বগুড়ার সদর উপজেলায় মাদকসংক্রান্ত দ্বন্দ্বে লিটন শেখ (৩২) নামে একজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় রিতা বেগম (৩০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে সদরের ছোট কুমিড়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হাফিজুর রহমান।

নিহত লিটন ছোট কুমিড়া পশ্চিমপাড়া এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে। পেশায় তিনি পিকআপ ভ্যানচালক ছিলেন। গ্রেপ্তারকৃত নারী রিতা বেগম একই এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্বামীর নাম আব্দুর রহীম। তাঁকে রোববার ভোরে ওই এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বোন ডলি বেগম সাতজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছোট কুমিড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে মাদকসংক্রান্ত বিষয়ে গন্ডগোল বাধে। সেখানে লিটনও তাঁদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরই একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত থাকা কিছু যুবক লিটনের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে গুরুতর আহত হন লিটন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এসআই হাফিজুর রহমান জানান, লিটন পিকআপ ভ্যানে মুরগি বহন করতেন। স্থানীয় কিছু যুবকের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্বজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেন। শজিমেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই দিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এসআই আরও বলেন, লিটনের ওপর হামলার ঘটনার নেপথ্যে কী আছে তা এখনো পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। লিটন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার ওপর হামলার ঘটনায় শনিবার মধ্যরাতে থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।