ্চ আদালতে জামিন নেয়। আজকে (মঙ্গলবার) উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া ৩২ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত ২৬ জনকে জামিন দেন। এর আগে ৩ মার্চ উচ্চ আদালতে তাঁরা জামিন নেয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জন আসামি ১৬৪ ধারায় ১২ জন আসামির সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।’
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, আদালত বিচার বিশ্লেষণ করে সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পর্যালোচনা করেই আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ ঘটনায় ১২ জন আসামি সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এজাহারের অভিযোগের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে আদালত এই ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে ৩৪ জন আসামির জামিন হলেও মঙ্গলবার ৩২ জন আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বাকি দুজনের মধ্যে একজন আসামি অন্য একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন এবং প্রধান আসামি মোখলেসুর রহমান শারীরিকভাবে অসুস্থ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদয়ন মোড় এলাকায় ইফতারির বাজার করে ফেরার সময় খাইরুল আলম জেমকে দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়াকালে তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর গত ২২ এপ্রিল রাত ২টার দিকে খাইরুল আলম জেমের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক পৌর কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম হত্যার ঘটনায় উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া ৬ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আদীব আলী এই আদেশ দেন। এ ছাড়াও উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া ২৬ জনের জামিন বহাল রেখেছে আদালত।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি (পিপি) নাজমুল আজম।
এর আগে দুপুরে জেম হত্যা মামলার ৩২ আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করে। পরে আদালতের বিচারক ২৬ জনের জামিন বহাল রেখে ৬ জনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই মামলায় উচ্চ আদালতে জামিনপ্রাপ্ত প্রধান আসামি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেসুর রহমান আদালতে উপস্থিত হননি।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন—চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্যপদে অংশ নেওয়া প্রার্থী ও বহিষ্কৃত জেলা যুবলীগের সভাপতি সামিউল হক লিটন, চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ রানা টিপু, আব্দুল কাদের, আলমগীর হোসেন, জামিল হোসেন, মাহিন রেজা ওরফে মুমিন।
আইনজীবী নাজমুল আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেম হত্যা মামলার মোট আসামি ৪৮ জন। এর মধ্যে ৩৪ জন আসামি উচ্চ আদালতে জামিন নেয়। আজকে (মঙ্গলবার) উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া ৩২ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত ২৬ জনকে জামিন দেন। এর আগে ৩ মার্চ উচ্চ আদালতে তাঁরা জামিন নেয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জন আসামি ১৬৪ ধারায় ১২ জন আসামির সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।’
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, আদালত বিচার বিশ্লেষণ করে সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পর্যালোচনা করেই আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ ঘটনায় ১২ জন আসামি সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এজাহারের অভিযোগের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে আদালত এই ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে ৩৪ জন আসামির জামিন হলেও মঙ্গলবার ৩২ জন আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বাকি দুজনের মধ্যে একজন আসামি অন্য একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন এবং প্রধান আসামি মোখলেসুর রহমান শারীরিকভাবে অসুস্থ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদয়ন মোড় এলাকায় ইফতারির বাজার করে ফেরার সময় খাইরুল আলম জেমকে দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়াকালে তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর গত ২২ এপ্রিল রাত ২টার দিকে খাইরুল আলম জেমের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২২ দিন আগে