মো. খশরু আহসান
মানুষ জীবদ্দশায় তাঁর খুব প্রিয় যেকোনো কিছুরই যত্ন নেয়, আগলে রাখে, ভালো রাখার চেষ্টা করে। মানবদেহের মস্তিষ্ক দেখতে কেমন, তা অধিকাংশ মানুষ না জানলেও মস্তিষ্ক যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়—সে ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ নেই। মানুষের অভ্যাসের সঙ্গে মানব মস্তিষ্কের নিউরাল পথ তৈরির ক্ষমতা জড়িত থাকে, যা মস্তিষ্ক পুনরাবৃত্ত আচরণকে আরও বেশি স্বয়ংক্রিয় এবং কার্যকর করে তোলে। তাই অভ্যাসটি যদি হয় একটি ভালো বই পড়ার, তবে অনেকগুলো উপকার একসঙ্গে পাওয়া যেতে পারে। অতএব, পাঠ যদি একটি অভ্যাস হয়; তবে সেই পাঠাভ্যাস কীভাবে মস্তিষ্কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়ে লিখেছেন মো. খশরু আহসান।
এক. বইয়ের সঙ্গে মানুষের মস্তিষ্ক, চিন্তাভাবনা এবং শরীরের একটি মসৃণ সম্পৃক্ততা রয়েছে। একজন মানুষ কী ধরনের বই পড়তে পছন্দ করেন, তার ওপর নির্ভর করে ব্যক্তির মানসিকতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। পাঠাভ্যাসের ফলে ডিমেনসিয়া ও আলঝেইমার নামের দুটি রোগ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়, গবেষণায় তা-ই দেখা গেছে। মস্তিষ্ককে যদি আমরা শরীরের অন্যান্য পেশির মতোই ধরে নেই, তবে পাঠাভ্যাস হলো এক ধরনের ব্যায়াম; যা তাঁকে ভালো এবং সুস্থ রাখতে পারে। মানসিকভাবে উৎফুল্ল রাখতে পারে।
দুই. মানুষের মস্তিষ্কে কিছু জটিল কোষ রয়েছে। বই পড়ার অভ্যাস সেসব জটিল কোষগুলোর উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে এবং স্নায়ুগুলোকে উজ্জীবিত করে রাখে। বই পড়ার সময় পাঠক বিভিন্ন কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জ্ঞানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেকে বিবেচনা করেন। ফলে তাঁর চিন্তা ও কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি পায়। জীবন চলার পথে বিভিন্ন জটিল বিষয়গুলোর সমাধানের ক্ষেত্রে এসব মানুষ বিচলিত হন না; বরং একেকটি জটিল বিষয়ের খুব ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেন।
তিন. সঙ্গী হিসেবে বই অসাধারণ। মানুষের সঙ্গে মানুষের রাগ-অভিমানের ফলে সম্পর্কের দূরত্ব বাড়লেও, বইয়ের সঙ্গে তা হয় না। বইয়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পাঠকেরও মান-অভিমান হয়, ভালো লাগা, খারাপ লাগার বিষয় আসে। কিন্তু সম্পর্কের দূরত্ব বাড়ে না; বরং বইকে মানুষ আগলে রাখে। উপন্যাসের চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়া মানুষ যখন ঘটনাগুলোকে নিয়ে মস্তিষ্কে স্মৃতিচারণা করেন, তখন মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি ভালো বই মানুষকে জানা-অজানা বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়।
চার. পৃথিবীর সব বইয়ের গল্পের পেছনে আরও শত শত কিংবা সহস্র গল্প আছে। বই পাঠ করা যখন মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন মানুষ পঠিত বইটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন, সূত্র খুঁজতে থাকেন, বিশ্লেষণ করে আনন্দ পান। ফলে পাঠকের বিশ্লেষণধর্মী চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি পায়। বাস্তব জীবনের নানা ঘটনাকেও নিজের মতো করে বিশ্লেষণ করতে পারেন। অভিজ্ঞতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে মস্তিষ্ক হয়ে ওঠে তথ্যবহুল। দেকার্তের মতে, ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর মহৎ লোকের সঙ্গে আলাপ করা।
মানুষের পরিপাকতন্ত্রে অণুজীবের সংখ্যা প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন। স্নায়ু ব্যবস্থার মাধ্যমে এদের প্রতিটিই যুক্ত থাকে মস্তিষ্কের সঙ্গে। জনাথন সুইফটের মতামত অনুযায়ী, বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান। তবে সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো একটি ভালো বই নির্বাচন করার সক্ষমতা।
কোন বয়সে কোন ধরনের বই পড়লে মানসিকতার উন্নয়ন হয়, তা বোঝার জন্য বই সম্পর্কে জানতে হবে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। এমন কোনো বই নির্বাচন করা যাবে না, যা পাঠকের নেতিবাচক চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়েও বই মানুষকে ছেড়ে যায় না। নতুন কিংবা পুরোনো বইয়ের ভাঁজে ঠিক লেখা থাকে, ভালো থাকার মন্ত্র।
মানুষ জীবদ্দশায় তাঁর খুব প্রিয় যেকোনো কিছুরই যত্ন নেয়, আগলে রাখে, ভালো রাখার চেষ্টা করে। মানবদেহের মস্তিষ্ক দেখতে কেমন, তা অধিকাংশ মানুষ না জানলেও মস্তিষ্ক যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়—সে ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ নেই। মানুষের অভ্যাসের সঙ্গে মানব মস্তিষ্কের নিউরাল পথ তৈরির ক্ষমতা জড়িত থাকে, যা মস্তিষ্ক পুনরাবৃত্ত আচরণকে আরও বেশি স্বয়ংক্রিয় এবং কার্যকর করে তোলে। তাই অভ্যাসটি যদি হয় একটি ভালো বই পড়ার, তবে অনেকগুলো উপকার একসঙ্গে পাওয়া যেতে পারে। অতএব, পাঠ যদি একটি অভ্যাস হয়; তবে সেই পাঠাভ্যাস কীভাবে মস্তিষ্কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়ে লিখেছেন মো. খশরু আহসান।
এক. বইয়ের সঙ্গে মানুষের মস্তিষ্ক, চিন্তাভাবনা এবং শরীরের একটি মসৃণ সম্পৃক্ততা রয়েছে। একজন মানুষ কী ধরনের বই পড়তে পছন্দ করেন, তার ওপর নির্ভর করে ব্যক্তির মানসিকতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। পাঠাভ্যাসের ফলে ডিমেনসিয়া ও আলঝেইমার নামের দুটি রোগ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়, গবেষণায় তা-ই দেখা গেছে। মস্তিষ্ককে যদি আমরা শরীরের অন্যান্য পেশির মতোই ধরে নেই, তবে পাঠাভ্যাস হলো এক ধরনের ব্যায়াম; যা তাঁকে ভালো এবং সুস্থ রাখতে পারে। মানসিকভাবে উৎফুল্ল রাখতে পারে।
দুই. মানুষের মস্তিষ্কে কিছু জটিল কোষ রয়েছে। বই পড়ার অভ্যাস সেসব জটিল কোষগুলোর উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে এবং স্নায়ুগুলোকে উজ্জীবিত করে রাখে। বই পড়ার সময় পাঠক বিভিন্ন কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জ্ঞানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেকে বিবেচনা করেন। ফলে তাঁর চিন্তা ও কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি পায়। জীবন চলার পথে বিভিন্ন জটিল বিষয়গুলোর সমাধানের ক্ষেত্রে এসব মানুষ বিচলিত হন না; বরং একেকটি জটিল বিষয়ের খুব ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেন।
তিন. সঙ্গী হিসেবে বই অসাধারণ। মানুষের সঙ্গে মানুষের রাগ-অভিমানের ফলে সম্পর্কের দূরত্ব বাড়লেও, বইয়ের সঙ্গে তা হয় না। বইয়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পাঠকেরও মান-অভিমান হয়, ভালো লাগা, খারাপ লাগার বিষয় আসে। কিন্তু সম্পর্কের দূরত্ব বাড়ে না; বরং বইকে মানুষ আগলে রাখে। উপন্যাসের চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়া মানুষ যখন ঘটনাগুলোকে নিয়ে মস্তিষ্কে স্মৃতিচারণা করেন, তখন মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি ভালো বই মানুষকে জানা-অজানা বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়।
চার. পৃথিবীর সব বইয়ের গল্পের পেছনে আরও শত শত কিংবা সহস্র গল্প আছে। বই পাঠ করা যখন মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন মানুষ পঠিত বইটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন, সূত্র খুঁজতে থাকেন, বিশ্লেষণ করে আনন্দ পান। ফলে পাঠকের বিশ্লেষণধর্মী চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি পায়। বাস্তব জীবনের নানা ঘটনাকেও নিজের মতো করে বিশ্লেষণ করতে পারেন। অভিজ্ঞতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে মস্তিষ্ক হয়ে ওঠে তথ্যবহুল। দেকার্তের মতে, ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর মহৎ লোকের সঙ্গে আলাপ করা।
মানুষের পরিপাকতন্ত্রে অণুজীবের সংখ্যা প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন। স্নায়ু ব্যবস্থার মাধ্যমে এদের প্রতিটিই যুক্ত থাকে মস্তিষ্কের সঙ্গে। জনাথন সুইফটের মতামত অনুযায়ী, বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান। তবে সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো একটি ভালো বই নির্বাচন করার সক্ষমতা।
কোন বয়সে কোন ধরনের বই পড়লে মানসিকতার উন্নয়ন হয়, তা বোঝার জন্য বই সম্পর্কে জানতে হবে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। এমন কোনো বই নির্বাচন করা যাবে না, যা পাঠকের নেতিবাচক চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়েও বই মানুষকে ছেড়ে যায় না। নতুন কিংবা পুরোনো বইয়ের ভাঁজে ঠিক লেখা থাকে, ভালো থাকার মন্ত্র।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রমজান মাসের করা রুটিন অনুযায়ী সকল ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে সেমিস্টার ও মিডটার্ম পরীক্ষা সশরীরে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে...
১৩ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকালে এ মন্তব্য করেন অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
১৩ ঘণ্টা আগেস্নাতক পর্যায়ে বিদেশে পড়াশোনা করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা হলো SAT (Scholastic Assessment Test)। এটি মূলত ইংরেজি পড়া, লেখা এবং গণিতে দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য SAT স্কোর বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
১৯ ঘণ্টা আগেইতালির ক্যালাব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় দুই বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।
১৯ ঘণ্টা আগে