আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জ্যাক মার অধ্যবসায় ও ইচ্ছেশক্তি তাঁকে আজকের এই অবস্থানে এনেছে। কর্মজীবনে তিনি প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। ৫৩ বছর বয়সে খুঁজে পান সাফল্যের দরজা। তাঁর কোম্পানির বর্তমান মূল্য প্রায় ৫১৯ বিলিয়ন ডলার। সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনে আমরা কী কী শিখেছি, তা মুখ্য নয়; বরং চলার পথে আমরা কী কী ভুল করেছি এবং সেই পথ কতটা কঠিন তাই জীবন। জীবনে কিছু করতে চাইলে অন্যের সাফল্যের গল্প নয়, ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নাও।’
ইয়াং গ্লোবাল লিডার্স নেটওয়ার্কের একজন সদস্য হিসেবে জ্যাক মা তরুণদের আগামী ৩০ বছরের মধ্যে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার বয়স যখন ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, তখন আপনার উচিত একজন যোগ্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অনুসরণ করা। এবং এমন কোনো সংস্থায় যোগদান করুন, যেখানে কোনো জিনিস কীভাবে সঠিক উপায়ে করা যায় তা শেখাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর আপনার বয়স যখন ৩০ থেকে ৪০-এর মধ্যে, তখন একবার হলেও ঝুঁকি নিতে শিখুন। হয়তোবা আপনি ব্যর্থ হবেন, তবুও হাল ছাড়বেন না।’
এরপরেই তিনি প্রস্তাব দেন সবাইকে এখনই নিজের কাজের স্থিতিশীলতা, পরিবার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তা অগ্রাধিকার দেওয়া শুরু করতে হবে।
‘৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সে নতুন কোনো উদ্যোগ বা ক্যারিয়ারে নতুন কিছু শুরু না করে যেই কাজে আপনার ভালো দখল আছে, সেদিকেই মনোনিবেশ করুন।’
আর যখন আপনার বয়স ৫০ থেকে ৬০-এর মধ্যে, তখন পরবর্তী প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সময় ব্যয় করুন। ষাটোর্ধ্ব হয়ে গেলে নিজের নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়ে ভালো কিছু আর হয় না।
জ্যাক মা মনে করেন, যেসব মানুষ এখন তাদের ২০ থেকে ৩০ বছরে আছেন, তাঁরা অন্যতম ভাগ্যবান। কারণ, তাঁদের কাছে এখনো শেখার মতো অফুরন্ত বিষয় আছে।
অন্যের সাফল্যের গল্পের ওপর ভিত্তি করে আপনার লক্ষ্য এবং আকাঙ্ক্ষা স্থাপন করার পরিবর্তে জ্যাক মা নিজেকে নিজের প্রতিযোগী হিসেবে পরিণত করার পরামর্শ দিয়েছেন। আপনি ১০ বছরে কীভাবে সফল হতে পারবেন, তা কল্পনা করে একটি তালিকা তৈরি করতে পারেন। এটি এমন একটি পদ্ধতি, যা তাঁর পক্ষে কাজ করেছিল।
‘আমি যদি আজকের এই অবস্থান থেকে পেছনে ফিরে তাকাই, ছোটবেলা কল্পনাই করতে পারতাম না যে, এই অবস্থানে আসতে পারব। ছেলেবেলা থেকে আজ পর্যন্ত আমি যত সমস্যায় পড়েছি, সবই কোনো না কোনোভাবে আমাকে সাহায্য করেছে।’
‘সবাই হয়তো জানেন, আমি অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছি। কে এফ সি-তে ২৪ জন ইন্টারভিউ দিতে যায়, যেখানে আমি বাদে বাকি ২৩ জনকেই নিয়োগ দেওয়া হয়। এতটাই পোড়াকপাল ছিল।’
৫ জনের এক দলের সঙ্গে পুলিশের চাকরির আবেদনও করেন। সেবারও ভাগ্যদেবী তাঁর সহায় হননি। জ্যাক মা বাদে বাকি চারজনের চাকরি হয়ে যায়।
আরেকবার তিনি ও তাঁর চাচাতো ভাই এক চারতারকা হোটেলে সার্ভার হিসেবে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। জ্যাক মা বলেছিলেন, ‘আমরা দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে ইন্টারভিউর জন্য অপেক্ষা করেছিলাম।’ যদিও তাঁর ভাই কাজটি পেয়েছিলেন, তবে তিনি আবারও প্রত্যাখ্যাত হন।
এমনকি তাঁর মা-ও আশার আলো দেখতে না পেয়ে মাথা নাড়লেও জ্যাক মা নিরুৎসাহিত বোধ করেননি। তিনি ভেবেছিলেন, ‘এটা আমার জন্য একটা প্রশিক্ষণ।’
যদিও তিনি বলেন, ৪০ এর কোটায় পৌঁছানোর আগেই তিনি ব্যর্থ অনুভব করেছিলেন। তবুও তিনি কখনই হাল ছাড়েননি। বরং তিনি নিজেকে নিজের প্রতিযোগিতায় পরিণত করেছিলেন, তিনি আগামী ১০ বছরে কী কী অর্জন করবেন বলে চিত্রিত করেছেন এবং সেই লক্ষ্য অর্জনে তিনি যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছিলেন।
‘আপনি যতই স্মার্ট হোন না কেন, আপনি ভুলের মুখোমুখি হবেন।’, মা বলেন, ‘আপনি ভুল থেকে শিখেন কারণ আপনি এই ভুলগুলো এড়াতে সক্ষম তো হবেনই, সেই সঙ্গে এই সমস্যাগুলো যদি আবারও ফিরে আসে, তখন আপনি কীভাবে এটি মোকাবেলা করতে করবেন বা এর মুখোমুখি হবেন- তা সবই আপনার জানা আছে।’
সূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম
অনুবাদ: মুসাররাত আবির
জ্যাক মার অধ্যবসায় ও ইচ্ছেশক্তি তাঁকে আজকের এই অবস্থানে এনেছে। কর্মজীবনে তিনি প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। ৫৩ বছর বয়সে খুঁজে পান সাফল্যের দরজা। তাঁর কোম্পানির বর্তমান মূল্য প্রায় ৫১৯ বিলিয়ন ডলার। সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনে আমরা কী কী শিখেছি, তা মুখ্য নয়; বরং চলার পথে আমরা কী কী ভুল করেছি এবং সেই পথ কতটা কঠিন তাই জীবন। জীবনে কিছু করতে চাইলে অন্যের সাফল্যের গল্প নয়, ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নাও।’
ইয়াং গ্লোবাল লিডার্স নেটওয়ার্কের একজন সদস্য হিসেবে জ্যাক মা তরুণদের আগামী ৩০ বছরের মধ্যে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার বয়স যখন ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, তখন আপনার উচিত একজন যোগ্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অনুসরণ করা। এবং এমন কোনো সংস্থায় যোগদান করুন, যেখানে কোনো জিনিস কীভাবে সঠিক উপায়ে করা যায় তা শেখাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর আপনার বয়স যখন ৩০ থেকে ৪০-এর মধ্যে, তখন একবার হলেও ঝুঁকি নিতে শিখুন। হয়তোবা আপনি ব্যর্থ হবেন, তবুও হাল ছাড়বেন না।’
এরপরেই তিনি প্রস্তাব দেন সবাইকে এখনই নিজের কাজের স্থিতিশীলতা, পরিবার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তা অগ্রাধিকার দেওয়া শুরু করতে হবে।
‘৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সে নতুন কোনো উদ্যোগ বা ক্যারিয়ারে নতুন কিছু শুরু না করে যেই কাজে আপনার ভালো দখল আছে, সেদিকেই মনোনিবেশ করুন।’
আর যখন আপনার বয়স ৫০ থেকে ৬০-এর মধ্যে, তখন পরবর্তী প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সময় ব্যয় করুন। ষাটোর্ধ্ব হয়ে গেলে নিজের নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়ে ভালো কিছু আর হয় না।
জ্যাক মা মনে করেন, যেসব মানুষ এখন তাদের ২০ থেকে ৩০ বছরে আছেন, তাঁরা অন্যতম ভাগ্যবান। কারণ, তাঁদের কাছে এখনো শেখার মতো অফুরন্ত বিষয় আছে।
অন্যের সাফল্যের গল্পের ওপর ভিত্তি করে আপনার লক্ষ্য এবং আকাঙ্ক্ষা স্থাপন করার পরিবর্তে জ্যাক মা নিজেকে নিজের প্রতিযোগী হিসেবে পরিণত করার পরামর্শ দিয়েছেন। আপনি ১০ বছরে কীভাবে সফল হতে পারবেন, তা কল্পনা করে একটি তালিকা তৈরি করতে পারেন। এটি এমন একটি পদ্ধতি, যা তাঁর পক্ষে কাজ করেছিল।
‘আমি যদি আজকের এই অবস্থান থেকে পেছনে ফিরে তাকাই, ছোটবেলা কল্পনাই করতে পারতাম না যে, এই অবস্থানে আসতে পারব। ছেলেবেলা থেকে আজ পর্যন্ত আমি যত সমস্যায় পড়েছি, সবই কোনো না কোনোভাবে আমাকে সাহায্য করেছে।’
‘সবাই হয়তো জানেন, আমি অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছি। কে এফ সি-তে ২৪ জন ইন্টারভিউ দিতে যায়, যেখানে আমি বাদে বাকি ২৩ জনকেই নিয়োগ দেওয়া হয়। এতটাই পোড়াকপাল ছিল।’
৫ জনের এক দলের সঙ্গে পুলিশের চাকরির আবেদনও করেন। সেবারও ভাগ্যদেবী তাঁর সহায় হননি। জ্যাক মা বাদে বাকি চারজনের চাকরি হয়ে যায়।
আরেকবার তিনি ও তাঁর চাচাতো ভাই এক চারতারকা হোটেলে সার্ভার হিসেবে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। জ্যাক মা বলেছিলেন, ‘আমরা দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে ইন্টারভিউর জন্য অপেক্ষা করেছিলাম।’ যদিও তাঁর ভাই কাজটি পেয়েছিলেন, তবে তিনি আবারও প্রত্যাখ্যাত হন।
এমনকি তাঁর মা-ও আশার আলো দেখতে না পেয়ে মাথা নাড়লেও জ্যাক মা নিরুৎসাহিত বোধ করেননি। তিনি ভেবেছিলেন, ‘এটা আমার জন্য একটা প্রশিক্ষণ।’
যদিও তিনি বলেন, ৪০ এর কোটায় পৌঁছানোর আগেই তিনি ব্যর্থ অনুভব করেছিলেন। তবুও তিনি কখনই হাল ছাড়েননি। বরং তিনি নিজেকে নিজের প্রতিযোগিতায় পরিণত করেছিলেন, তিনি আগামী ১০ বছরে কী কী অর্জন করবেন বলে চিত্রিত করেছেন এবং সেই লক্ষ্য অর্জনে তিনি যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছিলেন।
‘আপনি যতই স্মার্ট হোন না কেন, আপনি ভুলের মুখোমুখি হবেন।’, মা বলেন, ‘আপনি ভুল থেকে শিখেন কারণ আপনি এই ভুলগুলো এড়াতে সক্ষম তো হবেনই, সেই সঙ্গে এই সমস্যাগুলো যদি আবারও ফিরে আসে, তখন আপনি কীভাবে এটি মোকাবেলা করতে করবেন বা এর মুখোমুখি হবেন- তা সবই আপনার জানা আছে।’
সূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম
অনুবাদ: মুসাররাত আবির
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অব ডেট্রয়েট মার্সি স্কলারশিপ-২০২৫-এর আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৮ ঘণ্টা আগেবর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার এবং ই-মেইল ব্যবহারের কারণে হাতে লেখার চর্চা কমে গেছে। তবুও, শিক্ষাক্ষেত্রে বা পরীক্ষার খাতায় হাতে লেখা গুরুত্ব কোনো অংশে কমেনি।
১৮ ঘণ্টা আগেএশিয়া-প্যাসিফিক কোয়ালিটি নেটওয়ার্ক (এপিকিউএন) একাডেমিক কনফারেন্স ২০২৪-এ বেস্ট মডেল ইন্টারনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স (কিউএ) অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে এপিকিউএন কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে এই এপিকিউএন কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্
১৮ ঘণ্টা আগেব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার কেনিয়ার মোম্বাসায় অনুষ্ঠিত আফ্রিকান মার্কেটিং কনফেডারেশন (এএমসি) ফোরাম ২০২৪-এ প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন। প্রফেসর ফারহাত আনোয়ার এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। এই সম্মেলন আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের মা
১৮ ঘণ্টা আগে