রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারের চারটি গুদামে ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার ভোজ্যতেল পাওয়া গেছে। অতি মুনাফার লোভে মজুত করে রাখার অভিযোগে তেলগুলো জব্দ করে গুদাম চারটি সিলগালা করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।
রাজশাহী জেলা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও পুঠিয়া থানা পুলিশ আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে প্রায় ৫০ জন পুলিশ সদস্য অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে দাঙ্গা পুলিশও ছিল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলমও অভিযানে ছিলেন।
বিকেল সাড়ে ৪টায় পুলিশ অভিযান শুরু করে। পুঠিয়া থানার ওসি মো. সোহরাওয়ার্দী জানান, প্রথমে একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। ট্রাকের চালক তখন বলেন, তিনি বানেশ্বরের একটি ডাল মিলে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর ট্রাকে ৬০ ব্যারেল পাম অয়েল পাওয়া যায়। এই সূত্রেই একে একে চারটি তেলের গুদাম পাওয়া যায়।
অভিযানে ট্রাকচালক ফজলুর রহমানকে আটক করা হয়। এ ছাড়া বানেশ্বরে বাজারের সরকার অ্যান্ড সন্সের মালিক বিকাশ সাহা, এন্তাজ স্টোরের মালিক এন্তাজ আলী, মেসার্স পাল অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক শৈলেন পাল ও রিমা স্টোরের মালিক রাজিব সাহাকে আটক করা হয়। তাঁরা কেউই পরিবেশক নন। তেল মজুত রাখার বিষয়ে কেউ বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বিভিন্ন উপায়ে তেল সংগ্রহ করে মজুত করতেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, সরকার অ্যান্ড সন্স থেকে ৪৮ ব্যারেল সয়াবিন ও ২৬ ব্যারেল পাম অয়েল, এন্তাজ স্টোর থেকে ২২ ব্যারেল সয়াবিন ও ১২০ ব্যারেল পাম, মেসার্স পাল অ্যান্ড ব্রাদার্স থেকে তিন ব্যারেল সয়াবিন ও ১০০ ব্যারেল পাম, রিমা স্টোর থেকে ৪৮ ব্যারেল সয়াবিন ও ২৭ ব্যারেল পাম এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুরাতন বাজারের উদ্দেশে বোঝাই করা একটি ট্রাক থেকে ৬০ ব্যারেল পাম অয়েল জব্দ করা হয়েছে।
প্রতিটি ব্যারেলে ২০৪ লিটার করে ভোজ্যতেল রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১২১ ব্যারেল সয়াবিন তেল ও ৩৩৩ ব্যারেল পাম তেল জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা মোট ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার তেলের মধ্যে সয়াবিন ২৪ হাজার ৬৮৪ লিটার। আর পাম ৬৭ হাজার ৯৩২ লিটার।
রাজশাহীর এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, বেশি মুনাফার লোভে রোজার আগে থেকে এসব ব্যবসায়ী তেল মজুত করে রেখেছিলেন। বাজারে কৃত্রিম সংকটের জন্য এরাও দায়ী। তাঁরা তেলের ব্যবসার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই সব তেল জব্দ করা হয়েছে। ভেতরে তেলগুলো রেখে গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। যে ট্রাকে তেল বোঝাই করা হয়েছিল সেটিও জব্দ করা হয়েছে।
এসপি আরও জানান, আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুঠিয়া থানায় মামলা হবে। আর আদালতের অনুমতি নিয়ে জব্দ করা তেলগুলো ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে।
এর আগে গতকাল সোমবার রাজশাহীর জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর বাজারের এক গুদাম থেকে ২০ হাজার ৪০০ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল সয়াবিন তেল। বাকিটা ছিল সরিষার তেল। অভিযানে গুদামের মালিক শহিদুল ইসলাম স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারের চারটি গুদামে ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার ভোজ্যতেল পাওয়া গেছে। অতি মুনাফার লোভে মজুত করে রাখার অভিযোগে তেলগুলো জব্দ করে গুদাম চারটি সিলগালা করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।
রাজশাহী জেলা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও পুঠিয়া থানা পুলিশ আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে প্রায় ৫০ জন পুলিশ সদস্য অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে দাঙ্গা পুলিশও ছিল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলমও অভিযানে ছিলেন।
বিকেল সাড়ে ৪টায় পুলিশ অভিযান শুরু করে। পুঠিয়া থানার ওসি মো. সোহরাওয়ার্দী জানান, প্রথমে একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। ট্রাকের চালক তখন বলেন, তিনি বানেশ্বরের একটি ডাল মিলে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর ট্রাকে ৬০ ব্যারেল পাম অয়েল পাওয়া যায়। এই সূত্রেই একে একে চারটি তেলের গুদাম পাওয়া যায়।
অভিযানে ট্রাকচালক ফজলুর রহমানকে আটক করা হয়। এ ছাড়া বানেশ্বরে বাজারের সরকার অ্যান্ড সন্সের মালিক বিকাশ সাহা, এন্তাজ স্টোরের মালিক এন্তাজ আলী, মেসার্স পাল অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক শৈলেন পাল ও রিমা স্টোরের মালিক রাজিব সাহাকে আটক করা হয়। তাঁরা কেউই পরিবেশক নন। তেল মজুত রাখার বিষয়ে কেউ বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বিভিন্ন উপায়ে তেল সংগ্রহ করে মজুত করতেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, সরকার অ্যান্ড সন্স থেকে ৪৮ ব্যারেল সয়াবিন ও ২৬ ব্যারেল পাম অয়েল, এন্তাজ স্টোর থেকে ২২ ব্যারেল সয়াবিন ও ১২০ ব্যারেল পাম, মেসার্স পাল অ্যান্ড ব্রাদার্স থেকে তিন ব্যারেল সয়াবিন ও ১০০ ব্যারেল পাম, রিমা স্টোর থেকে ৪৮ ব্যারেল সয়াবিন ও ২৭ ব্যারেল পাম এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুরাতন বাজারের উদ্দেশে বোঝাই করা একটি ট্রাক থেকে ৬০ ব্যারেল পাম অয়েল জব্দ করা হয়েছে।
প্রতিটি ব্যারেলে ২০৪ লিটার করে ভোজ্যতেল রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১২১ ব্যারেল সয়াবিন তেল ও ৩৩৩ ব্যারেল পাম তেল জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা মোট ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার তেলের মধ্যে সয়াবিন ২৪ হাজার ৬৮৪ লিটার। আর পাম ৬৭ হাজার ৯৩২ লিটার।
রাজশাহীর এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, বেশি মুনাফার লোভে রোজার আগে থেকে এসব ব্যবসায়ী তেল মজুত করে রেখেছিলেন। বাজারে কৃত্রিম সংকটের জন্য এরাও দায়ী। তাঁরা তেলের ব্যবসার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই সব তেল জব্দ করা হয়েছে। ভেতরে তেলগুলো রেখে গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। যে ট্রাকে তেল বোঝাই করা হয়েছিল সেটিও জব্দ করা হয়েছে।
এসপি আরও জানান, আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুঠিয়া থানায় মামলা হবে। আর আদালতের অনুমতি নিয়ে জব্দ করা তেলগুলো ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে।
এর আগে গতকাল সোমবার রাজশাহীর জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর বাজারের এক গুদাম থেকে ২০ হাজার ৪০০ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল সয়াবিন তেল। বাকিটা ছিল সরিষার তেল। অভিযানে গুদামের মালিক শহিদুল ইসলাম স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে