ধর্ষণ মামলার ১৬ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২২, ১৮: ৪২

গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ১৬ বছর পর আসামি আবুল কালাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বুধবার কুড়িগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আবুল কালাম উলিপুরের ধামশ্রেণি ইউনিয়নের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি আবুল কালাম ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে উলিপুরের এক গৃহবধূকে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়লে আবুল কালাম ওই নারীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলেন। পরে ওই নারী ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিন মাসের গর্ভবতী অবস্থায় আবুল কালামকে আসামি করে উলিপুর থানায় মামলা করেন। ধর্ষণের ফলে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করলেও আসামিপক্ষ সন্তানের দায় স্বীকার করেননি।

পরে ২০১১ সালে ভুক্তভোগী নারী আদালতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন। দায়রা আদালতে সেই আবেদন খারিজ হলে পরে উচ্চ আদালতে যান ওই নারী। উচ্চ আদালত ২০১৯ সালে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিলে পরীক্ষায় ভুক্তভোগী নারী ও আসামি আবুল কালাম ওই সন্তানের জৈবিক মা-বাবা বলে প্রমাণিত হয়। পরে আদালত সামগ্রিক দিক বিবেচনায় আসামি আবুল কালামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ট্রাইব্যুনালের পিপি আব্দুর রাজ্জাক এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক সরকার। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত