বেলাল হোসেন, জাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ নিয়ে উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি উপাচার্য নির্বাচনের বিষয়ে উৎসাহ নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর মধ্যে। তবে নতুন উপাচার্যের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে আগ্রহ।
আগামী ২ মার্চ দেশের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে। তিনি ২০১৪ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালের মার্চে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পান নৃবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক।
গত এক দশকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন আহ্বান করেনি। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মতিনের আমলে রাষ্ট্রপতির আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন হয়েছিল। তার আগে ২০১৩ সালের অক্টোবরে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে প্যানেল নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছিল জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এ ছাড়া ২০১২ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয় সরকারের উচ্চমহলের নির্দেশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে এ ধরনের কোনো নির্দেশ এখনো পাইনি। অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আচার্য বরাবর নির্বাচনের জন্য আবেদন করতে হয়। সেটাও করা হয়নি। তাছাড়া সিনেট অধিবেশন ডাকতেও আমাদের ৩০ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়। এর জন্য পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার জন্য সময়ের প্রয়োজন আছে।’
এদিকে সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা এখনো সিনেট অধিবেশনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি পাইনি। আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বউদ্যোগে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করে মনোনীত ব্যক্তিদের তালিকা আচার্যের দপ্তরে পাঠাবে।’
এ বিষয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক উপাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলে জ্যেষ্ঠ উপউপাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের আইনে বর্ণিত আছে। সে ক্ষেত্রে নিয়োগকৃত নতুন উপাচার্যকে বিদ্যমান সিনেটে ৩০ দিনের মধ্যে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একই ব্যক্তিকে তৃতীয় মেয়াদে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার বিধান নেই।’
তৎপরতা নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর:
২০১৮ সালে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের প্রথম মেয়াদ শেষ হয়। তখন উপাচার্যবিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলো প্যানেল নির্বাচনের দাবিতে সরব ছিল। এই দাবিতে তারা বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। তবে এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাত্র ২৫ দিন উপাচার্যের মেয়াদ থাকলেও এ নিয়ে কোনো কর্মসূচি ও পরিকল্পনা জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলো।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুটি সংগঠন রয়েছে, যার একটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির। এই সংগঠনের নাম ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’। এর সভাপতি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার।
অধ্যাপক হাওলাদার বলেন, ‘এবার নির্বাচনের দাবিতে আমাদের কোনো কর্মসূচি ও পরিকল্পনা নেই। তা ছাড়া আমরা মনে করি এই দাবিতে কিছু করার সময় এখনো হয়নি। এতে সরকার তথা নীতনির্ধারকেরা নাখোশ হবে। তবে আমাদের প্রত্যাশা, সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ মেনে সিনেটের মনোনীত ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবে। অথবা কাউকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে প্যানেল নির্বাচনের জন্য সময় বেঁধে দিলে ভালো হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অপর সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। এর বর্তমান সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, যিনি আগের সংগঠনেরও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তিনি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
এবারের নির্বাচনের বিষয়ে অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘এখন উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। এই অবস্থায় প্যানেল নির্বাচন দাবি করাটা যৌক্তিক হবে না। এই অবস্থায় সরকার যেটা ভালো বুঝবে, সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে। কারণ আমাদের সিনেটেও অধিকাংশ সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আবার সিনেটে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও এমপি রয়েছেন। তাই এই নির্বাচনের আগে সরকারের নির্দেশনা জরুরি ছিল। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া মেনে নির্বাচন করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপাচার্যপন্থী শিক্ষকেরা বলছেন, অধ্যাদেশের নিয়ম অনুসরণ করে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন সবার দাবি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন থাকবে। ফলে নতুন উপাচার্যের গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য আবারও দায়িত্ব পালনে আগ্রহী। তাই স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষক সংগঠনগুলো প্রকাশ্যে দাবি জানাতে পারছে না।
অন্যদিকে ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন রয়েছে দুটি। তাদেরও উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্য কর্মসূচি দৃশ্যমান হয়নি।
এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতা ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা হয়তো বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে দলীয় ফোরাম থেকে দাবি জানাতে পারছি না। কিন্তু আমাদের প্রত্যেক সদস্য চায় অধ্যাদেশ অনুসরণ করে গণতান্ত্রিক উপায়ে উপাচার্য নিয়োগ হোক। তা ছাড়া এখনকার দাবিগুলো কোনো কাজে আসে না। ফলে এই দাবিতে কর্মসূচি করা মানে উলু বনে মুক্তো ছড়ানো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্যানেল নির্বাচন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এর আগে আমরা এই দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু সরকারের কাছে আমাদের দাবি বারবার উপেক্ষিত হয়েছে। ২০১৮ সালে আমাদের দাবির প্রতি অবজ্ঞার কারণে এ বিষয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে সচেতন শিক্ষকেরা। পরিকল্পনা গৃহীত না হলেও শিক্ষক মঞ্চ এ ব্যাপারে আলোচনা করছে। তা ছাড়া সরকার যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ করে থাকে তা আইনত বৈধ হলেও নৈতিকতার মানদণ্ডে ফলপ্রসূ নয়।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষক সমিতিতে আলোচনা এখনো হয়নি। তাই স্পষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বিষয়ে আমার কোনো ব্যক্তিগত অভিমত নেই।’
প্যানেল নির্বাচনে বাধা:
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হয়। যাদের দায়িত্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিন সদস্যের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করে আচার্যের কাছে পাঠানো। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধিদের পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি মনোনীত পাঁচজন শিক্ষাবিদ, শিক্ষক প্রতিনিধিদের নির্বাচিত ৩৩ জন এবং রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ২৫ জনের তিন বছর মেয়াদও শেষ হয়েছে। এতে সিনেটের ৬৩টি সদস্যপদে নতুন করে মনোনয়ন ও নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে। সে অনুযায়ী শুধু পাঁচজন পদাধিকারবলে ও ২০ জন মনোনীত সিনেটরের বৈধ মেয়াদ রয়েছে।
অন্যদিকে অধ্যাদেশের ২০ (২) ধারা অনুসারে সিনেটের জরুরি অধিবেশনের জন্যও কমপক্ষে ৩০ জন সিনেটরের লিখিত অনুমোদন প্রয়োজন। তবে ১৯ (২) ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, সিনেটরদের উত্তরাধিকারী মনোনীত অথবা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সিনেটররা নিজেদের দায়িত্বে বহাল থাকবেন।
সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত বার্ষিক সিনেট অধিবেশনের জন্য ৩০ দিন সময়ের প্রয়োজন। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের কার্য পরিচালনা বিধি, ২০১৫-তে ৩ এর (খ)-২ ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যেকোনো সময় সিনেট অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন এবং প্যানেল নির্বাচন দিতে পারেন। আমি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত সিনেট অধিবেশন ডেকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিন।’
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা:
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা রয়েছে। তাঁরা বলছেন, এমন কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হয়ে আসুক যেন তাঁকে নিয়ে কোনো বিতর্ক না থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে তিনি যেন পিছু না হটেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে সেই শিক্ষককে দেখতে চাই, যিনি শিক্ষক হিসেবে সৎ, গবেষক হিসেবে যার পরিচিতি আছে, যিনি অন্যায়ভাবে চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। উপাচার্য হোক সেই শিক্ষক, যাঁর কাছে শিক্ষা ও গবেষণা প্রধান বিষয় হবে। যেখানে দলীয় ক্যাডার বাহিনী অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার কোনো সুযোগ পাবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, ‘সাধারণত রাজনৈতিক প্রভাব এবং সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাঁরা এগিয়ে থাকেন, তাঁদের উপাচার্যের গদিতে বসানো হয়। এতে সরকারের আশীর্বাদপ্রাপ্ত দলীয় শিক্ষক সরকারের এজেন্ডা নিয়ে উপাচার্যের চেয়ারে বসেন। ফলে দলীয় নির্দেশনা বাস্তবায়ন, দলীয় শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে ব্যস্ত থাকেন তিনি। এমনকি ভাগ-বাঁটোয়ারা সংক্রান্ত ঝামেলা মিটিয়ে নিজের পদ বাঁচাতে ব্যস্ত থাকতে হয় নতুন উপাচার্যকে। তাঁর সময় থাকে না শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে ভাববার। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য উচ্চতায় নিতে আগ্রহী শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দরকার।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগরের নতুন উপাচার্য হিসেবে একজন দক্ষ প্রশাসক ও পরিচালক প্রত্যাশা করি, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণায় অসামান্য অবদান রাখতে পারবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দাবির বিষয়ে তিনি আন্তরিক হবেন এবং ছাত্রবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনে নিজেকে মনোনিবেশ করবেন। এ জন্য নিয়মিত জাকসু নির্বাচন ও সমাবর্তন আয়োজনের ব্যাপারে কুণ্ঠাবোধ করবেন না।’
উপাচার্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ নিয়ে উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি উপাচার্য নির্বাচনের বিষয়ে উৎসাহ নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর মধ্যে। তবে নতুন উপাচার্যের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে আগ্রহ।
আগামী ২ মার্চ দেশের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে। তিনি ২০১৪ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালের মার্চে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পান নৃবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক।
গত এক দশকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন আহ্বান করেনি। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মতিনের আমলে রাষ্ট্রপতির আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন হয়েছিল। তার আগে ২০১৩ সালের অক্টোবরে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে প্যানেল নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছিল জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এ ছাড়া ২০১২ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয় সরকারের উচ্চমহলের নির্দেশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে এ ধরনের কোনো নির্দেশ এখনো পাইনি। অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আচার্য বরাবর নির্বাচনের জন্য আবেদন করতে হয়। সেটাও করা হয়নি। তাছাড়া সিনেট অধিবেশন ডাকতেও আমাদের ৩০ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়। এর জন্য পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার জন্য সময়ের প্রয়োজন আছে।’
এদিকে সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা এখনো সিনেট অধিবেশনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি পাইনি। আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বউদ্যোগে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করে মনোনীত ব্যক্তিদের তালিকা আচার্যের দপ্তরে পাঠাবে।’
এ বিষয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক উপাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলে জ্যেষ্ঠ উপউপাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের আইনে বর্ণিত আছে। সে ক্ষেত্রে নিয়োগকৃত নতুন উপাচার্যকে বিদ্যমান সিনেটে ৩০ দিনের মধ্যে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একই ব্যক্তিকে তৃতীয় মেয়াদে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার বিধান নেই।’
তৎপরতা নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর:
২০১৮ সালে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের প্রথম মেয়াদ শেষ হয়। তখন উপাচার্যবিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলো প্যানেল নির্বাচনের দাবিতে সরব ছিল। এই দাবিতে তারা বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। তবে এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাত্র ২৫ দিন উপাচার্যের মেয়াদ থাকলেও এ নিয়ে কোনো কর্মসূচি ও পরিকল্পনা জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলো।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুটি সংগঠন রয়েছে, যার একটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির। এই সংগঠনের নাম ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’। এর সভাপতি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার।
অধ্যাপক হাওলাদার বলেন, ‘এবার নির্বাচনের দাবিতে আমাদের কোনো কর্মসূচি ও পরিকল্পনা নেই। তা ছাড়া আমরা মনে করি এই দাবিতে কিছু করার সময় এখনো হয়নি। এতে সরকার তথা নীতনির্ধারকেরা নাখোশ হবে। তবে আমাদের প্রত্যাশা, সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ মেনে সিনেটের মনোনীত ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবে। অথবা কাউকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে প্যানেল নির্বাচনের জন্য সময় বেঁধে দিলে ভালো হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অপর সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। এর বর্তমান সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, যিনি আগের সংগঠনেরও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তিনি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
এবারের নির্বাচনের বিষয়ে অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘এখন উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। এই অবস্থায় প্যানেল নির্বাচন দাবি করাটা যৌক্তিক হবে না। এই অবস্থায় সরকার যেটা ভালো বুঝবে, সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে। কারণ আমাদের সিনেটেও অধিকাংশ সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আবার সিনেটে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও এমপি রয়েছেন। তাই এই নির্বাচনের আগে সরকারের নির্দেশনা জরুরি ছিল। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া মেনে নির্বাচন করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপাচার্যপন্থী শিক্ষকেরা বলছেন, অধ্যাদেশের নিয়ম অনুসরণ করে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন সবার দাবি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন থাকবে। ফলে নতুন উপাচার্যের গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য আবারও দায়িত্ব পালনে আগ্রহী। তাই স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষক সংগঠনগুলো প্রকাশ্যে দাবি জানাতে পারছে না।
অন্যদিকে ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন রয়েছে দুটি। তাদেরও উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্য কর্মসূচি দৃশ্যমান হয়নি।
এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতা ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা হয়তো বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে দলীয় ফোরাম থেকে দাবি জানাতে পারছি না। কিন্তু আমাদের প্রত্যেক সদস্য চায় অধ্যাদেশ অনুসরণ করে গণতান্ত্রিক উপায়ে উপাচার্য নিয়োগ হোক। তা ছাড়া এখনকার দাবিগুলো কোনো কাজে আসে না। ফলে এই দাবিতে কর্মসূচি করা মানে উলু বনে মুক্তো ছড়ানো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্যানেল নির্বাচন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এর আগে আমরা এই দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু সরকারের কাছে আমাদের দাবি বারবার উপেক্ষিত হয়েছে। ২০১৮ সালে আমাদের দাবির প্রতি অবজ্ঞার কারণে এ বিষয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে সচেতন শিক্ষকেরা। পরিকল্পনা গৃহীত না হলেও শিক্ষক মঞ্চ এ ব্যাপারে আলোচনা করছে। তা ছাড়া সরকার যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ করে থাকে তা আইনত বৈধ হলেও নৈতিকতার মানদণ্ডে ফলপ্রসূ নয়।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষক সমিতিতে আলোচনা এখনো হয়নি। তাই স্পষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বিষয়ে আমার কোনো ব্যক্তিগত অভিমত নেই।’
প্যানেল নির্বাচনে বাধা:
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হয়। যাদের দায়িত্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিন সদস্যের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করে আচার্যের কাছে পাঠানো। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধিদের পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি মনোনীত পাঁচজন শিক্ষাবিদ, শিক্ষক প্রতিনিধিদের নির্বাচিত ৩৩ জন এবং রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ২৫ জনের তিন বছর মেয়াদও শেষ হয়েছে। এতে সিনেটের ৬৩টি সদস্যপদে নতুন করে মনোনয়ন ও নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে। সে অনুযায়ী শুধু পাঁচজন পদাধিকারবলে ও ২০ জন মনোনীত সিনেটরের বৈধ মেয়াদ রয়েছে।
অন্যদিকে অধ্যাদেশের ২০ (২) ধারা অনুসারে সিনেটের জরুরি অধিবেশনের জন্যও কমপক্ষে ৩০ জন সিনেটরের লিখিত অনুমোদন প্রয়োজন। তবে ১৯ (২) ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, সিনেটরদের উত্তরাধিকারী মনোনীত অথবা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সিনেটররা নিজেদের দায়িত্বে বহাল থাকবেন।
সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত বার্ষিক সিনেট অধিবেশনের জন্য ৩০ দিন সময়ের প্রয়োজন। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের কার্য পরিচালনা বিধি, ২০১৫-তে ৩ এর (খ)-২ ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যেকোনো সময় সিনেট অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন এবং প্যানেল নির্বাচন দিতে পারেন। আমি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত সিনেট অধিবেশন ডেকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিন।’
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা:
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা রয়েছে। তাঁরা বলছেন, এমন কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হয়ে আসুক যেন তাঁকে নিয়ে কোনো বিতর্ক না থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে তিনি যেন পিছু না হটেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে সেই শিক্ষককে দেখতে চাই, যিনি শিক্ষক হিসেবে সৎ, গবেষক হিসেবে যার পরিচিতি আছে, যিনি অন্যায়ভাবে চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। উপাচার্য হোক সেই শিক্ষক, যাঁর কাছে শিক্ষা ও গবেষণা প্রধান বিষয় হবে। যেখানে দলীয় ক্যাডার বাহিনী অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার কোনো সুযোগ পাবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, ‘সাধারণত রাজনৈতিক প্রভাব এবং সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাঁরা এগিয়ে থাকেন, তাঁদের উপাচার্যের গদিতে বসানো হয়। এতে সরকারের আশীর্বাদপ্রাপ্ত দলীয় শিক্ষক সরকারের এজেন্ডা নিয়ে উপাচার্যের চেয়ারে বসেন। ফলে দলীয় নির্দেশনা বাস্তবায়ন, দলীয় শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে ব্যস্ত থাকেন তিনি। এমনকি ভাগ-বাঁটোয়ারা সংক্রান্ত ঝামেলা মিটিয়ে নিজের পদ বাঁচাতে ব্যস্ত থাকতে হয় নতুন উপাচার্যকে। তাঁর সময় থাকে না শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে ভাববার। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য উচ্চতায় নিতে আগ্রহী শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দরকার।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগরের নতুন উপাচার্য হিসেবে একজন দক্ষ প্রশাসক ও পরিচালক প্রত্যাশা করি, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণায় অসামান্য অবদান রাখতে পারবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দাবির বিষয়ে তিনি আন্তরিক হবেন এবং ছাত্রবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনে নিজেকে মনোনিবেশ করবেন। এ জন্য নিয়মিত জাকসু নির্বাচন ও সমাবর্তন আয়োজনের ব্যাপারে কুণ্ঠাবোধ করবেন না।’
উপাচার্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আজ সোমবার ঢাকার নিশাতনগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিন শিন গ্রুপ এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সহযোগিতা
২০ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শুধু শিক্ষার্থীরা না বহু সংগঠন ঢাকা শহরে আন্দোলন করছে। তাঁরা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছে, এর সমাধান কী করে হবে, আমি তো একা সমাধান করতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমাদ
২১ ঘণ্টা আগেপ্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
১ দিন আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
১ দিন আগে