অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকেই দেশটির ফেডারেল সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করতে প্রস্তুত। ট্রাম্প ও তাঁর মিত্রদের দাবিকৃত ‘ডিপ স্টেট’ ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনায়ও তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। জো বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে কাজ করা দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই একটি নির্বাহী আদেশ জারি করতে পারেন। যার মাধ্যমে ফেডারেল সরকারের প্রায় ৫০ হাজার স্থায়ী কর্মীর চাকরির সুরক্ষা বাতিল করা হবে। এতে এসব পদে স্থায়ী কর্মীদের পরিবর্তনে নিজের পছন্দের ও অনুগত লোকদের নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
এ ছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব ফেডারেল সরকারের বিভিন্ন বিভাগে হাজারো রাজনৈতিক নিয়োগ সম্পন্ন করার পরিকল্পনাও করছে। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হলো, সরকারের বিভিন্ন স্তরে গভীরভাবে অনুগত লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা, যা সাম্প্রতিক কোনো প্রেসিডেন্টের তুলনায় অনেক বেশি।
রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ট্রাম্পের দল এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ ৩ কূটনীতিকের পদত্যাগ চেয়েছে। তারা দপ্তরের কর্মী ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম দেখভাল করতেন। এটি ভবিষ্যতে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্পের মিত্ররা বিশ্বাস করেন, তাঁর প্রথম মেয়াদে বিচার বিভাগ, শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছিল অসহযোগী আমলাদের কারণে।
প্রায় এক ডজন শীর্ষ পর্যায়ের নিয়োগপ্রাপ্তদের ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ফেডারেল কর্মক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার দায়িত্ব দিয়েছেন বা এই পরিকল্পনার প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। এর আগে, ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষে তিনি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন, যা ‘শিডিউল এফ’ নামে পরিচিত। এটি ছিল ফেডারেল কর্মীদের চাকরির ধরন পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে স্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি থেকে সরানো এবং তাদের স্থলে রাজনৈতিক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হতো।
ট্রাম্পের আগের প্রশাসনে অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের পরিচালক রাশেল ভাউট শিডিউল এফ আদেশ পুনরায় চালু করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এ ছাড়া, সার্জিও গোর এবং জেমস শার্ক তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করবেন। শার্ক ২০২১ সালে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন। যেখানে তিনি দাবি করেন, প্রথম মেয়াদে ফেডারেল কর্মচারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাম্পের নীতিগুলো বাধাগ্রস্ত করেছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ‘গভীর রাষ্ট্র’ নির্মূলের দায়িত্বে যাদের রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মনোনীত পাম বন্ডি, এফবিআইয়ের পরিচালক মনোনীত কাশ প্যাটেল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনোনীত মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, শিক্ষামন্ত্রী প্রার্থী লিন্ডা ম্যাকমাহন এবং ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামী। তাঁরা ট্রাম্পের প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানোর কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেবেন। ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিম এ বিষয়ে নির্ধারিত সময়সূচি নিয়ে কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কারণ, এই পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নিয়মকানুন অনুযায়ী কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
সমালোচক এবং ফেডারেল কর্মচারীদের ইউনিয়ন বলছে, ‘ডিপ স্টেট’ বলে কিছু নেই। ট্রাম্প এবং তাঁর মিত্ররা এটি একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে ব্যবহার করে নির্বাহী শাখার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছেন। ফেডারেল কর্মনীতি বিশেষজ্ঞ জেমস আইজেনম্যান বলেন, ‘ট্রাম্প ভুলভাবে মনে করছেন যে, বেশির ভাগ সরকারি কর্মচারীর একটি আদর্শগত এজেন্ডা রয়েছে। বর্তমান আইনের আওতায় অযোগ্য বা অসহযোগী কর্মীদের বরখাস্ত করা সম্ভব।’
ফেডারেল নিয়মকানুন মেনে এই পরিবর্তন আনতে মাসের পর মাস সময় লাগতে পারে। তবে ট্রাম্পের দল বলেছে, তাদের লক্ষ্য এমন কর্মী নিয়োগ দেওয়া যারা আমেরিকান জনগণের অধিকার রক্ষা, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি বাস্তবায়ন এবং করদাতাদের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
শিডিউল এফ—নিয়ে আইজেনম্যান বলেন, এটি ভয় ও নীরবতার সংস্কৃতি তৈরি করবে, যা কর্মচারীদের কাজের দক্ষতায় প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, ‘মানুষ নিজের মতামত প্রকাশ করতে বা সহায়ক কোনো পরামর্শ দিতে ভয় পাবে, কারণ তারা চাকরি হারানোর আশঙ্কায় থাকবে। যখন মানুষ ভয় পায়, তখন তাদের দিয়ে কাজ করানো সহজ হয় না।’
ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফেডারেল ওয়ার্কার্সের নির্বাহী পরিচালক স্টিভ লেনকার্ট এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নতুন এই শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য হলো ফেডারেল সরকারের ভেতরে ‘গোপন পুলিশ বাহিনী’ তৈরি করা। তিনি বলেন, ‘আগামী প্রশাসন খোলাখুলিভাবে বলেছে যে, তারা শিডিউল এফ ব্যবহার করে পেশাদার কর্মীদের রাজনৈতিক আনুগত্য যাচাইয়ের আওতায় আনবে এবং যাদের পছন্দ নয়, তাদের বাদ দিয়ে দেবে।’
ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোনীত ব্যক্তিরা কী ভূমিকা পালন করবেন, কিংবা ‘গোপন পুলিশ’ গঠনের অভিযোগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের মুখপাত্র হিউজেস।
এদিকে, গত বুধবার মার্কিন সিনেটের শুনানিতে রাশেল ভাউট এবং পাম বন্ডি শিডিউল এফ-এর নীতিগুলোকে সমর্থন করেছেন। ভাউট তাঁর বক্তব্যে বলেন, তিনি মনে করেন, ফেডারেল সরকারের কিছু অংশ ‘অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত’ হয়েছে। ট্রাম্পকে গণহারে চাকরিচ্যুতির পরামর্শ দিয়েছেন কি না—এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, স্থায়ী কর্মীদের নতুনভাবে শ্রেণিবিন্যাস করলে নিশ্চিত করা যাবে যে, নীতি প্রণয়নে প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিভঙ্গি ও এজেন্ডা প্রতিফলিত হবে।
বন্ডি তাঁর শুনানিতে বলেন, বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের ট্রাম্প-সংক্রান্ত তদন্ত বিচার বিভাগের পক্ষপাতিত্বের প্রমাণ। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন না, কিন্তু ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের তদন্ত করার বিষয়ে সরাসরি কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। বাইডেন প্রশাসনের বিচার বিভাগ অনেক আগে থেকেই বলে আসছে যে, তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেনি। তবে শুক্রবার এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
নতুন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারী ফেডারেল কর্মীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরে রক্ষণশীল মার্কিনিদের একটি সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত আমেরিকান অ্যাকাউন্টেবিলিটি ফাউন্ডেশন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনীত পিট হেগসেথকে একটি চিঠি পাঠায়। এতে তারা মার্কিন সামরিক বাহিনীর ২০ জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে। ফাউন্ডেশনটি মনে করে, এসব কর্মকর্তা বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগে অতিরিক্ত মনোযোগী।
বিদায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এ ধরনের উদ্যোগকে সমর্থন করে বলেছেন, বৈচিত্র্যপূর্ণ সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের বৈচিত্র্যের প্রতিফলন। তবে পেন্টাগন এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের কাছে লোক পাঠিয়েছে।
আমেরিকান অ্যাকাউন্টেবিলিটি ফাউন্ডেশন তাদের ওয়েবসাইটে ‘শীর্ষ ১০ লক্ষ্যবস্তু’ শিরোনামে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে স্বরাষ্ট্র ও বিচার বিভাগের কর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের দাবি, এই কর্মীরা সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছেন। সংগঠনের মুখপাত্র ইটজ ফ্রিডম্যান বলেছেন, আরও নাম প্রকাশ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকেই দেশটির ফেডারেল সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করতে প্রস্তুত। ট্রাম্প ও তাঁর মিত্রদের দাবিকৃত ‘ডিপ স্টেট’ ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনায়ও তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। জো বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে কাজ করা দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই একটি নির্বাহী আদেশ জারি করতে পারেন। যার মাধ্যমে ফেডারেল সরকারের প্রায় ৫০ হাজার স্থায়ী কর্মীর চাকরির সুরক্ষা বাতিল করা হবে। এতে এসব পদে স্থায়ী কর্মীদের পরিবর্তনে নিজের পছন্দের ও অনুগত লোকদের নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
এ ছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব ফেডারেল সরকারের বিভিন্ন বিভাগে হাজারো রাজনৈতিক নিয়োগ সম্পন্ন করার পরিকল্পনাও করছে। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হলো, সরকারের বিভিন্ন স্তরে গভীরভাবে অনুগত লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা, যা সাম্প্রতিক কোনো প্রেসিডেন্টের তুলনায় অনেক বেশি।
রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ট্রাম্পের দল এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ ৩ কূটনীতিকের পদত্যাগ চেয়েছে। তারা দপ্তরের কর্মী ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম দেখভাল করতেন। এটি ভবিষ্যতে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্পের মিত্ররা বিশ্বাস করেন, তাঁর প্রথম মেয়াদে বিচার বিভাগ, শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছিল অসহযোগী আমলাদের কারণে।
প্রায় এক ডজন শীর্ষ পর্যায়ের নিয়োগপ্রাপ্তদের ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ফেডারেল কর্মক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার দায়িত্ব দিয়েছেন বা এই পরিকল্পনার প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। এর আগে, ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষে তিনি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন, যা ‘শিডিউল এফ’ নামে পরিচিত। এটি ছিল ফেডারেল কর্মীদের চাকরির ধরন পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে স্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি থেকে সরানো এবং তাদের স্থলে রাজনৈতিক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হতো।
ট্রাম্পের আগের প্রশাসনে অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের পরিচালক রাশেল ভাউট শিডিউল এফ আদেশ পুনরায় চালু করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এ ছাড়া, সার্জিও গোর এবং জেমস শার্ক তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করবেন। শার্ক ২০২১ সালে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন। যেখানে তিনি দাবি করেন, প্রথম মেয়াদে ফেডারেল কর্মচারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাম্পের নীতিগুলো বাধাগ্রস্ত করেছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ‘গভীর রাষ্ট্র’ নির্মূলের দায়িত্বে যাদের রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মনোনীত পাম বন্ডি, এফবিআইয়ের পরিচালক মনোনীত কাশ প্যাটেল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনোনীত মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, শিক্ষামন্ত্রী প্রার্থী লিন্ডা ম্যাকমাহন এবং ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামী। তাঁরা ট্রাম্পের প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানোর কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেবেন। ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিম এ বিষয়ে নির্ধারিত সময়সূচি নিয়ে কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কারণ, এই পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নিয়মকানুন অনুযায়ী কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
সমালোচক এবং ফেডারেল কর্মচারীদের ইউনিয়ন বলছে, ‘ডিপ স্টেট’ বলে কিছু নেই। ট্রাম্প এবং তাঁর মিত্ররা এটি একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে ব্যবহার করে নির্বাহী শাখার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছেন। ফেডারেল কর্মনীতি বিশেষজ্ঞ জেমস আইজেনম্যান বলেন, ‘ট্রাম্প ভুলভাবে মনে করছেন যে, বেশির ভাগ সরকারি কর্মচারীর একটি আদর্শগত এজেন্ডা রয়েছে। বর্তমান আইনের আওতায় অযোগ্য বা অসহযোগী কর্মীদের বরখাস্ত করা সম্ভব।’
ফেডারেল নিয়মকানুন মেনে এই পরিবর্তন আনতে মাসের পর মাস সময় লাগতে পারে। তবে ট্রাম্পের দল বলেছে, তাদের লক্ষ্য এমন কর্মী নিয়োগ দেওয়া যারা আমেরিকান জনগণের অধিকার রক্ষা, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি বাস্তবায়ন এবং করদাতাদের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
শিডিউল এফ—নিয়ে আইজেনম্যান বলেন, এটি ভয় ও নীরবতার সংস্কৃতি তৈরি করবে, যা কর্মচারীদের কাজের দক্ষতায় প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, ‘মানুষ নিজের মতামত প্রকাশ করতে বা সহায়ক কোনো পরামর্শ দিতে ভয় পাবে, কারণ তারা চাকরি হারানোর আশঙ্কায় থাকবে। যখন মানুষ ভয় পায়, তখন তাদের দিয়ে কাজ করানো সহজ হয় না।’
ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফেডারেল ওয়ার্কার্সের নির্বাহী পরিচালক স্টিভ লেনকার্ট এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নতুন এই শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য হলো ফেডারেল সরকারের ভেতরে ‘গোপন পুলিশ বাহিনী’ তৈরি করা। তিনি বলেন, ‘আগামী প্রশাসন খোলাখুলিভাবে বলেছে যে, তারা শিডিউল এফ ব্যবহার করে পেশাদার কর্মীদের রাজনৈতিক আনুগত্য যাচাইয়ের আওতায় আনবে এবং যাদের পছন্দ নয়, তাদের বাদ দিয়ে দেবে।’
ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোনীত ব্যক্তিরা কী ভূমিকা পালন করবেন, কিংবা ‘গোপন পুলিশ’ গঠনের অভিযোগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের মুখপাত্র হিউজেস।
এদিকে, গত বুধবার মার্কিন সিনেটের শুনানিতে রাশেল ভাউট এবং পাম বন্ডি শিডিউল এফ-এর নীতিগুলোকে সমর্থন করেছেন। ভাউট তাঁর বক্তব্যে বলেন, তিনি মনে করেন, ফেডারেল সরকারের কিছু অংশ ‘অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত’ হয়েছে। ট্রাম্পকে গণহারে চাকরিচ্যুতির পরামর্শ দিয়েছেন কি না—এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, স্থায়ী কর্মীদের নতুনভাবে শ্রেণিবিন্যাস করলে নিশ্চিত করা যাবে যে, নীতি প্রণয়নে প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিভঙ্গি ও এজেন্ডা প্রতিফলিত হবে।
বন্ডি তাঁর শুনানিতে বলেন, বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের ট্রাম্প-সংক্রান্ত তদন্ত বিচার বিভাগের পক্ষপাতিত্বের প্রমাণ। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন না, কিন্তু ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের তদন্ত করার বিষয়ে সরাসরি কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। বাইডেন প্রশাসনের বিচার বিভাগ অনেক আগে থেকেই বলে আসছে যে, তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেনি। তবে শুক্রবার এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
নতুন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারী ফেডারেল কর্মীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরে রক্ষণশীল মার্কিনিদের একটি সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত আমেরিকান অ্যাকাউন্টেবিলিটি ফাউন্ডেশন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনীত পিট হেগসেথকে একটি চিঠি পাঠায়। এতে তারা মার্কিন সামরিক বাহিনীর ২০ জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে। ফাউন্ডেশনটি মনে করে, এসব কর্মকর্তা বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগে অতিরিক্ত মনোযোগী।
বিদায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এ ধরনের উদ্যোগকে সমর্থন করে বলেছেন, বৈচিত্র্যপূর্ণ সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের বৈচিত্র্যের প্রতিফলন। তবে পেন্টাগন এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের কাছে লোক পাঠিয়েছে।
আমেরিকান অ্যাকাউন্টেবিলিটি ফাউন্ডেশন তাদের ওয়েবসাইটে ‘শীর্ষ ১০ লক্ষ্যবস্তু’ শিরোনামে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে স্বরাষ্ট্র ও বিচার বিভাগের কর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের দাবি, এই কর্মীরা সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছেন। সংগঠনের মুখপাত্র ইটজ ফ্রিডম্যান বলেছেন, আরও নাম প্রকাশ করা হবে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪