বাংলাদেশে শিক্ষক নিয়োগে ৩ থেকে ১৫ লাখ টাকা আদায় হচ্ছে: টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ৩১
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ৩৬

দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে সাড়ে ৩ থেকে ১৫ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, গভর্নিং বডি এবং এসএমসি সংশ্লিষ্টরা মিলে নিয়মবহির্ভূতভাবে এই টাকা আদায় করেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

টিআইবি 'মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির গবেষক তাসলিমা আক্তার হেনা এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। 

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে নিয়মবহির্ভূতভাবে যথাক্রমে সাড়ে ৩ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, গভর্নিং বডি এবং এসএমসির ব্যক্তিরা এই লেনদেনে জড়িত থাকছেন। 

এ ছাড়া এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশকৃত সহকারী শিক্ষকের যোগদানে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, গভর্নিং বডি ও এসএমসির কর্তাব্যক্তিরা এখানে জড়িত থাকছেন। সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা, শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে ৫ হাজার থেকে ১ লাখ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষার ক্ষেত্রে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ, পাঠদান অনুমোদনে ১ লাখ থেকে ৫ লাখ, স্বীকৃতি নবায়নের ক্ষেত্রে ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার এবং শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজনীয়তা যাচাই না করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সুপারিশে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নে কাজের মান কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভালো হয়নি। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাতীয়করণকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আত্তীকরণে দেরি হয়েছে, এতে অনেক শিক্ষককে সরকারি সুবিধা ছাড়াই অবসরে যেতে হয়েছে। আবার শিক্ষার্থীদের আগের মতোই টিউশন ফি দিতে হয়েছে। জাতীয়করণ প্রক্রিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। 

প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে এমপি বা প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির হস্তক্ষেপে সভাপতি মনোনীত করা হয়। এতে অনেকাংশে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সম্পৃক্ত হতে পারেন না, যা শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কমিটির সভাপতি বা সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে অশিক্ষিত-অল্পশিক্ষিত লোক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হন। এতে শিক্ষকদের সঙ্গে কমিটির সদস্যদের কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন সমস্যা ও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, পরিচালক (আউটরিচ কমিউনিকেশন) শেখ মঞ্জুর ই আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত