শাহ বিলিয়া জুলফিকার
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক তারিক মুর্শেদ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে পড়তে গিয়েছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগের অধীন রিফিউজি স্টাডিজ সেন্টার থেকে রিফিউজি এবং ফোর্সস মাইগ্রেশন স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া কঠিন মনে হলেও অসম্ভব নয়। অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট মানসম্পন্ন ও ভর্তি-নির্ধারিত বিষয়ে ভালো জ্ঞানসম্পন্ন হলে সহজেই ভর্তি হওয়া যায়।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ
MSc in Refugee and Forced Migration Studies সহ অন্য অনেক মাস্টার্স প্রোগ্রামের আবেদনপ্রক্রিয়া সাধারণত অক্টোবরে শুরু হয়ে পরের বছরের জানুয়ারি মাসে শেষ হয়।
ভর্তির যোগ্যতা
⊲ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া বেশ প্রতিযোগিতামূলক। কেবল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তরিকভাবে পড়তে আগ্রহী একাডেমিকভাবে দক্ষ ও উদ্যমী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। কাজেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ন্যূনতম প্রথম শ্রেণি বা উচ্চতর দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি বা সমমানের আন্তর্জাতিক যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন।
⊲ যাঁদের IB (International Baccalaureate), A- Level, SAT–এই ধরনের আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষার সনদ রয়েছে, ভর্তি কমিটি তাঁদের বিশেষ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে থাকে। এ ছাড়া বেশির ভাগ আবেদনকারীকে আইইএলটিএস বা টোফেলের মতো ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণ প্রদর্শন করতে হয়। আইইএলটিএসের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭.৫ স্কোর অর্জন করতে হবে, যেখানে সাব-স্কোরের সব পর্যায়েই ন্যূনতম ৭ থাকতে হবে।
⊲ সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম সব সময়ই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সের পাশাপাশি আবেদনকারীদের পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কোনো কার্যকলাপ, ব্যক্তিগত অর্জন যেমন স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিটি সার্ভিস প্রজেক্ট, খেলাধুলা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক ইভেন্টে অংশ নেওয়ার মতো সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমগুলো বিশেষভাবে বিবেচনা করে থাকে ভর্তি কমিটি।
⊲ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আলাদা কোনো ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। মূলত আপনার আবেদন প্যাকেজ, সহায়ক ডকুমেন্টের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে। তবে কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রাম ভর্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা থাকতে পারে।
⊲ সহায়ক নথি: ট্রান্সক্রিপ্ট, ভাষা দক্ষতার প্রমাণ, ব্যক্তিগত বিবৃতিসহ আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা মূল্যায়নের জন্য আরও কিছু ডকুমেন্ট চেয়ে থাকে।
⊲ লেখার নমুনা: একটি বা দুটি অ্যাকাডেমিক নিবন্ধ বা অন্যান্য লেখা যা আপনার লেখার দক্ষতাকে ফুটিয়ে তুলবে।
⊲ রেফারেন্স লেটার: শিক্ষাবিদ বা পেশাদারদের কাছ থেকে আপনার ও আপনার কাজ সম্পর্কে লেখা সুপারিশমূলক চিঠি।
⊲ পড়াশোনা খরচ: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা আছে। তা ছাড়া বিভিন্ন দেশের সরকার ও সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি পেয়েও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যায়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মাস্টার্স প্রোগ্রাম অনুযায়ী ভিন্ন হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের https://www.ox.ac.uk/admissions/ undergraduate/fees-and-funding এই ওয়েবসাইটে বর্তমান ফি কাঠামো দেখতে পারেন।
বিষয় ও কলেজ নির্বাচন: সঠিক প্রোগ্রাম নির্বাচন আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য, আগ্রহ এবং পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রায় ২০০টি মাস্টার্স-স্তরের কোর্স অফার করে এবং প্রতিটি কোর্সের জন্য ওয়েবসাইটে নিজস্ব জায়গা আছে, যাতে কোর্স সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। সেখান থেকে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত কোর্সটি নির্বাচন করুন।
অন্যান্য শর্ত
⊲ ইংরেজি ভাষায় যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।
⊲ শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে দ্বিতীয় বিভাগ থাকলে আবেদন করা যাবে না।
নতুনদের জন্য পরামর্শ: আবেদনের প্রতিটি পর্যায়ে আপনার পছন্দের প্রোগ্রামের প্রতি আন্তরিক আগ্রহ প্রদর্শন করবেন। অতীতের অ্যাকাডেমিক সাফল্য এবং প্রাসঙ্গিক সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমকে সামনে তুলে ধরবেন যা প্রোগ্রামের উদ্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সময় নিয়ে একটি আকর্ষণীয় ব্যক্তিগত বিবৃতি তৈরি করুন, যা আপনার প্রোগ্রামের প্রতি আগ্রহ, যোগ্যতা ও সম্ভাব্য অবদান তুলে ধরবে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক তারিক মুর্শেদ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে পড়তে গিয়েছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগের অধীন রিফিউজি স্টাডিজ সেন্টার থেকে রিফিউজি এবং ফোর্সস মাইগ্রেশন স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া কঠিন মনে হলেও অসম্ভব নয়। অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট মানসম্পন্ন ও ভর্তি-নির্ধারিত বিষয়ে ভালো জ্ঞানসম্পন্ন হলে সহজেই ভর্তি হওয়া যায়।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ
MSc in Refugee and Forced Migration Studies সহ অন্য অনেক মাস্টার্স প্রোগ্রামের আবেদনপ্রক্রিয়া সাধারণত অক্টোবরে শুরু হয়ে পরের বছরের জানুয়ারি মাসে শেষ হয়।
ভর্তির যোগ্যতা
⊲ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া বেশ প্রতিযোগিতামূলক। কেবল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তরিকভাবে পড়তে আগ্রহী একাডেমিকভাবে দক্ষ ও উদ্যমী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। কাজেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ন্যূনতম প্রথম শ্রেণি বা উচ্চতর দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি বা সমমানের আন্তর্জাতিক যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন।
⊲ যাঁদের IB (International Baccalaureate), A- Level, SAT–এই ধরনের আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষার সনদ রয়েছে, ভর্তি কমিটি তাঁদের বিশেষ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে থাকে। এ ছাড়া বেশির ভাগ আবেদনকারীকে আইইএলটিএস বা টোফেলের মতো ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণ প্রদর্শন করতে হয়। আইইএলটিএসের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭.৫ স্কোর অর্জন করতে হবে, যেখানে সাব-স্কোরের সব পর্যায়েই ন্যূনতম ৭ থাকতে হবে।
⊲ সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম সব সময়ই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সের পাশাপাশি আবেদনকারীদের পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কোনো কার্যকলাপ, ব্যক্তিগত অর্জন যেমন স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিটি সার্ভিস প্রজেক্ট, খেলাধুলা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক ইভেন্টে অংশ নেওয়ার মতো সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমগুলো বিশেষভাবে বিবেচনা করে থাকে ভর্তি কমিটি।
⊲ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আলাদা কোনো ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। মূলত আপনার আবেদন প্যাকেজ, সহায়ক ডকুমেন্টের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে। তবে কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রাম ভর্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা থাকতে পারে।
⊲ সহায়ক নথি: ট্রান্সক্রিপ্ট, ভাষা দক্ষতার প্রমাণ, ব্যক্তিগত বিবৃতিসহ আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা মূল্যায়নের জন্য আরও কিছু ডকুমেন্ট চেয়ে থাকে।
⊲ লেখার নমুনা: একটি বা দুটি অ্যাকাডেমিক নিবন্ধ বা অন্যান্য লেখা যা আপনার লেখার দক্ষতাকে ফুটিয়ে তুলবে।
⊲ রেফারেন্স লেটার: শিক্ষাবিদ বা পেশাদারদের কাছ থেকে আপনার ও আপনার কাজ সম্পর্কে লেখা সুপারিশমূলক চিঠি।
⊲ পড়াশোনা খরচ: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা আছে। তা ছাড়া বিভিন্ন দেশের সরকার ও সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি পেয়েও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যায়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মাস্টার্স প্রোগ্রাম অনুযায়ী ভিন্ন হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের https://www.ox.ac.uk/admissions/ undergraduate/fees-and-funding এই ওয়েবসাইটে বর্তমান ফি কাঠামো দেখতে পারেন।
বিষয় ও কলেজ নির্বাচন: সঠিক প্রোগ্রাম নির্বাচন আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য, আগ্রহ এবং পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রায় ২০০টি মাস্টার্স-স্তরের কোর্স অফার করে এবং প্রতিটি কোর্সের জন্য ওয়েবসাইটে নিজস্ব জায়গা আছে, যাতে কোর্স সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। সেখান থেকে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত কোর্সটি নির্বাচন করুন।
অন্যান্য শর্ত
⊲ ইংরেজি ভাষায় যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।
⊲ শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে দ্বিতীয় বিভাগ থাকলে আবেদন করা যাবে না।
নতুনদের জন্য পরামর্শ: আবেদনের প্রতিটি পর্যায়ে আপনার পছন্দের প্রোগ্রামের প্রতি আন্তরিক আগ্রহ প্রদর্শন করবেন। অতীতের অ্যাকাডেমিক সাফল্য এবং প্রাসঙ্গিক সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমকে সামনে তুলে ধরবেন যা প্রোগ্রামের উদ্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সময় নিয়ে একটি আকর্ষণীয় ব্যক্তিগত বিবৃতি তৈরি করুন, যা আপনার প্রোগ্রামের প্রতি আগ্রহ, যোগ্যতা ও সম্ভাব্য অবদান তুলে ধরবে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের সব বিষয়ের পরীক্ষায় ৩০ মিনিট করে সময় বাড়ানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে নতুন প্রায় ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়গুলোয় মিড-ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া, বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়ন চার স্তরে করা, পঞ্চম শ্রেণিতে আবার বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
৯ ঘণ্টা আগে