কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মুদি দোকানি নূরুন্নবী মিয়াকে (২০) হত্যার দায়ে ৮ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান আসামিদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্রাহাম লিংকন। 

নিহত নূরুন্নবী মিয়া উপজেলার কাঁচকোল এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে। 

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-রাশেদ মিয়া, মোসলেম উদ্দিন, তছলিম উদ্দিন, মকবুল হোসেন, নুরু মিয়া, মোনাল মিয়া ওরফে মোন্নাফ, আ. কাদের ও মিন্টু। তাঁরা সকলেই চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকার সড়কটারী গ্রামের বাসিন্দা। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাতে নিহত নূরুন্নবীর সঙ্গে আসামি রাশেদ মুদির দোকানের ভেতর ঘুমিয়েছিল। পূর্বশত্রুতার জেরে সেদিন দিবাগত রাতে নূরুন্নবীকে পরিকল্পিতভাবে দোকানের ভেতর ঘুমন্ত অবস্থায় গলার মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করেন রাশেদ ও অন্য আসামিরা। পরদিন সকালে নিহতের ভাই আশরাফুল ইসলাম দোকানে গিয়ে নূরুন্নবীর মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে চিলমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯ জনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে চাঁদ মিয়া নামে এক আসামির মৃত্যু হলে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত অপর ৮ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি আব্রাহাম লিংকন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন ও সামসুজ্জোহা রুবেল।