বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার পরামর্শ: ইউনিট ‘খ’

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০৮: ৩৫

এইচএসসি পরীক্ষার পর বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। চাহিদার দিক থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইউনিট ‘খ’। এটি মূলত মানবিকের শিক্ষার্থীদের জন্য হলেও বিজ্ঞান ও বাণিজ্যের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে পারে। ভর্তি –ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করবে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সেই পরামর্শ দিয়েছেন ২০২২-২৩ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া অয়ন চক্রবর্তী। 

প্রথমে নিজে ঠিক করুন যে আপনি কী করতে চান? কী নিয়ে এগোতে চান? ৫ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান? এভাবে লক্ষ্য ঠিক করুন। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের পরামর্শ ও শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। তবে নিজের ইচ্ছাকে অগ্রাধিকার দেওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি। 

মানবণ্টন বোঝা ও প্রশ্নব্যাংক সমাধান 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইউনিটের সঙ্গে আরেকটা ইউনিটের মানবণ্টনের খুব একটা মিল নেই। আবার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবণ্টনের সঙ্গে অন্যটির মানবণ্টনের মধ্যেও পার্থক্য লক্ষ করা যায়। তাই মানবণ্টনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। মানবণ্টন বুঝতে হলে প্রশ্নব্যাংক ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে সমাধান করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। 

বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ 
বাংলা: বাংলার জন্য সিলেবাসভুক্ত প্রতিটি গদ্য-পদ্যের প্রতিটি লাইন ভালোভাবে পড়তে হবে। উপন্যাস ও নাটক দুটি একবার হলেও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়তে হবে। ব্যাকরণের ক্ষেত্রে প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট টপিকগুলো নির্বাচন করতে হবে। যেসব টপিক থেকে প্রতিবছর প্রশ্ন আসে, সেসব টপিক খুব ভালো করে পড়তে হবে। ব্যাকরণের নিয়ম মুখস্থের চেয়ে আত্মস্থ করা বেশি জরুরি। 

ইংরেজি: ইংরেজি অংশের জন্য পাঠ্যবই ও ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলনের পাশাপাশি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় লিখিত অনুশীলন করা দরকার। ‘খ’ ইউনিটের ইংরেজি বহুনির্বাচনি অংশের থেকে ইংরেজি লিখিত অংশের নম্বর বেশি। আর শিক্ষার্থীরা এই ইংরেজি লিখিত অংশকেই সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। ইংরেজি লিখিত অংশে ভালো করতে নিয়মিত ইংরেজি পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি অধ্যায় ধরে ধরে প্রতিটি সারমর্ম নিজের ভাষায় ইংরেজিতে লেখার চর্চা করতে হবে। নিয়মিত লিখলে জড়তা দূর হওয়ার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। 

সাধারণ জ্ঞান: ‘খ’ ইউনিটের 
সাধারণ জ্ঞান অংশের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, মৌলিক বিষয়াবলি ও সাম্প্রতিক তথ্যাবলি পড়তে হয়। মানচিত্র ধরে ধরে পড়া, টেকনিকের সাহায্যে মনে রাখা, নিয়মিত পত্রিকা পড়া বা খবর দেখা ইত্যাদি সাধারণ জ্ঞানের প্রস্তুতিকে সহজ করে। বহুনির্বাচনি অংশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর সাধারণ জ্ঞান অংশে। আর এই বিষয়ের পরিধি সবচেয়ে বিস্তৃত। তাই নিয়মিত নিজের দেশ ও বহির্বিশ্বের বিষয়ে কিছু না কিছু নতুন জানার চেষ্টা করতে হবে, যা সাধারণ জ্ঞানের প্রস্তুতিকে সমৃদ্ধ ও সহজ করবে। 

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি 
‘খ’ ইউনিটে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে লিখিত প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। পাঠ্যবই ভালোভাবে আয়ত্ত করাই লিখিত অংশে ভালো করার পূর্বশর্ত। তাই বাংলা ও ইংরেজি পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি লাইনের প্রতিটি শব্দের ব্যাখ্যা জানা ও পড়া প্রয়োজন। আর তার সঙ্গে প্রয়োজন প্রতিদিন লেখার অভ্যাস করা। প্রতিদিন ফ্রিহ্যান্ড রাইটিং অনুশীলন করলে লেখায় জড়তামুক্ত হবে এবং চিন্তার পরিধিও বৃদ্ধি পাবে। ফলে একজন শিক্ষার্থী তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে, স্বপ্ন পূরণ হবে। 

অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত