Ajker Patrika

শিক্ষকেরা না বুঝে শিক্ষার্থীদের ডিম ভাজি–আলুভর্তা বানিয়ে আনতে বলছেন: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শিক্ষকেরা না বুঝে শিক্ষার্থীদের ডিম ভাজি–আলুভর্তা বানিয়ে আনতে বলছেন: শিক্ষামন্ত্রী

নোট গাইড ব্যবসায়ী ও কোচিং বাণিজ্যে জড়িত কিছু শিক্ষক নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে জাতীয় সংসদে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বাণিজ্য বন্ধ হবে এমন আশঙ্কা করেই তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে দাবি তাঁর। অনেক শিক্ষক না বুঝে শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে খাবার রান্না করে আনার অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। 

আজ রোববার জাতীয় সংসদে ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় বিলের সংশোধনী প্রস্তাবের আলোচনায় এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। এর আগে বিলের সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। 

নতুন শিক্ষা কার্যক্রমে বাড়ি থেকে রান্না করে আনা, মোরগ পালন, দাবি আট পেপার কেনা ইত্যাদির মতো অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ক্ষোভ জানিয়ে আসছেন অভিভাবকেরা। এ নিয়ে মানববন্ধনও হয়েছে। আজ সংসদে সেসব বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। 

শিক্ষাক্রম নিয়ে কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যারা কোচিংয়ে ব্যস্ত থাকেন, কোচিং ব্যবসায়ীরা এটাকে বিকৃত করার জন্য, তারা কিছুটা এটা করেছেন। শহরের কিছু বিদ্যালয় এটা করছে। তাদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বাচ্চারা স্কুলে পিকনিক করে রান্না শিখবে। এই রান্নার মধ্যে খাদ্য পুষ্টি...এই রান্না করাটাও যে একটা আর্ট। এর মধ্যে একটি পরিমিতিবোধ থাকতে হয়। অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়—তার সবকিছুই (শিক্ষার্থীরা) শিখবে। আমরা কি পিকনিক করিনি? কাজেই এটা একটা অপপ্রচার করা হচ্ছে। বাড়ি থেকে রান্না করে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। যারা করছেন তাঁরা এটা প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য করছেন।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘আর্ট পেপার কিনতে হবে...ব্যয়বহুল, এটাও না বোঝার ফল। আর্ট পেপার মোটেও কিনবার কথা নয়। বাড়ির পুরোনো খবরের কাগজ, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। এটাও কিছু শিক্ষক ইচ্ছাকৃতভাবে করাচ্ছেন। আর মোরগ পালন মোটেই করতে হবে না। এখানেও একটি বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে।’ 

আন্দোলনকারীদের পেছনে কতিপয় শিক্ষকদের জড়িত থাকার অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কয়েক জায়গায় মানববন্ধন দেখেছি। আমরা তদন্ত করেছি। সেখানকার স্কুলগুলো জানিয়েছে এই অভিভাবকেরা তাদের অভিভাবক নন। অনেকে কোন অভিভাবকও নয়। এটা হলো মূলত কোচিং ব্যবসায়ী ও নোট গাইড ব্যবসায়ী। তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছে, তাদের ব্যবসা হয়তো উঠে যাবে। হাতেকলমে লিখে লিখে পরীক্ষা রাখার অর্থই হচ্ছে আমরা কোচিং ব্যবসাটা চালু রাখতে চাই।’ 

নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা পদ্ধতি রাখা হয়নি—এ বিষয়টি একেবারেই সত্য নয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আগে কেবল ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক পরীক্ষা হতো। এখন বরং ধারাবাহিক মূল্যায়ন হয়। প্রতিদিন শিক্ষার্থী কী শিখছে, সে কেমন করে শিখছে, সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে কী না—তার সবকিছুর মূল্যায়ন হয়। সেই মূল্যায়ন নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে...এ জন্য অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষকেরা এটি সহজে করতে পারবেন। এখন ম্যানুয়ালি করতে হচ্ছে বলে একটু সমস্যা হচ্ছে।’ 

নতুন শিক্ষাক্রম চালুর কারণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্বমানের যে শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলা হয় সেখানে তফাতটা কোথায়—এটা নিয়ে বারবার আলাপ হয়েছে। সফট স্কিলের জায়গায় আমরা বারবার পিছিয়ে পড়ছি। আমরা কমিউনিকেট করতে পারছি না। আমাদের সূক্ষ্ম চিন্তার দক্ষতা, আমাদের সমস্যা নিরূপণ ও সমাধানের দক্ষতা, আমাদের কোলাবরেশনের দক্ষতা, আমরা দলগতভাবে কাজ করার দক্ষতা—এখন এই কাজটি একবারে শৈশব কৈশোর থেকে রপ্ত করবে। সেটা না করলে একেবারে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সেগুলোকে ক্যাপসুল আকারে গিলিয়ে খাওয়ায়ে দিলে সম্ভব হয় না। এর জন্য নতুন শিক্ষাক্রমে এই বিষয়গুলো শেখানো হচ্ছে।’ 

নতুন যেকোনো কিছু গ্রহণের ক্ষেত্রে তো অনেক রকম প্রতিরোধ থাকে যার কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন, গুটি কয়েক অ্যাসাইনমেন্ট, গ্রুপ ওয়ার্ক, গুগল থেকে দিচ্ছে। কেবল বই নয়, এখন নানা রকম সোর্স থেকে শিক্ষার্থীরা তথ্য নেবে। সেগুলো নিয়ে গ্রুপ ওয়ার্ক করতে এবং উপস্থাপন করবে।’ 

শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে ডিম ভাজি ও আলুভাজি করে আনার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘ডিম ভাজি আলুভর্তার কথা প্রায়শই বলা হচ্ছে। এটি একেবারেই অপপ্রচার। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ১২১টি অধ্যায় আছে। এর মধ্যে জীবন–জীবিকার একটি অধ্যায় হচ্ছে রান্না। সেই রান্নাটি কেন? আমাদের শিক্ষার্থী দেখে বাড়িতে মা কিংবা অন্য কোনো একজন রান্না করে। সেই বিষয়টি যে জরুরি সে তা শেখে না। একজন মানুষ যখন রান্না করবে, সে রান্নার বিষয়টি চিন্তা করবে। একটি ১২১টি অধ্যায়ের মাত্র একটি এবং সারা বছরে একদিন মাত্র বিদ্যালয়ে পিকনিক করে রান্নাটা দেখবে। এটা বাড়িতে নয়, যেটা বাড়িতে দেওয়া হচ্ছে সেটা শিক্ষকের না বোঝার ফল। সে জন্য শিক্ষকদের বারবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’ 

নতুন শিক্ষাক্রমে এরই মধ্যে ফল পাওয়া শুরু হয়েছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেটা দরকার শিক্ষার্থীদের থেকে, আমরা সেই দক্ষতাটা পাচ্ছি। তারা কিন্তু অনেক কিছু লিখছে। এখন একটা কিছু লিখতে দেন লিখে দিতে পারে। বলতে দেন বলতে পারে। বানিয়ে দিতে বলেন বানিয়ে দিতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

শিক্ষা ডেস্ক
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।

[গতকালের পর]

ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)

১. Synonyms & Antonyms:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।

২. Spelling Correction:

Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।

৩. Idioms & Phrases:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।

ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)

যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।

জনপ্রিয় লেখক:

William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।

প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা

প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।

ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে
বৃত্তি

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।

ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।

বৃত্তির ধরন

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।

সুযোগ-সুবিধা

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।

আবেদনের যোগ্যতা

বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত