সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বদলি: দুর্গম অঞ্চলে এক বছর

রাহুল শর্মা, ঢাকা
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪, ০১: ২১

সমতলের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তাকে পার্বত্য (রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) অঞ্চলে এবং দুর্গম চর ও হাওর অঞ্চলে বদলি করা হলে তাঁকে এক বছর সেখানে চাকরি করতে হবে। এরপর তিনি অন্য জেলায় বদলির আবেদন করতে পারবেন। কোনো শিক্ষকের বয়স ৫৭ বছরের বেশি হলে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বদলি করা যাবে না।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য বদলি নীতিমালা-২০২৪-এর খসড়ায় এসব বিধান রয়েছে। এই নীতিমালা চূড়ান্ত করতে ৪ মার্চ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা হয়েছে। শিগগির নীতিমালাটি জারি করা হতে পারে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলির নীতিমালার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

দেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬২৭টি এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে ৬৪টি। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মকর্তা রয়েছেন প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার।

খসড়া নীতিমালায় রয়েছে, প্রতি শিক্ষাবর্ষের অক্টোবরে বদলি কার্যক্রম শুরু হবে। এ কার্যক্রম চলবে অনলাইনে। বদলির আবেদন করতে চাকরিকাল ৩ বছর হতে হবে এবং এর জন্য উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে। তবে সরকার চাইলে যেকোনো শিক্ষক-কর্মকর্তাকে যেকোনো সময় বদলি করতে পারবে। মহানগর ও জেলা সদরে কর্মরত শিক্ষকের চাকরি একই প্রতিষ্ঠানে টানা ৬ বছরের বেশি হলে তাঁকে নিজ জেলায় অথবা কর্মস্থলের পাশের জেলায় বদলি করা হবে।

বদলির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিজ জেলা/পার্শ্ববর্তী জেলায় পদায়নে গুরুত্ব দেওয়া, সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদের বিপরীতে অন্য বিষয়ে শিক্ষক বদলি/পদায়ন না করা ইত্যাদি খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মাউশি সূত্র জানায়, এত দিন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলির জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছিল না। ১৯৯৪ সালের একটি পরিপত্র এবং ২০০৫ সালের একটি অফিস আদেশ অনুযায়ী বদলি/পদায়ন করা হতো। ২০২২ সালের ২৪ মে বদলির জন্য খসড়া নীতিমালা করে আট সদস্যের কমিটি।

নীতিমালায় ১৬টি পদে বদলির জন্য অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ছয়টি পদের (উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, বিদ্যালয় পরিদর্শক/পরিদর্শিকা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক/পরিদর্শিকা) অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব। সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা, সহকারী প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ আটটি পদের অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ মাউশি মহাপরিচালক। বাকি দুটি পদের—সিনিয়র শিক্ষক, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (একই অঞ্চল) বদলির আবেদন অনুমোদন করবেন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের উপপরিচালক।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে বিশেষ কোনো প্রয়োজনে প্রেষণে নিয়োগ/ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব/চলতি দায়িত্ব/অতিরিক্ত দায়িত্ব/সংযুক্ত/সমবেতন গ্রেডে পদায়নেও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।

বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দীন মাহমুদ সালমী বদলির নীতিমালা তৈরির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এতে বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের ভারসাম্য রক্ষা হবে, যা পাঠদান কার্যক্রমে গতিশীলতা আনবে। তবে বছরে দুবার বদলির আবেদনের সুযোগ রাখা উচিত।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত