নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট জাবির চার শিক্ষকের

প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২১, ২৩: ২৫

জাবি (সাভার): অনলাইনে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ৬ জন অস্থায়ী প্রভাষক নিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে এ আবেদন করেন একই বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, আবদুস ছাত্তার ও জাকির হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার চার শিক্ষকের পক্ষে হাই কোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট ড. সৈয়দা নাসরিন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আদলতে রিট ফাইল হয়েছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ রিটের শুনানি হবে বলে আশা করছি। এ ছাড়াও নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, জাবি উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন এবং দর্শন বিভাগের সভাপতিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এভাবে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনা বিভাগে নজিরবিহীন। এ ছাড়া অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কোনো নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়টি উল্লেখ নেই। এ রকম অস্পষ্টতার মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ হতে পারে না।’  

এ ব্যাপারে বিভাগের সভাপতি মোস্তফা নাজমুল মানছুর বলেন, ‘২০১১ সালের পর থেকে বিভাগে কোনো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন অবসরে এবং শিক্ষা ছুটিতে গিয়েছেন। ফলে বর্তমান কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা ১৭ জন। এই সংখ্যক শিক্ষক দিয়ে পাঠদান সম্ভব নয় বলেই নতুন করে চাহিদার কথা জানানো হয়।’

কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিভাগটিতে এখন দুইটি পক্ষ আছে। আমার জন্য এখানে বিষয়টিতে পক্ষ-বিপক্ষ নেওয়া খুব কঠিন। আর বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ডিনের কোনো ভূমিকা থাকে না। যেহেতু বিষয়টি প্রশাসনিক, প্রশাসন বিষয়টি দেখবে।’

সম্প্রতি তিনটি বিজ্ঞাপনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ জন শিক্ষক ও ১০ জন কর্মকর্তা নিয়োগের খবর প্রকাশিত হয়। এর একটি বিজ্ঞাপন ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ প্রকাশ হয়। যেখানে দর্শন বিভাগে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৬ জন প্রভাষকসহ মোট ২৬ জন শিক্ষক নিয়োগের আবেদন আহ্বান করা হয়।

এর আগে, মহামারির মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়েছেন দর্শন বিভাগের আট শিক্ষক।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর এক স্মারকলিপিতে এ কথা উল্লেখ করেন তাঁরা।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রায় ১ বছর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকার পরিস্থিতিতে ৬ জন শিক্ষক নিয়োগ কেবল অপ্রয়োজনীয় নয় দুরভিসন্ধিমূলক। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই অনলাইনে এ পর্যন্ত কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেয়নি, এর মাধ্যমে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে। এ ছাড়া অনলাইন কানেকশন সমস্যার কারণে কোনো যোগ্য প্রার্থী অবমূল্যায়নের শিকার হতে পারে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত