নূসরাত জাহান
পড়াশোনার সংজ্ঞা কী, জানতে চাইলে অনেকেই ঘাবড়ে যাবে। খানিক পর কেউ বলবে, পড়াশোনা মানে বই পড়া আর পড়ে নতুন কিছু শেখা। শুনতে সহজ। তবে এ সহজ কাজেরও আছে কিছু কৌশল। জনপ্রিয় দুটি কৌশল হলো—এসকিউথ্রিআর এবং ফাইনম্যান টেকনিক।
এসকিউথ্রিআর
‘এস’ ও ‘কিউ’ দিয়ে হয় সার্ভে ও কোয়েশ্চেন। তিনটা ‘আর’ দিয়ে হয়—রিড, রিসাইট, রিভিউ।
সার্ভে: এর বাংলা জরিপ। তবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে জরিপটা চালাতে হবে বইয়ের অধ্যায়ের ওপর। নতুন কোনো অধ্যায় শুরুর আগে গোটা অধ্যায়ে চোখ বোলানোই হলো জরিপ। আর এ ক্ষেত্রে শুরুতেই তোমাকে অধ্যায়ের প্রতিটি শিরোনাম, উপ-শিরোনামগুলো টুকে নিতে হবে। মাথায় ঢুকিয়ে নিতে হবে অধ্যায়টা কিসের ওপর এবং তাতে কী কী ছবি আছে।
কোয়েশ্চেন: এবার প্রশ্ন খোঁজার পালা। তবে যেকোনো অধ্যায় পড়ার আগে কিছু প্রশ্নের উত্তর আলাদা করে জেনে নিতেই হবে—অধ্যায়টা কিসের ওপর? এ অধ্যায় থেকে কী কী শেখার আছে? এ অধ্যায় সম্পর্কে আমি আগে থেকে কী কী জানি? নতুন করে কী জানতে হবে?
রিড: পড়তে তো হবেই। তবে কৌশলের এই ধাপে মূলত গোটা অধ্যায়টিকে একবারে পড়ে ফেলার কথাই বলা হয়েছে। এতে শুরুতেই পুরো অধ্যায় সম্পর্কে ধারণা পোক্ত হবে এবং নতুন করে আরও প্রশ্ন গজাবে মাথায়।
রিসাইট: একটি অংশ পড়ার পর ওই অংশটুকু পড়ে কী জানলে সেটা এবার নিজের মতো লেখার পালা। মূল পয়েন্টগুলো মনে করার চেষ্টা করতে হবে এবং আগের ধাপে তৈরি করা প্রশ্নগুলোর উত্তর বের করতে হবে।
রিভিউ: পুরো অধ্যায় পড়া শেষে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা না করে নিজেকে যাচাই করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে গোটা অধ্যায় থেকে কুইজের প্রশ্ন বাছাই করে নিতে পারো। সৃজনশীল প্রশ্ন বানিয়ে নিতে পারো নিজের মতো করে। নিজেকে যাচাইয়ের সময় দরকার হলে যেকোনো অংশে আবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারো।
ফাইনম্যান টেকনিক
বিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যান পড়াশোনার এ কৌশল আবিষ্কার করেছেন। তিনি বলতেন, কোনো কিছু ভালো করে শেখার উপায় হলো সেটাকে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করতে শেখা। এর মানে হলো, আমরা যখন কোনো কিছু নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি, তখন সেটা আরও দ্রুত শিখি। মূলত বিজ্ঞানের বিষয়গুলো পড়ার ক্ষেত্রেই ফাইনম্যান কয়েকটি ধাপের কথা বলেছেন—
যে বিষয়টি শিখবে সেটার শিরোনাম একটা কাগজের ওপর লিখে নাও।
এরপর ওই কাগজের ওপর বিষয়টাকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে থাকো, যেন তুমি তা আরেকজনকে শেখাচ্ছ। নিজের সেই ব্যাখ্যায় চোখ বোলাও, কোথায় কী ভুল করলে এবং কেন করলে সেটা বের করো। বই থেকে সেটার উত্তর খুঁজে আবার ব্যাখ্যা করো।
কাজটা শেষ হলে নিজের ব্যাখ্যায় আবার চোখ বোলাও। সেখানে কোথাও জটিল কোনো টার্ম ব্যবহার করে থাকলে সেটাকে আবার সরল করার চেষ্টা করো।
পড়াশোনার সংজ্ঞা কী, জানতে চাইলে অনেকেই ঘাবড়ে যাবে। খানিক পর কেউ বলবে, পড়াশোনা মানে বই পড়া আর পড়ে নতুন কিছু শেখা। শুনতে সহজ। তবে এ সহজ কাজেরও আছে কিছু কৌশল। জনপ্রিয় দুটি কৌশল হলো—এসকিউথ্রিআর এবং ফাইনম্যান টেকনিক।
এসকিউথ্রিআর
‘এস’ ও ‘কিউ’ দিয়ে হয় সার্ভে ও কোয়েশ্চেন। তিনটা ‘আর’ দিয়ে হয়—রিড, রিসাইট, রিভিউ।
সার্ভে: এর বাংলা জরিপ। তবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে জরিপটা চালাতে হবে বইয়ের অধ্যায়ের ওপর। নতুন কোনো অধ্যায় শুরুর আগে গোটা অধ্যায়ে চোখ বোলানোই হলো জরিপ। আর এ ক্ষেত্রে শুরুতেই তোমাকে অধ্যায়ের প্রতিটি শিরোনাম, উপ-শিরোনামগুলো টুকে নিতে হবে। মাথায় ঢুকিয়ে নিতে হবে অধ্যায়টা কিসের ওপর এবং তাতে কী কী ছবি আছে।
কোয়েশ্চেন: এবার প্রশ্ন খোঁজার পালা। তবে যেকোনো অধ্যায় পড়ার আগে কিছু প্রশ্নের উত্তর আলাদা করে জেনে নিতেই হবে—অধ্যায়টা কিসের ওপর? এ অধ্যায় থেকে কী কী শেখার আছে? এ অধ্যায় সম্পর্কে আমি আগে থেকে কী কী জানি? নতুন করে কী জানতে হবে?
রিড: পড়তে তো হবেই। তবে কৌশলের এই ধাপে মূলত গোটা অধ্যায়টিকে একবারে পড়ে ফেলার কথাই বলা হয়েছে। এতে শুরুতেই পুরো অধ্যায় সম্পর্কে ধারণা পোক্ত হবে এবং নতুন করে আরও প্রশ্ন গজাবে মাথায়।
রিসাইট: একটি অংশ পড়ার পর ওই অংশটুকু পড়ে কী জানলে সেটা এবার নিজের মতো লেখার পালা। মূল পয়েন্টগুলো মনে করার চেষ্টা করতে হবে এবং আগের ধাপে তৈরি করা প্রশ্নগুলোর উত্তর বের করতে হবে।
রিভিউ: পুরো অধ্যায় পড়া শেষে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা না করে নিজেকে যাচাই করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে গোটা অধ্যায় থেকে কুইজের প্রশ্ন বাছাই করে নিতে পারো। সৃজনশীল প্রশ্ন বানিয়ে নিতে পারো নিজের মতো করে। নিজেকে যাচাইয়ের সময় দরকার হলে যেকোনো অংশে আবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারো।
ফাইনম্যান টেকনিক
বিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যান পড়াশোনার এ কৌশল আবিষ্কার করেছেন। তিনি বলতেন, কোনো কিছু ভালো করে শেখার উপায় হলো সেটাকে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করতে শেখা। এর মানে হলো, আমরা যখন কোনো কিছু নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি, তখন সেটা আরও দ্রুত শিখি। মূলত বিজ্ঞানের বিষয়গুলো পড়ার ক্ষেত্রেই ফাইনম্যান কয়েকটি ধাপের কথা বলেছেন—
যে বিষয়টি শিখবে সেটার শিরোনাম একটা কাগজের ওপর লিখে নাও।
এরপর ওই কাগজের ওপর বিষয়টাকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে থাকো, যেন তুমি তা আরেকজনকে শেখাচ্ছ। নিজের সেই ব্যাখ্যায় চোখ বোলাও, কোথায় কী ভুল করলে এবং কেন করলে সেটা বের করো। বই থেকে সেটার উত্তর খুঁজে আবার ব্যাখ্যা করো।
কাজটা শেষ হলে নিজের ব্যাখ্যায় আবার চোখ বোলাও। সেখানে কোথাও জটিল কোনো টার্ম ব্যবহার করে থাকলে সেটাকে আবার সরল করার চেষ্টা করো।
কিছু শব্দ বা ফ্রেজ বর্ণনার অবকাঠামো গঠন করে, গতি ও প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি কথার বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংযোগও তৈরি করে—যা বলা হয়েছে এবং যা বলা হবে। এদেরই বলা হয় ডিসকোর্স মার্কার। এ নিয়েই আমাদের আজকের পাঠদান।
২ ঘণ্টা আগেনাভাল রবিকান্তের মতে, সম্পদ শুধু টাকা বা সামাজিক মর্যাদা নয়। সত্যিকারের সম্পদ এমন কিছু, যা ঘুমানোর সময়ও উপার্জিত হতে থাকে। এটি মানুষকে আর্থিক ও মানসিক স্বাধীনতা দেয়। তিনি বিশ্বাস করেন, টাকা বানানো একটি দক্ষতা, যা শেখা যায়। শুধু কঠোর পরিশ্রম নয়, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতা প্রয়োগের মাধ্যমে অর্থ উপার্জ
৬ ঘণ্টা আগেস্নাতক পর্যায়ের বেসরকারি কলেজগুলো থেকে পরিচালনা পর্ষদ বা গভর্নিং বডির সদস্যরা কোনো আর্থিক সুবিধা বা সম্মানী নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সঙ্গে এ কলেজগুলোর গভর্নিং বডি ও অ্যাডহক বা অস্থায়ী কমিটির সভাপতি বা বিদ্যোৎসাহী সদস্য...
১১ ঘণ্টা আগেবিশেষ ছাড়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে সামার সেমিস্টার ২০২৫-এর ভর্তি শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত এই বিশেষ ছাড় চলবে। এ সময়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ওয়েভার ছাড়াও অতিরিক্ত ছাড়ে (সর্বোচ্চ ৫৮ হাজার টাকা) ভর্তি হতে পারবেন...
১৪ ঘণ্টা আগে