Ajker Patrika

বিদেশে উচ্চশিক্ষা সহায়ক ৫ পরীক্ষা

এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
বিদেশে উচ্চশিক্ষা সহায়ক ৫ পরীক্ষা

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে অসংখ্য শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নিতে পাড়ি জমাচ্ছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে প্রয়োজন হয় কিছু পরীক্ষার সনদ। বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়ার দু-তিন বছর আগে থেকে উচ্চশিক্ষার সহায়ক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। চলুন, এসব পরীক্ষা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

স্যাট

স্যাটের পুরো নাম স্কলাস্টিক অ্যাপটিটিউড টেস্ট। বিষয়ভিত্তিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা সনদ হিসেবে স্যাট স্কোর জমা দিতে হয়। উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে পড়তে যাওয়ার জন্য যাঁদের প্রথম পছন্দ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা, স্যাট তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। ক্রিটিক্যাল রিডিং, গণিত ও ইংরেজি—এ তিন বিষয়ের ওপর ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি অংশে ৮০০ করে ২৪০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। স্যাট পরীক্ষায় সর্বনিম্ন স্কোর ৬০০ এবং সর্বোচ্চ ২৪০০।

স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বৃত্তি পেতে হলে সর্বনিম্ন ২০০০ স্কোর থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অফিশিয়াল স্যাট স্টাডি গাইড, ব্যারন্স, প্রিন্সটন রিভিউ, কাপলান প্রভৃতি বই থেকে প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। এসব বই ঢাকার নীলক্ষেতে পাওয়া যায়। তা ছাড়া আমেরিকান সেন্টারের রয়েছে স্যাট প্রস্তুতিমূলক বইয়ের চমৎকার সংগ্রহ। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে collegeboard.org গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। বাংলাদেশে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য খরচ হবে ১২ হাজার টাকার মতো। তবে প্রায় সময় ফি হালনাগাদ করা হয়।

আইইএলটিএস

আইইএলটিএসের পুরো নাম ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম। আন্তর্জাতিকভাবে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা পরিমাপের জনপ্রিয় পরীক্ষা হলো আইইএলটিএস। ইংরেজিভাষী প্রায় সব দেশে আইইএলটিএস স্কোর গ্রহণ করে থাকে। পরীক্ষায় ইংরেজি ভাষার চারটি দক্ষতা (লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং, স্পিকিং) যাচাই করা হয়। প্রতিটি সেকশনে ১ থেকে ৯-এর মধ্যে স্কোর করা হয়। আর চার সেকশনের স্কোর যোগ করে গড় করা হয়, যাকে ব্যান্ড স্কোর বলে। মাস্টার্স এবং পিএইচডির জন্য এই স্কোর সনদ প্রয়োজন হয়।

অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য ব্যান্ড স্কোর সর্বনিম্ন ৬.৫-এর প্রয়োজন হয়। বৃত্তি পাওয়ার জন্য ৭.৫ অথবা ৮ স্কোর থাকা গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল অথবা আইডিপিতে (ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। মূলত একাডেমিক ও জেনারেল ট্রেনিং (জিটি) এই ক্যাটাগরিতে পরীক্ষা দেওয়া যায়।

একাডেমিক কাজের জন্য একাডেমিক পরীক্ষা দিতে হবে। প্রস্তুতির জন্য সবচেয়ে ভালো কেমব্রিজ সিরিজের গাইড (৭-১৩)। এ ছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল থেকে বিনা মূল্যে প্রস্তুতি নেওয়া যায়। আইইএলটিএস পরীক্ষার সব তথ্য, প্রস্তুতি ও পরামর্শ ব্রিটিশ কাউন্সিলে পাওয়া যায়। আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য খরচ হবে প্রায় ২৩ হাজার টাকা। তবে ফি প্রায় সময় হালনাগাদ করা হয়।

টোয়েফল

আইইএলটিএসের মতো এটি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা পরিমাপের পরীক্ষা। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানিসহ অনেক দেশে টোয়েফল স্কোর গ্রহণ করা হয়। টোয়েফলের পুরো নাম টেস্ট অব ইংলিশ অ্যাজ আ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ। এখানে লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং, স্পিকিং—চারটি দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। ১২০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। সর্বনিম্ন ৮০ স্কোর থাকলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায়। তবে হার্ভার্ড, অক্সফোর্ডের মতো বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে হলে সর্বনিম্ন ১০৯ স্কোর থাকা গুরুত্বপূর্ণ। টোয়েফল পরীক্ষার জন্য ওয়েবসাইট -এ রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। ইটিএসের আঞ্চলিক কেন্দ্রেও রেজিস্ট্রেশন করা যায়। এ ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থিত আমেরিকান সেন্টারের স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজার সেন্টারে গিয়ে টোয়েফলসহ উচ্চশিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

জিআরই

গ্র্যাজুয়েট রেকর্ডস এক্সামিনেশনসের সংক্ষিপ্ত রূপ হলো জিআরই। যুক্তরাষ্ট্রের এডুকেশনাল টেস্টিং সার্ভিস (ইটিএস) এর তত্ত্বাবধায়ক। ইটিএস অনুমোদিত নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্রে কম্পিউটারের মাধ্যমে এ পরীক্ষা দিতে হয়। ছয়টি অংশে বিভক্ত এ পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। এ পরীক্ষার প্রধান তিনটি অংশ হলো—অ্যানালাইটিক্যাল রাইটং, ভারবাল রিজনিং ও কোয়ান্টিটেটিভ রিজনিং।

পরীক্ষার ধরন, রেজিস্ট্রেশনসহ বিস্তারিত জানতে লগইন করতে পারেন ets.org ওয়েবসাইটে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার জন্য জিআরই গুরুত্বপূর্ণ। এটির স্কোরের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি বা গবেষণার সুযোগ দেয়। এ পরীক্ষায় মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ব্যবসায় শিক্ষা—সব অনুষদের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারেন। পরীক্ষার জন্য প্রায় ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়।

জিম্যাট

গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন টেস্টকে জিম্যাট বলা হয়। এ পরীক্ষার স্কোর শুধু ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজন হয়। এটি চারটি অংশে বিভক্ত থাকে। তা হলো: অ্যানালাইটিক্যাল রাইটিং অ্যাসেসমেন্ট একটি প্রশ্ন, ভারবাল ৩৬টি, কোয়ান্টিটেটিভ রিজনিং ৩১টি এবং ইন্টিগ্রেটেড রিজনিং ১২টি প্রশ্ন। পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ৮০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৭০০ নম্বর পেলে শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া যায়। জিম্যাট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরন, রেজিস্ট্রেশনসহ বিস্তারিত জানতে লগইন করতে পারেন mba.com ওয়েবসাইটে। এ ছাড়া আমেরিকান সেন্টারে জিআরই-জিম্যাটের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

শিক্ষা ডেস্ক
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।

[গতকালের পর]

ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)

১. Synonyms & Antonyms:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।

২. Spelling Correction:

Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।

৩. Idioms & Phrases:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।

ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)

যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।

জনপ্রিয় লেখক:

William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।

প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা

প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।

ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে
বৃত্তি

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।

ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।

বৃত্তির ধরন

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।

সুযোগ-সুবিধা

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।

আবেদনের যোগ্যতা

বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত