ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তের অভিযোগে দুই শিক্ষক গ্রেপ্তার 

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২২, ১৮: ৩১

একাধিক ছাত্রীকে হয়রানি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে জয়পুরহাট সদর থানায় করা মামলায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জয়পুরহাট জেলার বুজরুগ ভারুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান। 

অভিযুক্তরা হলেন— বুজরুগ ভারুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শাখার ক্বারী বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম (৬০) এবং একই শাখার জুনিয়র শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম (৩৫) ।

ভুক্তভোগী, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষকেরা দীর্ঘ দিন যাবৎ ওই মাদ্রাসার একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানিসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে রেজাউল করিম ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রীর (১০) বুকে হাত দেন। বাড়ি গিয়ে ওই ছাত্রী তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়।

অন্যদিকে ওই মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শাখার জুনিয়র শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামের (৩৫) বিরুদ্ধেও একাধিক ভুক্তভোগীর অভিভাবক অভিযোগ তুলেছেন।

গতকাল বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা অ্যাডহক কমিটিতে অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল ১০টার দিকে অ্যাডহক কমিটি জরুরি মিটিং করে অভিযুক্ত শিক্ষকদের ছয় মাসের জন্য সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।

ওই ছাত্রীর বাবা ও একাধিক অভিভাবক জানান,  শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে এর আগে তিন মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও তিনি শোধরাননি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বুজরুগ ভারুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক রেজওয়ানুল করিম বলেন, ‘এ নিয়ে গতকাল বুধবার রাতে তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা অ্যাডহক কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। আজ সকাল ১০টার দিকে অ্যাডহক কমিটি জরুরি মিটিং করে। এ সময়  অভিযুক্ত দুজন শিক্ষককে ছয় মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

বুজরুগ ভারুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তেই অভিযুক্ত দুজন শিক্ষকে ছয় মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরে যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে জয়পুরহাট সদর থানার ওসি একেএম আলমগীর জাহান জানান, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা আজ দুপুরে 
বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন। এর পরপরই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের  জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলমও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত