সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ এবং চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলায় আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হকের আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাইদা খানম। এ সময় মামলায় অভিযুক্ত ৮ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। এ ঘটনার পরদিন সকালে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ছাত্রলীগের কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে ধর্ষণ এবং চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর ৮ জনকে আসামি করে দুটি মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু হাইকোর্ট আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলা একই আদালতে বিচার করার জন্য আদেশ দিলেও এত দিন ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। 

আসামিরা হলেন সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়ার সাইফুর রহমান (২৮), হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বাগুনীপাড়ার শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার উমেদনগরের তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), জকিগঞ্জের আটগ্রামের অর্জুন লস্কর (২৬), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুরের রবিউল ইসলাম (২৫), কানাইঘাট উপজেলার লামা দলইকান্দির মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), সিলেট নগরীর গোলাপবাগ আবাসিক এলাকার আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল (২৬) ও বিয়ানীবাজার উপজেলার নটেশ্বর গ্রামের মিজবাউল ইসলাম রাজন (২৭)।

গ্রেপ্তার ৮ আসামির সবাই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ মামলায় ৫১ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। 

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাইদা খানম বলেন, এখন একসঙ্গে দুই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। তবে সাক্ষ্য গ্রহণ কবে শুরু হবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক আদেশ দেননি বিচারক।