শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা সেপ্টেম্বরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২১, ১২: ০৭

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের ১০ দিনের মাথায় গত বছরের ১৭ মার্চ বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তারপর চলে গেছে প্রায় ১৭ মাস। এত দিনে ২২ দফায় বাড়ানো হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। কিন্তু ভরসার কথা হলো টিকাদান বাড়ছে। সেই ভরসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল বুধবার জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা চলছে। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে সরকার।

রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খুলছে না। এখনই অটোপাসের চিন্তা নয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যেহেতু এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বরে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেহেতু এর আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য স্কুল-কলেজ নিয়মিত পরিষ্কার করার জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফেরদৌস জামান গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকা দান সম্পূর্ণ করে আগামী সেপ্টেম্বরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে আশাবাদী।’ করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

এর আগে গত শনিবার শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ইরাব’ এর আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জনান, সরকারি সকল শিক্ষকদের টিকা সম্পূর্ণ হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ ৬৩ হাজার ২২২ জনের শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৪২৬ জন টিকা নিয়েছেন। টিকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট নিবন্ধিত ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৬১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৭৯ হাজার ৯১৪ জন শিক্ষার্থী এবং ২য় ডোজ নিয়েছেন ৬ হাজার ৭২ জন।

দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ তা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত টানা ৫১৪ দিন বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে অনলাইন, টেলিভিশনসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চলছে শ্রেণি কার্যক্রম। অবশ্য এতে সন্তুষ্ট নয় শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা। তারা বিভিন্ন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানিয়ে আসছে। সংসদেও দাবি ওঠে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে দাবি জানানো হয়েছে।

প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

গত মার্চে বেসরকারি এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ ও মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শিখতে না পারার ঝুঁকিতে আছে। পুনরুদ্ধার কর্মসূচি হাতে নিয়ে এদের না শেখালে এ স্তরের ৬০ লাখ শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গুজব

ববির ট্রেজারার সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যোগদানে বাধা

বিগত সরকারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণ দিতেই যাবে শতকোটি টাকা

দুই দিনে ৭ ব্যাংককে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেননি রয়টার্সের প্রতিবেদক: সিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত