রাজশাহীতে স্কুলশিক্ষককে আটকে মুক্তিপণ আদায়, ২ যুবক কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৪৫
Thumbnail image
তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর বাগমারায় এক স্কুলশিক্ষককে আটকে রেখে মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তরা নিজেদের ছাত্রদলের কর্মী বলে দাবি করেন।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন তাহেরপুর পৌরসভার চৌকিরপাড়া মহল্লার শাহিনুর ইসলাম (২৯) ও আলমগীর হোসেন (২৫)।

আর ভুক্তভোগীর নাম আক্কাছ আলী। তিনি উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের অর্জুনপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি তাহেরপুরের চৌকিরপাড়ায় বসবাস করেন।

তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সোহাইল হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মুক্তিপণের টাকা, সোনা ও চেক উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে আক্কাছকে অপহরণ করেন শাহিনুর ইসলাম, আলমগীর হোসেনসহ ৮-১০ জন যুবক। তাঁকে তাঁরা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আক্কাছকে ঘরে আটক রেখে মারধর করেন অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে তাঁর কাছে থাকা ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বিকাশের মাধ্যমে পরিবারের কাছ থেকে আরও ১২ হাজার টাকা নেন অপহরণকারীরা। পরে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে দুই ভরি সোনা, ৬০০ টাকা মূল্যের দুটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এবং ফাঁকা চেকে সই নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার পর বিষয়টি পুলিশকে জানান আক্কাছ আলী। রোববার তিনি বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান দুই আসামিকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। জড়িত যুবকেরা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালিয়ে আসছিলেন।

তবে ওই যুবকেরা ছাত্রদলের সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন তাহেরপুর পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ। তিনি বলেন, এই চক্র ৫ আগস্টের আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে ছিল। রাতারাতি তারা আবার ছাত্রদল সাজতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালিয়ে আসছে। দলীয় কিছু মিটিং-মিছিলেও অংশ নিয়ে দলের দু-একজন নেতার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছে। আসলে তারা ছাত্রদলের কেউ নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত