জয়পুরহাটে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গভীর নলকূপ দখলের অভিযোগ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩: ০৫
Thumbnail image
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বাখড়া নলকূপ ঘর এবং সেচ স্কিম এলাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জয়পুরহাটে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গভীর নলকূপ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার কালাই উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের বাখড়া গ্রামে। অভিযুক্ত গাজিউল ইসলাম কালাই উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের বাখড়া মণ্ডলপাড়া গ্রামের উজির উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। তিনি জিন্দারপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

অভিযোগকারী আক্কাছ আলী একই গ্রামের মৃত বাদেশ আলী সরদারের ছেলে। তিনি প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সরেজমিনে আবু সাঈদ, আব্দুর রহমান, হাফিজার রহমানসহ ১০ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে এবং অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের রাতেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গভীর নলকূপটি দখলে নেন গাজিউল ইসলাম। এ অবস্থায় ওই সেচ প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষকেরা ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

আক্কাছ আলী জানান, তাঁর বাবা ১৯৯৮ সালে বিএডিসির কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে গভীর নলকূপটির মালিকানা পান। সেই থেকেই কূপটি তাঁদের দখলে। বর্তমানে সেটির বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটারও তাঁর নামে।

৪-৫ মাস আগে গাজিউল ইসলাম কূপটি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে সেচ কাজ পরিচালনা করছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন না। এতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অনেক কৃষক।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গাজিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি ওই নলকূপের ১০ জন শেয়ারের মধ্যে একজনের কাছ থেকে একটি অংশ কিনে মালিকানা পাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে বাকি ৯ জন অংশীদার ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা দলীয় প্রভাব খাটায়। তাঁরা আমাকে আমার ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত করে। এখন আইনগত ভাবে আমি কূপটি দখলে নিয়ে সেচ কাজ পরিচালনা করছি।’

এ প্রসঙ্গে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গভীর নলকূপ দখলের বিষয়ে একটি লিখত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত চলমান। তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত