নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১২ জুলাই পিএইচডি ডিগ্রির আবেদনসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন না। পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আগে তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে নেট দুনিয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একে ‘নিজস্ব নিয়ম’-এর কথা বলে সমর্থন করলেও অন্য শিক্ষাবিদেরা ‘অন্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি বিষয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী রহমান চৌধুরী গতকাল তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত জন হপকিন্স, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর–এসব ছোটখাটো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ছাড়া পিএইচডিতে ভর্তি হতে পারেন।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী গবেষক রউফুল আলম লিখেছেন, ‘কোনো স্টুডেন্ট যোগ্য কি যোগ্য না, সেটা বিবেচনা না করে, ঢালাওভাবে নিয়ম করে দেওয়া হলো। এটা হলো রাষ্ট্রীয় রেসিজম। ভাবতে লজ্জা লাগে, দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় সেটা করতে পারে।’ এই ধরনের সমালোচনায় যোগ দিয়েছেন আরও অনেকে।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব নিয়মে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নতুন কোনো বিষয় নয়। একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে।
যদিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ রকম সিদ্ধান্তকে আমি অন্যায় মনে করি। এ সিদ্ধান্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি লিখিতভাবে বিমাতাসুলভ আচরণ। এ রকম বর্ণবাদী আচরণ কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানায়? অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যাচ্ছেন।’
অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন আরও বলেন, ‘বিদ্যমান নিয়মেই আছে যে শিক্ষক পিএইচডি করাবেন সে শিক্ষক, যেই বিভাগে পিএইচডি করবে সে বিভাগের একাডেমিক কমিটি এবং সেই অনুষদের পিএইচডি কমিটি মূল্যায়ন করবে। তার জন্য পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আগে তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রিধারীদের আবেদনপত্র সংগ্রহের আগে অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে দরখাস্ত করতে হবে। এই দুটি নিয়ম কি দরকার ছিল? অযথা সমস্যা ডেকে আনি কেন? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো এখন বেশ ভালো করছেন। আগ্রহীরা তো বাংলাদেশেরই। তাঁরা অনার্সের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাননি বলে তার মাশুল দেওয়া কি শেষ হবে না?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের অধিকারের ভিত্তিতে এটা করতে পারলেও নৈতিকতার বিচারে এসব শিক্ষার্থী কি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে অন্যায় বা অপরাধ করেছেন যে তাঁদের শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে। কোনো কোনো সময় দেখা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বিভাগের পড়াশোনার মান অনেক ভালো। পিএইচডি করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এভাবে বাদ দেওয়াটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের আইনগত অধিকার থাকলেও এটা নৈতিক অধিকার নয়।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসনের অধীনে আপনাকে অনেকগুলো ক্ষমতা দেওয়া থাকতে পারে কিন্তু আপনি তো সব ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিমাতাসুলভ আচরণ করতে পারেন না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১২ জুলাই পিএইচডি ডিগ্রির আবেদনসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন না। পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আগে তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে নেট দুনিয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একে ‘নিজস্ব নিয়ম’-এর কথা বলে সমর্থন করলেও অন্য শিক্ষাবিদেরা ‘অন্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি বিষয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী রহমান চৌধুরী গতকাল তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত জন হপকিন্স, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর–এসব ছোটখাটো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ছাড়া পিএইচডিতে ভর্তি হতে পারেন।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী গবেষক রউফুল আলম লিখেছেন, ‘কোনো স্টুডেন্ট যোগ্য কি যোগ্য না, সেটা বিবেচনা না করে, ঢালাওভাবে নিয়ম করে দেওয়া হলো। এটা হলো রাষ্ট্রীয় রেসিজম। ভাবতে লজ্জা লাগে, দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় সেটা করতে পারে।’ এই ধরনের সমালোচনায় যোগ দিয়েছেন আরও অনেকে।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব নিয়মে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নতুন কোনো বিষয় নয়। একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে।
যদিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ রকম সিদ্ধান্তকে আমি অন্যায় মনে করি। এ সিদ্ধান্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি লিখিতভাবে বিমাতাসুলভ আচরণ। এ রকম বর্ণবাদী আচরণ কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানায়? অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যাচ্ছেন।’
অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন আরও বলেন, ‘বিদ্যমান নিয়মেই আছে যে শিক্ষক পিএইচডি করাবেন সে শিক্ষক, যেই বিভাগে পিএইচডি করবে সে বিভাগের একাডেমিক কমিটি এবং সেই অনুষদের পিএইচডি কমিটি মূল্যায়ন করবে। তার জন্য পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আগে তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রিধারীদের আবেদনপত্র সংগ্রহের আগে অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে দরখাস্ত করতে হবে। এই দুটি নিয়ম কি দরকার ছিল? অযথা সমস্যা ডেকে আনি কেন? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো এখন বেশ ভালো করছেন। আগ্রহীরা তো বাংলাদেশেরই। তাঁরা অনার্সের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাননি বলে তার মাশুল দেওয়া কি শেষ হবে না?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের অধিকারের ভিত্তিতে এটা করতে পারলেও নৈতিকতার বিচারে এসব শিক্ষার্থী কি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে অন্যায় বা অপরাধ করেছেন যে তাঁদের শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে। কোনো কোনো সময় দেখা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বিভাগের পড়াশোনার মান অনেক ভালো। পিএইচডি করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এভাবে বাদ দেওয়াটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের আইনগত অধিকার থাকলেও এটা নৈতিক অধিকার নয়।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসনের অধীনে আপনাকে অনেকগুলো ক্ষমতা দেওয়া থাকতে পারে কিন্তু আপনি তো সব ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিমাতাসুলভ আচরণ করতে পারেন না।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের সব বিষয়ের পরীক্ষায় ৩০ মিনিট করে সময় বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেদেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে নতুন প্রায় ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়গুলোয় মিড-ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া, বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়ন চার স্তরে করা, পঞ্চম শ্রেণিতে আবার বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
৫ ঘণ্টা আগে