স্ত্রী খুন হওয়ার পর ভগ্নিপতির বাড়িতে পালিয়ে ছিলেন স্বামী, পরে গ্রেপ্তার

কুড়িগ্রাম ও আদিতমারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২১: ৫৮

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কুড়ালের কোপে গলাকেটে স্ত্রীকে হত্যায় অভিযুক্ত স্বামী সত্য চন্দ্র শীলকে (৫৩) লালমনিরহাটের আদিতমারী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আজ রোববার সন্ধ্যায় আদিতমারীর পলাশী ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদিতমারী ও নাগেশ্বরী থানা-পুলিশের যৌথ দল। 

রাত ৮টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী এবং নাগেশ্বরী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারওয়ার পারভেজ। 

গৃহবধূর নাম লতা রানী (৪০)। তিনি নাগেশ্বরী পৌর এলাকার কবিরের ভিটা গ্রামের সত্য চন্দ্র শীলের স্ত্রী। এর আগে ভোরে নিজ ঘরে লতা রানী খুন হন। ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী সত্য চন্দ্র শীল তাঁকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর দুই ছেলে। ঘটনার পর সত্য চন্দ্র শীল পালিয়ে যান। গৃহবধূর ঘরের বিছানার নিচ থেকে রক্তমাখা কুড়াল উদ্ধার করে পুলিশ। 

আদিতমারী ও নাগেশ্বরী থানা-পুলিশ জানায়, স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত সত্য চন্দ্র আদিতমারীর বড়াইবাড়ী গ্রামে ভগ্নিপতির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সত্য চন্দ্র সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। 
 
আদিতমারী থানার ওসি মাহমুদ উন নবী বলেন, গ্রেপ্তার সত্য চন্দ্রকে নাগেশ্বরী থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলা সম্পর্কে পরে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানাবেন। 

নাগেশ্বরী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারওয়ার পারভেজ বলেন, ‘গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই অখিল চন্দ্র শীল বাদী হয়ে স্বামী সত্য চন্দ্রকে আসামি করে মামলা করেছেন। একই অভিযোগ করেছেন নিহতের দুই ছেলে। আমাদের একটি দল আদিতমারী থানা-পুলিশের সহায়তায় আসামি সত্য চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে কুড়িগ্রাম রওনা হয়েছে। তাঁরা পৌঁছালে বিস্তারিত জানানো হবে।’ 

সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান পরিদর্শক সারওয়ার।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত