ইফরান ইউসুফ শিহাব
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা দেশের সবুজবিপ্লবের অগ্রদূত হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। উন্নত মানের বীজের ব্যবহারের সূক্ষ্মতা, আধুনিক চাষাবাদের নিখুঁত কৌশল এবং সর্বাধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সমন্বয়ে তাঁরা দেশের কৃষিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ভবিষ্যতে কৃষিবিদ, গবেষক ও উদ্ভাবক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কৃষি খাতে সৃজনশীল পরিবর্তনের পথপ্রদর্শক হতে চান। তাঁদের মেধা, পরিশ্রম ও উদ্ভাবনী ক্ষমতায় রচিত হবে এক সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ, যেখানে কৃষিই হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রধান শক্তি।
কৃষিবিদ বলতে যা বোঝায়
‘কৃষিবিদ’ শব্দের সংক্ষিপ্ত অর্থ হলো যাঁদের কৃষিবিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রয়েছে এবং তাঁদের জ্ঞান ব্যবহার করে কৃষি-সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এটি প্রয়োজনে হলে তাঁদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও থাকে কৃষি বিষয়ে অনুসন্ধান এবং উন্নয়নের জন্য। প্রকৌশল, কৃষি, চিকিৎসা (প্রকৃচি) এই তিনটি ডিগ্রিকে বলা হয় টেকনিক্যাল ডিগ্রি, যার মাধ্যমে আমাদের দেশে সরাসরি নিজস্ব ফিল্ডে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ থাকে।
‘কৃষি গুচ্ছ’ পরীক্ষাপদ্ধতি
লিখিত পরীক্ষার জন্য ১০০ নম্বর (ইংরেজি ১০; রসায়ন ২০; পদার্থবিজ্ঞান ২০; গণিত ২০; জীববিজ্ঞান ৩০) বরাদ্দ রয়েছে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হয়ে থাকে।
মেধা স্কোর নির্ধারণ
লিখিত পরীক্ষার ১০০ নম্বর এবং এসএসসি/ সমমান ও এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় ব্যতীত প্রাপ্ত জিপিএর এসএসসি/ সমমান হতে ২৫ ও এইচএসসি/ সমমান হতে ২৫ নম্বর যোগ করে ১৫০ নম্বরের মধ্যে মেধা স্কোর নির্ধারণ করা হবে। কৃষি গুচ্ছে কি সেকেন্ড টাইম আছে? হ্যাঁ, আছে। তবে সেকেন্ড টাইমের জন্য কোনো মার্ক কর্তন হয় না। কৃষিগুচ্ছে চান্স পেতে কত পাওয়া লাগে? কাট মার্ক নির্ভর করে প্রশ্নের প্যাটার্নের ওপর। তবে অনুমান করে বলা যায়, ৬০ শতাংশ মার্ক যথেষ্ট একটা সিট নিশ্চিত করার জন্য।
কৃষিগুচ্ছ প্রস্তুতি
মূল বইয়ের বিকল্প কখনোই কোনো কিছু হতে পারে না। মূল বইয়ের ওপর খুব ভালোভাবে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন এবং প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে।
ইংরেজি: বিগত বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করলে কাজে দেবে। তা ছাড়া বেসিক গ্রামারগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। তবে সাধারণ ভার্সিটির মতো প্রস্তুতি নিলেই হবে আশা করি।
রসায়ন: মূল বই সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। পাঠ্যবই এবং প্রশ্নব্যাংকের প্যারালাল প্রস্তুতি নিতে হবে। টাইপ অ্যানালাইসিস করলেই কৃষিগুচ্ছের রসায়ন প্রস্তুতি অনেকাংশেই সহজ হয়ে যায়।
পদার্থ: পদার্থবিদ্যায় অধিকাংশই থাকে গাণিতিক সমস্যা থেকে। প্রতিটি অধ্যায়ের গাণিতিক সমস্যার উদাহরণ ও বিগত বছরগুলোর ভর্তি পরীক্ষায় আসা গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে কিছু সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি আয়ত্ত করে ফেলতে হবে। মূল বইয়ের কিছু বিষয় দেখতে হবে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রশ্নব্যাংকের পেছনে বেশি সময় দেওয়া জরুরি।
গণিত: গণিতে ভালো করতে হলে প্রতিটি অধ্যায়ের সূত্র মুখস্থ রাখতে হবে। সূত্র থেকে অনেক প্রশ্ন সরাসরি দিয়ে দেয়; বিশেষ করে ক্যালকুলাসে। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হবে। শর্টকাট টেকনিক জানতে হবে।
জীববিজ্ঞান: পাঠ্যবই থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দাগিয়ে পড়তে হবে। যখন প্রশ্নব্যাংক অ্যানালাইসিস করবে, তখন নিজেদেরই ধারণা হয়ে যাবে কী পড়তে হবে। বইয়ের বোল্ড লাইনগুলো হতে পারে জীববিজ্ঞানের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’।
কৃষিবিদদের চাকরির ক্ষেত্র
বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশে কৃষিবিদদের সরকারি-বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্র নেহাত কম নয়।
বিসিএস: কৃষিতে স্নাতক শেষ করে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনে (বিসিএস) চাকরি করার সুযোগ রয়েছে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা দেশের সবুজবিপ্লবের অগ্রদূত হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। উন্নত মানের বীজের ব্যবহারের সূক্ষ্মতা, আধুনিক চাষাবাদের নিখুঁত কৌশল এবং সর্বাধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সমন্বয়ে তাঁরা দেশের কৃষিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ভবিষ্যতে কৃষিবিদ, গবেষক ও উদ্ভাবক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কৃষি খাতে সৃজনশীল পরিবর্তনের পথপ্রদর্শক হতে চান। তাঁদের মেধা, পরিশ্রম ও উদ্ভাবনী ক্ষমতায় রচিত হবে এক সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ, যেখানে কৃষিই হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রধান শক্তি।
কৃষিবিদ বলতে যা বোঝায়
‘কৃষিবিদ’ শব্দের সংক্ষিপ্ত অর্থ হলো যাঁদের কৃষিবিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রয়েছে এবং তাঁদের জ্ঞান ব্যবহার করে কৃষি-সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এটি প্রয়োজনে হলে তাঁদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও থাকে কৃষি বিষয়ে অনুসন্ধান এবং উন্নয়নের জন্য। প্রকৌশল, কৃষি, চিকিৎসা (প্রকৃচি) এই তিনটি ডিগ্রিকে বলা হয় টেকনিক্যাল ডিগ্রি, যার মাধ্যমে আমাদের দেশে সরাসরি নিজস্ব ফিল্ডে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ থাকে।
‘কৃষি গুচ্ছ’ পরীক্ষাপদ্ধতি
লিখিত পরীক্ষার জন্য ১০০ নম্বর (ইংরেজি ১০; রসায়ন ২০; পদার্থবিজ্ঞান ২০; গণিত ২০; জীববিজ্ঞান ৩০) বরাদ্দ রয়েছে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হয়ে থাকে।
মেধা স্কোর নির্ধারণ
লিখিত পরীক্ষার ১০০ নম্বর এবং এসএসসি/ সমমান ও এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় ব্যতীত প্রাপ্ত জিপিএর এসএসসি/ সমমান হতে ২৫ ও এইচএসসি/ সমমান হতে ২৫ নম্বর যোগ করে ১৫০ নম্বরের মধ্যে মেধা স্কোর নির্ধারণ করা হবে। কৃষি গুচ্ছে কি সেকেন্ড টাইম আছে? হ্যাঁ, আছে। তবে সেকেন্ড টাইমের জন্য কোনো মার্ক কর্তন হয় না। কৃষিগুচ্ছে চান্স পেতে কত পাওয়া লাগে? কাট মার্ক নির্ভর করে প্রশ্নের প্যাটার্নের ওপর। তবে অনুমান করে বলা যায়, ৬০ শতাংশ মার্ক যথেষ্ট একটা সিট নিশ্চিত করার জন্য।
কৃষিগুচ্ছ প্রস্তুতি
মূল বইয়ের বিকল্প কখনোই কোনো কিছু হতে পারে না। মূল বইয়ের ওপর খুব ভালোভাবে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন এবং প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে।
ইংরেজি: বিগত বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করলে কাজে দেবে। তা ছাড়া বেসিক গ্রামারগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। তবে সাধারণ ভার্সিটির মতো প্রস্তুতি নিলেই হবে আশা করি।
রসায়ন: মূল বই সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। পাঠ্যবই এবং প্রশ্নব্যাংকের প্যারালাল প্রস্তুতি নিতে হবে। টাইপ অ্যানালাইসিস করলেই কৃষিগুচ্ছের রসায়ন প্রস্তুতি অনেকাংশেই সহজ হয়ে যায়।
পদার্থ: পদার্থবিদ্যায় অধিকাংশই থাকে গাণিতিক সমস্যা থেকে। প্রতিটি অধ্যায়ের গাণিতিক সমস্যার উদাহরণ ও বিগত বছরগুলোর ভর্তি পরীক্ষায় আসা গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে কিছু সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি আয়ত্ত করে ফেলতে হবে। মূল বইয়ের কিছু বিষয় দেখতে হবে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রশ্নব্যাংকের পেছনে বেশি সময় দেওয়া জরুরি।
গণিত: গণিতে ভালো করতে হলে প্রতিটি অধ্যায়ের সূত্র মুখস্থ রাখতে হবে। সূত্র থেকে অনেক প্রশ্ন সরাসরি দিয়ে দেয়; বিশেষ করে ক্যালকুলাসে। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হবে। শর্টকাট টেকনিক জানতে হবে।
জীববিজ্ঞান: পাঠ্যবই থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দাগিয়ে পড়তে হবে। যখন প্রশ্নব্যাংক অ্যানালাইসিস করবে, তখন নিজেদেরই ধারণা হয়ে যাবে কী পড়তে হবে। বইয়ের বোল্ড লাইনগুলো হতে পারে জীববিজ্ঞানের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’।
কৃষিবিদদের চাকরির ক্ষেত্র
বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশে কৃষিবিদদের সরকারি-বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্র নেহাত কম নয়।
বিসিএস: কৃষিতে স্নাতক শেষ করে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনে (বিসিএস) চাকরি করার সুযোগ রয়েছে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) স্টার্টআপস নেক্সট গত বুধবার দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ভ্রমণ প্রযুক্তি নির্ভর স্টার্টআপ ‘শেয়ার ট্রিপ’-এর সঙ্গে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সফল স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জগুলো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করার কৌশল তুলে ধরেন শেয়ার ট্রিপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাদিয়া হক। অনুষ্
১ ঘণ্টা আগেইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল বুধবার আইইউবিএটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজ অব এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেসের উদ্যোগে গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব উদ্যাপিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহষ্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেজমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সামার-২০২৪ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া ৮৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টেশন...
১৪ ঘণ্টা আগে