নীলফামারী প্রতিনিধি
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক, ইউনূস স্যার রাজনীতিবিদদের রাখেননি, এর কারণ অবশ্য কোনো কোনো দল জাতীয় সরকার গঠনে আপত্তি তুলেছিল।’
আজ শনিবার সন্ধ্যায় নীলফামারীর জলঢাকা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুর এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘তারা যেটি বলেছিল যে, জাতীয় সরকারের দরকার নেই, আপনারা কয়েক মাস থেকে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিন। কারণ তারা মনে করেছিল, নির্বাচন দিলেই আমরা ক্ষমতাই আসতেছি, তাহলে ক্ষমতার ভাগ আর অন্য কাউকে দেওয়ার দরকার কী।’
গণঅধিকারের সভাপতি বলেন, ‘গত ৭ বছরের ফেব্রুয়ারি আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, ২০২৪ হবে শেখ হাসিনা পতনের বছর এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে পতন হবে, হয়েছে।’
নুর আরও বলেন, ‘রিমান্ডের মধ্যেও প্রিজন ভ্যান থেকে বলেছিলাম ৯০ শতাংশ সরকার পতন হয়ে গেছে, ১০ শতাংশ ধাক্কা দেন। পতন হয়েছে, কথার সঙ্গে মিলছে।’ আজকে এই মঞ্চ থেকে আরেকটি ভবিষ্যদ্বাণী করে গেলাম, ‘আগামীর সরকার হবে তরুণদের নেতৃত্বের সরকার। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শেখ হাসিনা ছাত্রদের দাবির কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে ৯ মাস, আমরা কোটা সংস্কার আন্দোলন করি সাড়ে ৮ মাস। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত হামলা-মামলার হুমকিতেও মাঠ ছাড়িনি। এ ধারাবাহিক আন্দোলনই তরুণদের প্রেরণা জুগিয়েছে। তরুণেরা মনে সাহস পেয়েছে।’
সেই কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠন করা হয় এই গণঅধিকার পরিষদ। গণ-অভ্যুত্থানের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব পর্যায়ে অনেকে আছেন, তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় যদি খোঁজেন, তাঁদের অনেকের রাজনৈতিক হাতেখড়ি হচ্ছে এই গণঅধিকার পরিষদ থেকে।’
নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ কোনো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় তৈরি হয়নি। প্রতিকূল সময়ে রাজপথে ধারাবাহিক লড়াই-সংগ্রাম ও তরুণদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে এ দল তৈরি হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ চাইলে জাতীয় পার্টির চেয়ে ভালো সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রাজনীতি করতে পারত। বিগত ১৬ বছরে অনেক দল অনেক আন্দোলন করেছে, কিন্তু কেউই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি। শেখ হাসিনা প্রশাসনকে রক্ষীবাহিনী করে ঠিকই ক্ষমতায় ছিল।’
ভিপি নুর বলেন, ‘এখন সময় মানুষকে নিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তোলার। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হলো অতীতে যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন বা রাজনীতি করেছেন, এমপি ছিলেন, মন্ত্রী ছিলেন, আমার চেয়ে দ্বিগুণ বয়সের মানুষ আছেন, আপনারা সবকিছু দেখেছেন, কেউই ভালো নয়।’
প্রবাদে আছে, যে যায় লঙ্কায়—সেই হয় রাবণ। যে ক্ষমতা পায় সে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করে। প্রভাব-আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করে। তাই আমরা বলেছিলাম, ‘বাংলাদেশে আগামীতে এমন নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা যারা সরকার গঠন করবে, নির্বাচনে তারা যাতে কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করতে না পারে। সাধারণ মানুষের ভোট প্রদানে তারা যাতে কোনোভাবে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে। সাধারণ মানুষের যাকে ভালো লাগে, তাকেই ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবে সেই ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা আমরা দেখতে চাই।’
ভিপি নুর আরও বলেন, ‘দেশের সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজন ছিল জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার মানেই আন্দোলনকারী দলগুলোসহ সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার। তাহলেই আজকে দেশের যে সংকট, এ সংকট সৃষ্টি হতো না। আপনারা জানেন, হাসিনা সরকার পতনের পর প্রতিবেশী রাষ্ট্র আমাদের প্রতি আর বন্ধুসুলভ আচরণ করছে না। তার অসহিষ্ণু আচরণ করছে, সীমান্তে উসকানি দিচ্ছে, কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। কোথাও কোথাও আমাদের বিজিবির সঙ্গে এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘাত লাগিয়ে দেওয়ার জন্য উসকানি দিচ্ছে।’
গণঅধিকার পরিষদের নেতা সোহাগ হোসাইনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও মুখপাত্র ফারুক হাসান। এ ছাড়া ছাত্র, যুব ও গণঅধিকার পরিষদের রংপুর, নীলফামারী জেলা ও উপজেলা শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক, ইউনূস স্যার রাজনীতিবিদদের রাখেননি, এর কারণ অবশ্য কোনো কোনো দল জাতীয় সরকার গঠনে আপত্তি তুলেছিল।’
আজ শনিবার সন্ধ্যায় নীলফামারীর জলঢাকা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুর এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘তারা যেটি বলেছিল যে, জাতীয় সরকারের দরকার নেই, আপনারা কয়েক মাস থেকে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিন। কারণ তারা মনে করেছিল, নির্বাচন দিলেই আমরা ক্ষমতাই আসতেছি, তাহলে ক্ষমতার ভাগ আর অন্য কাউকে দেওয়ার দরকার কী।’
গণঅধিকারের সভাপতি বলেন, ‘গত ৭ বছরের ফেব্রুয়ারি আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, ২০২৪ হবে শেখ হাসিনা পতনের বছর এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে পতন হবে, হয়েছে।’
নুর আরও বলেন, ‘রিমান্ডের মধ্যেও প্রিজন ভ্যান থেকে বলেছিলাম ৯০ শতাংশ সরকার পতন হয়ে গেছে, ১০ শতাংশ ধাক্কা দেন। পতন হয়েছে, কথার সঙ্গে মিলছে।’ আজকে এই মঞ্চ থেকে আরেকটি ভবিষ্যদ্বাণী করে গেলাম, ‘আগামীর সরকার হবে তরুণদের নেতৃত্বের সরকার। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শেখ হাসিনা ছাত্রদের দাবির কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে ৯ মাস, আমরা কোটা সংস্কার আন্দোলন করি সাড়ে ৮ মাস। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত হামলা-মামলার হুমকিতেও মাঠ ছাড়িনি। এ ধারাবাহিক আন্দোলনই তরুণদের প্রেরণা জুগিয়েছে। তরুণেরা মনে সাহস পেয়েছে।’
সেই কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠন করা হয় এই গণঅধিকার পরিষদ। গণ-অভ্যুত্থানের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব পর্যায়ে অনেকে আছেন, তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় যদি খোঁজেন, তাঁদের অনেকের রাজনৈতিক হাতেখড়ি হচ্ছে এই গণঅধিকার পরিষদ থেকে।’
নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ কোনো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় তৈরি হয়নি। প্রতিকূল সময়ে রাজপথে ধারাবাহিক লড়াই-সংগ্রাম ও তরুণদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে এ দল তৈরি হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ চাইলে জাতীয় পার্টির চেয়ে ভালো সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রাজনীতি করতে পারত। বিগত ১৬ বছরে অনেক দল অনেক আন্দোলন করেছে, কিন্তু কেউই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি। শেখ হাসিনা প্রশাসনকে রক্ষীবাহিনী করে ঠিকই ক্ষমতায় ছিল।’
ভিপি নুর বলেন, ‘এখন সময় মানুষকে নিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তোলার। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হলো অতীতে যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন বা রাজনীতি করেছেন, এমপি ছিলেন, মন্ত্রী ছিলেন, আমার চেয়ে দ্বিগুণ বয়সের মানুষ আছেন, আপনারা সবকিছু দেখেছেন, কেউই ভালো নয়।’
প্রবাদে আছে, যে যায় লঙ্কায়—সেই হয় রাবণ। যে ক্ষমতা পায় সে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করে। প্রভাব-আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করে। তাই আমরা বলেছিলাম, ‘বাংলাদেশে আগামীতে এমন নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা যারা সরকার গঠন করবে, নির্বাচনে তারা যাতে কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করতে না পারে। সাধারণ মানুষের ভোট প্রদানে তারা যাতে কোনোভাবে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে। সাধারণ মানুষের যাকে ভালো লাগে, তাকেই ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবে সেই ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা আমরা দেখতে চাই।’
ভিপি নুর আরও বলেন, ‘দেশের সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজন ছিল জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার মানেই আন্দোলনকারী দলগুলোসহ সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার। তাহলেই আজকে দেশের যে সংকট, এ সংকট সৃষ্টি হতো না। আপনারা জানেন, হাসিনা সরকার পতনের পর প্রতিবেশী রাষ্ট্র আমাদের প্রতি আর বন্ধুসুলভ আচরণ করছে না। তার অসহিষ্ণু আচরণ করছে, সীমান্তে উসকানি দিচ্ছে, কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। কোথাও কোথাও আমাদের বিজিবির সঙ্গে এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘাত লাগিয়ে দেওয়ার জন্য উসকানি দিচ্ছে।’
গণঅধিকার পরিষদের নেতা সোহাগ হোসাইনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও মুখপাত্র ফারুক হাসান। এ ছাড়া ছাত্র, যুব ও গণঅধিকার পরিষদের রংপুর, নীলফামারী জেলা ও উপজেলা শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪