জুবায়ের আহম্মেদ
মানবিক মূল্যবোধ, আধুনিক জ্ঞান ও উন্নত গবেষণাচর্চার সমন্বয়ে যুগোপযোগী শিক্ষা প্রবর্তনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ে তোলা এবং শিক্ষিত ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির মহান লক্ষ্য সামনে রেখে ২০০১ সালে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সামাজিক উদ্যোক্তা, উন্নয়ন কিংবদন্তি স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কেসিএমজি। তিনি বিশ্বাস করতেন একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমই সমাজ থেকে দারিদ্র্য, অসমতা, বৈষম্য ও অহিষ্ণুতা দূর করা সম্ভব। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ, তরুণ প্রজন্মকে সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে সমাজের সার্বিক উন্নয়ন সাধনই ছিল স্যার ফজলে হাসান আবেদের ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি শিক্ষার জন্য লিবারেল আর্টস কারিকুলাম পদ্ধতি অনুসরণ করে, যা নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তিতে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করে। যুগান্তকারী এই শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমসাময়িক চাহিদা পূরণে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের বিশ্বের অনেক দেশে সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষার্থীদের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করতে উৎসাহ দিয়ে থাকে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম ইংরেজি। এ বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দ্বারা স্বীকৃত এবং বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত। জ্ঞান সৃষ্টিকে উৎসাহিত করা, মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা এবং টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি বৈশ্বিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠাই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং।
কী কী প্রোগ্রামে পড়া যাবে
স্নাতক প্রোগ্রাম
ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স ইন ইকোনমিকস, ফার্মেসি, ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার, এলএলবি, ফিজিকস, অ্যাপ্লায়েড ফিজিকস অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ম্যাথমেটিকস, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োটেকনোলজি, ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স ইন অ্যানথ্রোপলজি এবং ব্যাচেলর অব আর্টস ইন ইংলিশ।
স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম
মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ), মাস্টার অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ, এমএসসি/এমইঞ্জি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি/এমইঞ্জি ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মাস্টার্স ইন ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড প্র্যাকটিস, এক্সিকিউটিভ এমবিএ, এমএসসি অ্যান্ড পিজিডি ইন আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট, মাস্টার ইন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (এমডিএম), এমএস ইন বায়োটেকনোলজি, মাস্টার ইন প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট, এমএ ইন ইংলিশ, এমএ ইন টেসোলসহ আরও বেশ কয়েকটি যুগোপযোগী প্রোগ্রাম রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে।
খরচ কেমন?
যেকোনো প্রোগ্রামে ভর্তি ফি ২৮ হাজার টাকা। ব্যাচেলর অব ফার্মেসি প্রোগ্রামে সেমিস্টার ফি ১১ হাজার ও অন্যান্য প্রোগ্রামে ৭ হাজার ৭০০ টাকা। টিউশন ফি প্রতি ক্রেডিট ৬ হাজার ৬০০ টাকা। ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচারের স্টুডিও ফি প্রতি ক্রেডিট ৭ হাজার ২০০ টাকা।
স্কলারশিপ ও ওয়েভার
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কয়েক ক্যাটাগরিতে ১০ থেকে ১০০ ভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপ দেওয়া হয়। পূর্ববর্তী একাডেমিক ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি, সিবলিং স্কলারশিপ, ব্র্যাক স্কলারশিপ, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ডিবেটারস ব্লু স্কলারশিপসহ ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দেওয়া হয়। বিস্তারিত জানতে
আবাসিক সেমিস্টার
সাভারে অবস্থিত আবাসিক সেমিস্টার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত সব শিক্ষার্থীকে আবাসিক সেমিস্টারটি সম্পন্ন করতে হয়। বছরের তিনটি সেমিস্টারের প্রতিটিতেই পর্যায়ক্রমে নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থী সাভারের এই আবাসিক ক্যাম্পাসে আসেন; কেবল পড়াশোনা নয়, ব্যতিক্রমী কিছু সময় উপভোগ করে স্মৃতির খাতা পূর্ণ করে নিয়ে যান তাঁরা। সাভার ক্যাম্পাসে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির আবাসিক সেমিস্টার (আরএস) বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার অভিজ্ঞতার মধ্যে অনন্য। এখানে ‘অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা’ নীতির ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের একটি সামগ্রিক পাঠ্যক্রম অফার করা হয়ে থাকে, যা তাঁদের মেধা বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সফ্ট স্কিল অর্জনে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। একসঙ্গে ক্যাম্পাসে থাকা ও লেখাপড়ার মাধ্যমে তাঁরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠেন, একই সঙ্গে তাদের সমাজসেবামূলক নেতৃত্বগুণের বিকাশ ঘটে।
উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে উন্নীত হতে হলে দেশীয় মানবসম্পদকে বৈশ্বিক মানে উন্নীত করাটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবসম্পদের উন্নয়নে শিক্ষার তাৎপর্যপূর্ণ একটি ভূমিকা রয়েছে। উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে কেবলমাত্র জ্ঞান সৃষ্টিই নয়, আগামীর নেতৃত্ব তৈরিতেও অবদান রাখতে চায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। সে কারণে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরেও শেখানোর নিরন্তর চেষ্টার পাশাপাশি আমরা এখন ফলপ্রসূ গবেষণা, আন্তর্জাতিক কোলাবরেশন এবং শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক উদ্যোগের মতো বিষয়গুলোতে মনোনিবেশ করেছি। মানসম্মত উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের মনোভাব, জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন বিশ্বমানের দেশীয় মানবসম্পদ তৈরিতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। কেবল বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম এমন প্রতিভাবানদের নেতৃত্বসম্পন্ন করে গড়ে তুলতেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আছে অনেক ক্লাব
সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য বিশ্বদ্যালয়টিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ক্লাব। এগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, রোবোটিক ক্লাব অফ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্স ফোরাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিজনেস ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি চেস ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কমিউনিকেশন অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ড্রামা অ্যান্ড থিয়েটার ফোরাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ইকোনমিক্স ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফিল্ম ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি হেরিটেজ ফোরাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ইনডোর গেমস ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ল সোসাইটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি মনন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফার্মা সোসাইটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফুটবল ক্লাব অন্যতম।
গবেষণা
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হচ্ছে জ্ঞানের সৃষ্টি, মানবিক মূল্যবোধের সমর্থন এবং টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এসবই গবেষণার সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও বিশ্বের সাথে সম্পর্কিত গবেষণাকর্মের মনোনিবেশ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জনস্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন এবং মানবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোতেও মনোনিবেশ করছে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিশ্বাস করে যে, তাদের গবেষণাসমূহ বাংলাদেশ ও বিশ্বের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৪৭ তম বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ২০১৯ ও ২০২০ সালে টানা দুবার দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গবেষণা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। রোবোটিকস, কৃত্তিম বৃদ্ধিমত্তা, সুশাসন ও উন্নয়ন, শিক্ষাবিষয়ক উন্নয়ন, শান্তি এবং ন্যায়বিচার, জনস্বাস্থ্য, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ গবেষণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রথমবারের মতো উদযাপন করেছে ‘রিসার্স ডে ২০২২ ’।
একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। বিশ্বের অনেক শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পার্টনারশিপ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির। সেই সাথে বেড়ে চলেছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। ২০২০ সালে এক বিলিয়ন ডলারের ‘ওপেন সোসাইটি ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্ক’ এ প্রথম বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যোগ দিয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। এর ফলে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এখন আমেরিকার প্রিন্সটন, ভিয়েতনাম, মধ্যপ্রাচ্য এবং লন্ডনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নানা কোর্স গ্রহণ করতে পারবে। সেই সাথে দ্য ওয়ার্ল্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্কের মতো আরো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিকীকরণের পথে অগ্রসর হওয়ার অংশ হিসেবে, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ লিংকন, ইউনিভার্সিটি অফ কেন্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটি কমার্স, ক্যালিফোর্নিয়া নর্থস্টেট ইউনিভার্সিটিসহ স্বনামধন্য অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতামূলক চুক্তি করেছে।
মানবিক মূল্যবোধ, আধুনিক জ্ঞান ও উন্নত গবেষণাচর্চার সমন্বয়ে যুগোপযোগী শিক্ষা প্রবর্তনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ে তোলা এবং শিক্ষিত ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির মহান লক্ষ্য সামনে রেখে ২০০১ সালে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সামাজিক উদ্যোক্তা, উন্নয়ন কিংবদন্তি স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কেসিএমজি। তিনি বিশ্বাস করতেন একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমই সমাজ থেকে দারিদ্র্য, অসমতা, বৈষম্য ও অহিষ্ণুতা দূর করা সম্ভব। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ, তরুণ প্রজন্মকে সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে সমাজের সার্বিক উন্নয়ন সাধনই ছিল স্যার ফজলে হাসান আবেদের ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি শিক্ষার জন্য লিবারেল আর্টস কারিকুলাম পদ্ধতি অনুসরণ করে, যা নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তিতে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করে। যুগান্তকারী এই শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমসাময়িক চাহিদা পূরণে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের বিশ্বের অনেক দেশে সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষার্থীদের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করতে উৎসাহ দিয়ে থাকে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম ইংরেজি। এ বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দ্বারা স্বীকৃত এবং বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত। জ্ঞান সৃষ্টিকে উৎসাহিত করা, মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা এবং টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি বৈশ্বিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠাই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং।
কী কী প্রোগ্রামে পড়া যাবে
স্নাতক প্রোগ্রাম
ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স ইন ইকোনমিকস, ফার্মেসি, ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার, এলএলবি, ফিজিকস, অ্যাপ্লায়েড ফিজিকস অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ম্যাথমেটিকস, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োটেকনোলজি, ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স ইন অ্যানথ্রোপলজি এবং ব্যাচেলর অব আর্টস ইন ইংলিশ।
স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম
মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ), মাস্টার অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ, এমএসসি/এমইঞ্জি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি/এমইঞ্জি ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মাস্টার্স ইন ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড প্র্যাকটিস, এক্সিকিউটিভ এমবিএ, এমএসসি অ্যান্ড পিজিডি ইন আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট, মাস্টার ইন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (এমডিএম), এমএস ইন বায়োটেকনোলজি, মাস্টার ইন প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট, এমএ ইন ইংলিশ, এমএ ইন টেসোলসহ আরও বেশ কয়েকটি যুগোপযোগী প্রোগ্রাম রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে।
খরচ কেমন?
যেকোনো প্রোগ্রামে ভর্তি ফি ২৮ হাজার টাকা। ব্যাচেলর অব ফার্মেসি প্রোগ্রামে সেমিস্টার ফি ১১ হাজার ও অন্যান্য প্রোগ্রামে ৭ হাজার ৭০০ টাকা। টিউশন ফি প্রতি ক্রেডিট ৬ হাজার ৬০০ টাকা। ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচারের স্টুডিও ফি প্রতি ক্রেডিট ৭ হাজার ২০০ টাকা।
স্কলারশিপ ও ওয়েভার
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কয়েক ক্যাটাগরিতে ১০ থেকে ১০০ ভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপ দেওয়া হয়। পূর্ববর্তী একাডেমিক ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি, সিবলিং স্কলারশিপ, ব্র্যাক স্কলারশিপ, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ডিবেটারস ব্লু স্কলারশিপসহ ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দেওয়া হয়। বিস্তারিত জানতে
আবাসিক সেমিস্টার
সাভারে অবস্থিত আবাসিক সেমিস্টার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত সব শিক্ষার্থীকে আবাসিক সেমিস্টারটি সম্পন্ন করতে হয়। বছরের তিনটি সেমিস্টারের প্রতিটিতেই পর্যায়ক্রমে নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থী সাভারের এই আবাসিক ক্যাম্পাসে আসেন; কেবল পড়াশোনা নয়, ব্যতিক্রমী কিছু সময় উপভোগ করে স্মৃতির খাতা পূর্ণ করে নিয়ে যান তাঁরা। সাভার ক্যাম্পাসে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির আবাসিক সেমিস্টার (আরএস) বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার অভিজ্ঞতার মধ্যে অনন্য। এখানে ‘অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা’ নীতির ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের একটি সামগ্রিক পাঠ্যক্রম অফার করা হয়ে থাকে, যা তাঁদের মেধা বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সফ্ট স্কিল অর্জনে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। একসঙ্গে ক্যাম্পাসে থাকা ও লেখাপড়ার মাধ্যমে তাঁরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠেন, একই সঙ্গে তাদের সমাজসেবামূলক নেতৃত্বগুণের বিকাশ ঘটে।
উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে উন্নীত হতে হলে দেশীয় মানবসম্পদকে বৈশ্বিক মানে উন্নীত করাটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবসম্পদের উন্নয়নে শিক্ষার তাৎপর্যপূর্ণ একটি ভূমিকা রয়েছে। উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে কেবলমাত্র জ্ঞান সৃষ্টিই নয়, আগামীর নেতৃত্ব তৈরিতেও অবদান রাখতে চায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। সে কারণে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরেও শেখানোর নিরন্তর চেষ্টার পাশাপাশি আমরা এখন ফলপ্রসূ গবেষণা, আন্তর্জাতিক কোলাবরেশন এবং শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক উদ্যোগের মতো বিষয়গুলোতে মনোনিবেশ করেছি। মানসম্মত উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের মনোভাব, জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন বিশ্বমানের দেশীয় মানবসম্পদ তৈরিতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। কেবল বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম এমন প্রতিভাবানদের নেতৃত্বসম্পন্ন করে গড়ে তুলতেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আছে অনেক ক্লাব
সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য বিশ্বদ্যালয়টিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ক্লাব। এগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, রোবোটিক ক্লাব অফ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্স ফোরাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিজনেস ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি চেস ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কমিউনিকেশন অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ড্রামা অ্যান্ড থিয়েটার ফোরাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ইকোনমিক্স ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফিল্ম ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি হেরিটেজ ফোরাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ইনডোর গেমস ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ল সোসাইটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি মনন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফার্মা সোসাইটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফুটবল ক্লাব অন্যতম।
গবেষণা
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হচ্ছে জ্ঞানের সৃষ্টি, মানবিক মূল্যবোধের সমর্থন এবং টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এসবই গবেষণার সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও বিশ্বের সাথে সম্পর্কিত গবেষণাকর্মের মনোনিবেশ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জনস্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন এবং মানবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোতেও মনোনিবেশ করছে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিশ্বাস করে যে, তাদের গবেষণাসমূহ বাংলাদেশ ও বিশ্বের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৪৭ তম বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ২০১৯ ও ২০২০ সালে টানা দুবার দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গবেষণা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। রোবোটিকস, কৃত্তিম বৃদ্ধিমত্তা, সুশাসন ও উন্নয়ন, শিক্ষাবিষয়ক উন্নয়ন, শান্তি এবং ন্যায়বিচার, জনস্বাস্থ্য, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ গবেষণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রথমবারের মতো উদযাপন করেছে ‘রিসার্স ডে ২০২২ ’।
একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। বিশ্বের অনেক শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পার্টনারশিপ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির। সেই সাথে বেড়ে চলেছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। ২০২০ সালে এক বিলিয়ন ডলারের ‘ওপেন সোসাইটি ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্ক’ এ প্রথম বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যোগ দিয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। এর ফলে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এখন আমেরিকার প্রিন্সটন, ভিয়েতনাম, মধ্যপ্রাচ্য এবং লন্ডনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নানা কোর্স গ্রহণ করতে পারবে। সেই সাথে দ্য ওয়ার্ল্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্কের মতো আরো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিকীকরণের পথে অগ্রসর হওয়ার অংশ হিসেবে, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ লিংকন, ইউনিভার্সিটি অফ কেন্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটি কমার্স, ক্যালিফোর্নিয়া নর্থস্টেট ইউনিভার্সিটিসহ স্বনামধন্য অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতামূলক চুক্তি করেছে।
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আজ সোমবার ঢাকার নিশাতনগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিন শিন গ্রুপ এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সহযোগিতা
১৭ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শুধু শিক্ষার্থীরা না বহু সংগঠন ঢাকা শহরে আন্দোলন করছে। তাঁরা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছে, এর সমাধান কী করে হবে, আমি তো একা সমাধান করতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমাদ
১৮ ঘণ্টা আগেপ্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
১ দিন আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
১ দিন আগে