কাজী ফারহান হোসেন পূর্ব
কখনো কি খেয়াল করেছ যে স্মার্টফোনে অতিরিক্ত ফাইল জমে গেলে তা এক প্রকার অচল হয়ে পড়ে? এ অবস্থার প্রতিকারে আমরা স্মার্টফোন থেকে বিভিন্ন অযাচিত ফাইল ফেলে দিই। ঠিক তেমনিভাবে আমাদের মনেও কিন্তু জমে যায় রাগ, ক্রোধ, নেতিবাচকতা, ইত্যাদি নানা রকমের ময়লা। ফলে দৈনন্দিন জীবন যেমন কঠিন হয়ে যায়, তেমনি কঠিন হয় পড়ালেখায় মনোযোগ দেওয়া। তাই কৌশলে দূর করতে হয় মনের ময়লা। কিন্তু কীভাবে তা করা যায়? এ নিয়েই কোয়ান্টাম মেথড এবং লেখকের অভিজ্ঞতার আলোকে আজকের আলোচনা।
কাগজ কুটি পদ্ধতি
আমাদের মনের কোণে অযাচিত চিন্তা, ভয়, ক্রোধ, ইত্যাদি জমা হওয়ার মূল কারণ সেগুলোর সঠিক বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে না পারা। তবে ভয়ের কিছু নেই। এসব নেতিবাচক চিন্তা মন থেকে বের করে দেওয়ার জন্য আছে হরেক রকমের পদ্ধতি। এর মধ্যে একটি হতে পারে ‘কাগজ কুটি’ পদ্ধতি। এর জন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সঙ্গে নেবে কিছু কাগজ এবং একটি কলম। সবকিছু সঙ্গে নিয়ে তুমি বুক ভরে নিশ্বাস নিয়ে নিজেকে শিথিল করে কাগজে তোমার যত নেতিবাচক চিন্তা, ক্ষোভ, না পাওয়া কথা আছে, তা লেখা শুরু করবে। লেখার সময় ব্যাকরণ, বানান শুদ্ধ হলো কি না, তা দেখা লাগবে না। কী লিখলে তাও তোমার পড়া লাগবে না। তোমার কাজ হবে শুধু লিখে যাওয়া, যত ক্ষোভ, অভিমান, নেতিবাচক চিন্তা তোমার মাথায় আসে—সবকিছু কাগজে স্থান দেওয়া। এই প্রক্রিয়ায় কাউকে যদি গালি দিতে বা কটু কথা বলতে ইচ্ছা করে তাতেও কার্পণ্য করবে না। দেখবে যে লিখতে লিখতে একসময় তোমার লেখার গতি কমে আসছে, নিজেকে অনেক হালকা মনে হচ্ছে। আর কিছু আসছে না। তখন তুমি কাগজটা নিয়ে ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেবে। কল্পনা করবে তোমার সব নেতিবাচক চিন্তা, অন্তরের ময়লা তুমি ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিয়েছ। সঙ্গেই সঙ্গেই দেখবে তোমার খুবই ভালো লাগছে, মেজাজটা ফুরফুরে লাগছে! তারপর দেখবে তোমার বেশ ভালো একটা ঘুম হচ্ছে।
কল্পনায় কাগজ কুটি পদ্ধতি
তুমি চাইলে কাগজ কুটি পদ্ধতির পুরোটাই কল্পনার মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারো। এ জন্য ঘুমানোর আগে তুমি নিজেকে শিথিল করে বিছানায় শুয়ে কল্পনা করবে যে তুমি কাগজে তোমার সব নেতিবাচক চিন্তা লিখছ। কী লিখছ তা পড়ার কোনো প্রয়োজন নেই। ব্যাকরণ, বানান ঠিক হলো কি না, তা দেখারও কোনো দরকার নেই। যখন দেখবে তুমি আর লিখতে পারছ না, তখন তোমার কাগজটা কল্পনায় ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেবে; কিংবা আগুনে পুড়িয়ে ফেলবে। দেখবে খুব শান্তি লাগছে। এই একই কাজ তুমি কল্পনায় একটা হোয়াইট বোর্ডে লিখে এবং কাজ শেষে সম্পূর্ণ হোয়াইট বোর্ড মুছেও করতে পারো। একই ফল পাবে।
ডিজিটাল পদ্ধতি
ওপরের পদ্ধতিগুলো ছাড়াও লেখকের আরেকটা পছন্দের পদ্ধতি আছে। সেটা হলো ডিজিটাল পদ্ধতি। যেহেতু প্রায় সবাই এখন স্মার্টফোনে বার্তা লেখায় অভ্যস্ত, তাই পদ্ধতিটি বেশ কার্যকরী। এ পদ্ধতি কাজে লাগাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোনের নোটপ্যাডে তোমার সব নেতিবাচক চিন্তা লিখতে পারো। লেখাগুলো কিন্তু তুমি মোটেও পড়বে না। লেখা শেষে সব লেখা নির্বাচন করে মনের শান্তিতে সেগুলো ডিলিট করে দেবে। দেখবে বুক থেকে নেতিবাচকতার পাহাড় নেমে গেছে। তারপর দেখবে তুমি এক শান্তির ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছ।
ওপরের পদ্ধতিগুলোর যেকোনো একটি অনুসরণ করলেই তুমি তোমার মনের সব আবর্জনা দূর করে খুব সুন্দর মেজাজের অধিকারী হতে পারবে। মনের ময়লা দূর করার এ পদ্ধতি শুরুতে সপ্তাহে প্রতিদিন এবং পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে যেকোনো দুই দিন করলেই চলবে। ধীরে ধীরে খেয়াল করবে তোমার সব দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনা চলে গেছে, তুমি পড়ালেখা, কাজে এবং জীবনের সব জায়গায় আনন্দের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মনোযোগ দিতে এবং জীবনকে উপভোগ করতে পারছ।
উল্লেখ্য, ‘কাগজ কুটি’ পদ্ধতির জন্য কাগজগুলো খুব ভালো এবং নতুন হতে হবে, এমন নয়; বরং যেকোনো পুরোনো ব্যবহৃত কাগজ হলেও সমস্যা নেই। এতে অতিরিক্ত সম্পদের ব্যবহার এবং অপচয় কমবে।
কখনো কি খেয়াল করেছ যে স্মার্টফোনে অতিরিক্ত ফাইল জমে গেলে তা এক প্রকার অচল হয়ে পড়ে? এ অবস্থার প্রতিকারে আমরা স্মার্টফোন থেকে বিভিন্ন অযাচিত ফাইল ফেলে দিই। ঠিক তেমনিভাবে আমাদের মনেও কিন্তু জমে যায় রাগ, ক্রোধ, নেতিবাচকতা, ইত্যাদি নানা রকমের ময়লা। ফলে দৈনন্দিন জীবন যেমন কঠিন হয়ে যায়, তেমনি কঠিন হয় পড়ালেখায় মনোযোগ দেওয়া। তাই কৌশলে দূর করতে হয় মনের ময়লা। কিন্তু কীভাবে তা করা যায়? এ নিয়েই কোয়ান্টাম মেথড এবং লেখকের অভিজ্ঞতার আলোকে আজকের আলোচনা।
কাগজ কুটি পদ্ধতি
আমাদের মনের কোণে অযাচিত চিন্তা, ভয়, ক্রোধ, ইত্যাদি জমা হওয়ার মূল কারণ সেগুলোর সঠিক বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে না পারা। তবে ভয়ের কিছু নেই। এসব নেতিবাচক চিন্তা মন থেকে বের করে দেওয়ার জন্য আছে হরেক রকমের পদ্ধতি। এর মধ্যে একটি হতে পারে ‘কাগজ কুটি’ পদ্ধতি। এর জন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সঙ্গে নেবে কিছু কাগজ এবং একটি কলম। সবকিছু সঙ্গে নিয়ে তুমি বুক ভরে নিশ্বাস নিয়ে নিজেকে শিথিল করে কাগজে তোমার যত নেতিবাচক চিন্তা, ক্ষোভ, না পাওয়া কথা আছে, তা লেখা শুরু করবে। লেখার সময় ব্যাকরণ, বানান শুদ্ধ হলো কি না, তা দেখা লাগবে না। কী লিখলে তাও তোমার পড়া লাগবে না। তোমার কাজ হবে শুধু লিখে যাওয়া, যত ক্ষোভ, অভিমান, নেতিবাচক চিন্তা তোমার মাথায় আসে—সবকিছু কাগজে স্থান দেওয়া। এই প্রক্রিয়ায় কাউকে যদি গালি দিতে বা কটু কথা বলতে ইচ্ছা করে তাতেও কার্পণ্য করবে না। দেখবে যে লিখতে লিখতে একসময় তোমার লেখার গতি কমে আসছে, নিজেকে অনেক হালকা মনে হচ্ছে। আর কিছু আসছে না। তখন তুমি কাগজটা নিয়ে ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেবে। কল্পনা করবে তোমার সব নেতিবাচক চিন্তা, অন্তরের ময়লা তুমি ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিয়েছ। সঙ্গেই সঙ্গেই দেখবে তোমার খুবই ভালো লাগছে, মেজাজটা ফুরফুরে লাগছে! তারপর দেখবে তোমার বেশ ভালো একটা ঘুম হচ্ছে।
কল্পনায় কাগজ কুটি পদ্ধতি
তুমি চাইলে কাগজ কুটি পদ্ধতির পুরোটাই কল্পনার মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারো। এ জন্য ঘুমানোর আগে তুমি নিজেকে শিথিল করে বিছানায় শুয়ে কল্পনা করবে যে তুমি কাগজে তোমার সব নেতিবাচক চিন্তা লিখছ। কী লিখছ তা পড়ার কোনো প্রয়োজন নেই। ব্যাকরণ, বানান ঠিক হলো কি না, তা দেখারও কোনো দরকার নেই। যখন দেখবে তুমি আর লিখতে পারছ না, তখন তোমার কাগজটা কল্পনায় ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেবে; কিংবা আগুনে পুড়িয়ে ফেলবে। দেখবে খুব শান্তি লাগছে। এই একই কাজ তুমি কল্পনায় একটা হোয়াইট বোর্ডে লিখে এবং কাজ শেষে সম্পূর্ণ হোয়াইট বোর্ড মুছেও করতে পারো। একই ফল পাবে।
ডিজিটাল পদ্ধতি
ওপরের পদ্ধতিগুলো ছাড়াও লেখকের আরেকটা পছন্দের পদ্ধতি আছে। সেটা হলো ডিজিটাল পদ্ধতি। যেহেতু প্রায় সবাই এখন স্মার্টফোনে বার্তা লেখায় অভ্যস্ত, তাই পদ্ধতিটি বেশ কার্যকরী। এ পদ্ধতি কাজে লাগাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোনের নোটপ্যাডে তোমার সব নেতিবাচক চিন্তা লিখতে পারো। লেখাগুলো কিন্তু তুমি মোটেও পড়বে না। লেখা শেষে সব লেখা নির্বাচন করে মনের শান্তিতে সেগুলো ডিলিট করে দেবে। দেখবে বুক থেকে নেতিবাচকতার পাহাড় নেমে গেছে। তারপর দেখবে তুমি এক শান্তির ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছ।
ওপরের পদ্ধতিগুলোর যেকোনো একটি অনুসরণ করলেই তুমি তোমার মনের সব আবর্জনা দূর করে খুব সুন্দর মেজাজের অধিকারী হতে পারবে। মনের ময়লা দূর করার এ পদ্ধতি শুরুতে সপ্তাহে প্রতিদিন এবং পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে যেকোনো দুই দিন করলেই চলবে। ধীরে ধীরে খেয়াল করবে তোমার সব দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনা চলে গেছে, তুমি পড়ালেখা, কাজে এবং জীবনের সব জায়গায় আনন্দের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মনোযোগ দিতে এবং জীবনকে উপভোগ করতে পারছ।
উল্লেখ্য, ‘কাগজ কুটি’ পদ্ধতির জন্য কাগজগুলো খুব ভালো এবং নতুন হতে হবে, এমন নয়; বরং যেকোনো পুরোনো ব্যবহৃত কাগজ হলেও সমস্যা নেই। এতে অতিরিক্ত সম্পদের ব্যবহার এবং অপচয় কমবে।
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আজ সোমবার ঢাকার নিশাতনগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিন শিন গ্রুপ এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সহযোগিতা
৪ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শুধু শিক্ষার্থীরা না বহু সংগঠন ঢাকা শহরে আন্দোলন করছে। তাঁরা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছে, এর সমাধান কী করে হবে, আমি তো একা সমাধান করতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমাদ
৬ ঘণ্টা আগেপ্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
১৬ ঘণ্টা আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
১৬ ঘণ্টা আগে