ড. মো. নুরুজ্জামান খাঁন
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পপুলেশন সায়েন্স অনেকটা নতুন বিষয়। ১৯৯৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করে এ বিভাগ। এরপর ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর এবং ২০১২ সালে স্নাতক পর্যায়ে প্রোগ্রাম চালু করা হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
যা পড়ানো হয়
পপুলেশন সায়েন্স একটি বহুমাত্রিক বিষয়। যেখানে মানুষের জীবন ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক পাঠদান করা হয়। এই বিষয়ে ডেমোগ্রাফি একটি প্রধান উপাদান। এ ছাড়া এ বিভাগের অধীনে সমাজবিজ্ঞান, গণিত, পরিসংখ্যান ও নৃবিজ্ঞান গুরুত্বসহকারে পড়ানো হয়। আধুনিক সময়ে পপুলেশন সায়েন্সের অন্যতম মূল ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এপিডেমিওলজি এবং জনস্বাস্থ্য–সম্পর্কিত বিষয়গুলো, যা বর্তমানে পপুলেশন সায়েন্সের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
বিভাগের বৈচিত্র্য
পপুলেশন সায়েন্সের পাঠ্যক্রম একক কোনো বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয়; বরং শিক্ষার্থীরা একাধিক ক্ষেত্রে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পান। এখানে সমাজবিজ্ঞান, ডেমোগ্রাফি, নৃবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, গণিত, এপিডেমিওলজি, জনস্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন শাখার সমন্বয়ে একটি বিস্তৃত শিক্ষার সুযোগ থাকে। এসব বিষয়ের সমন্বিত অধ্যয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমাজে বিদ্যমান নানা সমস্যা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। পপুলেশন সায়েন্স তাঁদের এমনভাবে প্রস্তুত করে, যেন তাঁরা সমাজের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারেন।
গবেষণার ক্ষেত্র
পপুলেশন সায়েন্সের গ্র্যাজুয়েটদের গবেষণার ক্ষেত্র অত্যন্ত বিস্তৃত ও বহুমুখী। জনস্বাস্থ্য একটি প্রধান গবেষণাক্ষেত্র হিসেবে তাঁদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে। এপিডেমিওলজিক্যাল ট্রানজিশনের ফলে জনস্বাস্থ্য–সংক্রান্ত নতুন নতুন গবেষণার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হয়েছে।
চাকরির সুযোগ
পপুলেশন সায়েন্স একটি বহুমাত্রিক বিষয়। তাই এ ক্ষেত্রে টিকে থাকতে হলে আপনাকে বহুমাত্রিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সময়ের সঙ্গে নিজেকে আপডেট করতে হবে। দেশের মধ্যে, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা যেমন ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ, ইউএন উইমেন, ইউএনএইচসিআর, বিভিন্ন রিসার্চ ফার্ম এবং এনজিওতে তাঁদের চাহিদা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউএন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং বৈশ্বিক এনজিওগুলোতে পপুলেশন সায়েন্সের গ্র্যাজুয়েটদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ
পপুলেশন সায়েন্স একটি বহুমাত্রিক ক্ষেত্র হওয়ায় এ বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ অনেক বিস্তৃত। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের প্রায় সব নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পপুলেশন সায়েন্সের শিক্ষার্থীরা গবেষণার সুযোগ পেতে পারেন। যদিও অনেক স্থানে সরাসরি পপুলেশন সায়েন্সের বিষয়টি না–ও পাওয়া যেতে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র যেমন জনস্বাস্থ্য, ডেমোগ্রাফি, সোশ্যাল এপিডেমিওলজি এবং ডেটা সায়েন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্টগুলোতে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ রয়েছে।
লেখক: ড. মো. নুরুজ্জামান খাঁন
সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পপুলেশন সায়েন্স অনেকটা নতুন বিষয়। ১৯৯৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করে এ বিভাগ। এরপর ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর এবং ২০১২ সালে স্নাতক পর্যায়ে প্রোগ্রাম চালু করা হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
যা পড়ানো হয়
পপুলেশন সায়েন্স একটি বহুমাত্রিক বিষয়। যেখানে মানুষের জীবন ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক পাঠদান করা হয়। এই বিষয়ে ডেমোগ্রাফি একটি প্রধান উপাদান। এ ছাড়া এ বিভাগের অধীনে সমাজবিজ্ঞান, গণিত, পরিসংখ্যান ও নৃবিজ্ঞান গুরুত্বসহকারে পড়ানো হয়। আধুনিক সময়ে পপুলেশন সায়েন্সের অন্যতম মূল ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এপিডেমিওলজি এবং জনস্বাস্থ্য–সম্পর্কিত বিষয়গুলো, যা বর্তমানে পপুলেশন সায়েন্সের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
বিভাগের বৈচিত্র্য
পপুলেশন সায়েন্সের পাঠ্যক্রম একক কোনো বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয়; বরং শিক্ষার্থীরা একাধিক ক্ষেত্রে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পান। এখানে সমাজবিজ্ঞান, ডেমোগ্রাফি, নৃবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, গণিত, এপিডেমিওলজি, জনস্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন শাখার সমন্বয়ে একটি বিস্তৃত শিক্ষার সুযোগ থাকে। এসব বিষয়ের সমন্বিত অধ্যয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমাজে বিদ্যমান নানা সমস্যা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। পপুলেশন সায়েন্স তাঁদের এমনভাবে প্রস্তুত করে, যেন তাঁরা সমাজের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারেন।
গবেষণার ক্ষেত্র
পপুলেশন সায়েন্সের গ্র্যাজুয়েটদের গবেষণার ক্ষেত্র অত্যন্ত বিস্তৃত ও বহুমুখী। জনস্বাস্থ্য একটি প্রধান গবেষণাক্ষেত্র হিসেবে তাঁদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে। এপিডেমিওলজিক্যাল ট্রানজিশনের ফলে জনস্বাস্থ্য–সংক্রান্ত নতুন নতুন গবেষণার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হয়েছে।
চাকরির সুযোগ
পপুলেশন সায়েন্স একটি বহুমাত্রিক বিষয়। তাই এ ক্ষেত্রে টিকে থাকতে হলে আপনাকে বহুমাত্রিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সময়ের সঙ্গে নিজেকে আপডেট করতে হবে। দেশের মধ্যে, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা যেমন ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ, ইউএন উইমেন, ইউএনএইচসিআর, বিভিন্ন রিসার্চ ফার্ম এবং এনজিওতে তাঁদের চাহিদা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউএন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং বৈশ্বিক এনজিওগুলোতে পপুলেশন সায়েন্সের গ্র্যাজুয়েটদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ
পপুলেশন সায়েন্স একটি বহুমাত্রিক ক্ষেত্র হওয়ায় এ বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ অনেক বিস্তৃত। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের প্রায় সব নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পপুলেশন সায়েন্সের শিক্ষার্থীরা গবেষণার সুযোগ পেতে পারেন। যদিও অনেক স্থানে সরাসরি পপুলেশন সায়েন্সের বিষয়টি না–ও পাওয়া যেতে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র যেমন জনস্বাস্থ্য, ডেমোগ্রাফি, সোশ্যাল এপিডেমিওলজি এবং ডেটা সায়েন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্টগুলোতে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ রয়েছে।
লেখক: ড. মো. নুরুজ্জামান খাঁন
সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
আজ বুধবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকালে এ মন্তব্য করেন অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
৩৭ মিনিট আগেস্নাতক পর্যায়ে বিদেশে পড়াশোনা করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা হলো SAT (Scholastic Assessment Test)। এটি মূলত ইংরেজি পড়া, লেখা এবং গণিতে দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য SAT স্কোর বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
৬ ঘণ্টা আগেইতালির ক্যালাব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় দুই বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর সরকারি সাত কলেজ পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়/সমকক্ষ হওয়ার আগপর্যন্ত এর সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে অধিভুক্ত কলেজের একজন অধ্যক্ষের নেতৃত্বে। আর পুরো কার্যক্রমের নজরদারিতে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক সদস্য।
১ দিন আগে