টাইফয়েডে আক্রান্ত শিশুকে সরকারি হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন প্রয়োগের অভিযোগ

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩, ২০: ১৩

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বিলানী (১১) নামের টাইফয়েডে আক্রান্ত এক শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া ইনজেকশন প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির বাবা আকতার হোসেন গত শুক্রবার রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এই অভিযোগ করেন। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন ভুল করে রোগীর কাছে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু শরীরে প্রয়োগ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মিঠুন দেবনাথ। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ জানার পর নার্স ওই ইনজেকশন প্রয়োগ করেননি। একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে।’ 

আজ শনিবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায়, গত সোমবার (২০ মার্চ) উপজেলার ডাঙ্গীবাজার এলাকার বাসিন্দা আকতার হোসেন টাইফয়েডের কারণে ছেলে জ্বিলানীকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। এ সময় কথা হয় তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ছেলেকে দিনে দুইবার ইনজেকশন দেওয়ার কথা। এ ছাড়া অন্যান্য সেবা দেওয়া হলেও ছেলের স্বাস্থ্যের কোনো উন্নতি হচ্ছিল না। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একজন নার্স ছেলেকে ইনজেকশন পুশ করতে আসেন। এ সময় আমার স্ত্রী লক্ষ্য করেন যে ভায়াল থেকে ইনজেকশন দেওয়া হবে তার মেয়াদ ৫ মাস আগে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি জানালে ওই ভায়াল থেকে আমার ছেলেকে আর ইনজেকশন পুশ করেননি ওই নার্স। এরপর থেকে আর হাসপাতালের কোনো ইনজেকশন ছেলেকে পুশ করতে দিচ্ছি না। বাইরের দোকান থেকে ইনজেকশন কিনে এনে দিচ্ছি।’ 

জিলানীর মা বলেন, ‘আমার ধারণা এ ঘটনার আগে ছেলের শরীরে প্রয়োগ করা ইনজেকশনগুলোও মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। এ কারণেই হয়তো আমার ছেলের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছিল। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ 

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আজ বিকেলে দায়িত্বে থাকা নার্স কুলসুম বলেন, ‘আমরা চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শপত্র অনুযায়ী হাসপাতালে থাকা ইনজেকশন প্রয়োগ করে থাকি। তবে প্রয়োগের আগে সেগুলোর মেয়াদ রয়েছে কি না  সেটা অবশ্যই যাচাই করি। তবে জিলানীর কী হয়েছে তা আমি জানি না।’ 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ এস এম আলমাস বলেন, ‘পাঁচ মাস আগে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রোগীর কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। রোগীর স্বজনদের করা অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। এ ধরনের ঘটনা যেন পরবর্তী সময়ে না ঘটে এর জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত