জাককানইবি প্রতিনিধি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৪ জন। এতে প্রতি ২ হাজার জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে চিকিৎসক নিযুক্ত রয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী) প্রায় ১ হাজার মেডিকেল সেন্টারে রয়েছে ওষুধ সংকট এবং নেই কোনো তদারকি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মেডিকেল সেন্টারটিতে দায়িত্বরত ৪ জন ডাক্তারের মধ্যে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন মাত্র দুজন। গভীর রাতে বা অফিস সময়ের বাইরে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য কোনো চিকিৎসক নেই এখানে। দুজন আবাসিক চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও পদ এখনো শূন্য পড়ে আছে। পাঁচ বছর আগে যে সংখ্যক চিকিৎসক ছিলেন এখনো তাই আছেন। শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হলেও বাড়েনি চিকিৎসক। বাজেটেরও একই দুরবস্থা। ওষুধ সরবরাহের জন্য পাঁচ বছর আগে বাজেট ছিল ৭৫ হাজার টাকা, যা এখনো একই রয়েছে। দুজন নার্সের মধ্যে একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় একজন দিয়েই চলছে কাজ। আর করোনার সময়ে প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জাম কেনার জন্য বরাদ্দ পেয়েছিল মেডিকেল সেন্টার ব্যথার দান। সেই বরাদ্দ নিয়ে গেছে অন্য খাতে প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কয়েকটি সরঞ্জাম থাকলেও নেই কোনো ইসিজি কক্ষ, প্যাথলজি ল্যাব। আবার ইসিজি মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র থাকলেও জনবলের অভাবে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশেই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকায় হাসপাতালের স্টাফরা নিজেরাই মেডিকেল সেন্টারটি পরিষ্কার করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, মেডিকেল সেন্টারটিতে চিকিৎসাসেবার কিছুই নেই। মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে সময়মতো চিকিৎসা পাওয়া যায় না। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে চিকিৎসক চলে যান। নাপা-প্যারাসিটামল ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না সেখানে। ডাক্তারের লিখে দেওয়া অধিকাংশ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। ডাক্তার ও স্টাফরা দায়িত্বশীল আচরণ করেন না।
শাহরিয়ার চৌধুরী নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ব্যথার দানে গেলে অধিকাংশ সময়ই হতাশ হয়ে ফিরতে হয়। হয় চিকিৎসক থাকেন না অথবা চিকিৎসক থাকলেও পর্যাপ্ত সেবা দেন না। সামান্য অসুস্থতাতেও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন না তাঁরা। পাঠিয়ে দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অথবা ময়মনসিংহ মেডিকেলে।
মেডিকেল সেন্টার ‘ব্যথার দান’ এর সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. এম এম আশরাফ উদ্দিন তালুকদার বলেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স নেই। সর্বসাকল্যে স্টাফ আছেন মাত্র ৭ জন। টেকনিশিয়ান তো নেইই। ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন আছে তবে কক্ষ নেই। টেকনিশিয়ানের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্যাথলজি ল্যাব নেই। স্থান সংকুলানজনিত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে প্রথম থেকেই। নতুন ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নের বালাই নেই প্রশাসনের।
ছাত্র উপদেষ্টা তপন কুমার সরকার বলেন, নতুন হল খোলা হলে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। যেকোনো মুহূর্তে যে কারও সমস্যা হতে পারে। আমি চাই মেডিকেল সেন্টারটি যেন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়। পাশাপাশি যেন এর সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়।
রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ূন কবীর সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা সামনে মেডিকেল সেন্টারকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিচ্ছি।
উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মেডিকেল সেন্টার ব্যথার দানে কিছুই করতে পারিনি। সদিচ্ছা ছিল কিন্তু দক্ষ টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিতে না পারায় তেমন কিছু করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স নেই। এসব পদে জনবল নিয়োগের চেষ্টা থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় তা আর করা সম্ভব হয়নি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৪ জন। এতে প্রতি ২ হাজার জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে চিকিৎসক নিযুক্ত রয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী) প্রায় ১ হাজার মেডিকেল সেন্টারে রয়েছে ওষুধ সংকট এবং নেই কোনো তদারকি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মেডিকেল সেন্টারটিতে দায়িত্বরত ৪ জন ডাক্তারের মধ্যে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন মাত্র দুজন। গভীর রাতে বা অফিস সময়ের বাইরে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য কোনো চিকিৎসক নেই এখানে। দুজন আবাসিক চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও পদ এখনো শূন্য পড়ে আছে। পাঁচ বছর আগে যে সংখ্যক চিকিৎসক ছিলেন এখনো তাই আছেন। শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হলেও বাড়েনি চিকিৎসক। বাজেটেরও একই দুরবস্থা। ওষুধ সরবরাহের জন্য পাঁচ বছর আগে বাজেট ছিল ৭৫ হাজার টাকা, যা এখনো একই রয়েছে। দুজন নার্সের মধ্যে একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় একজন দিয়েই চলছে কাজ। আর করোনার সময়ে প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জাম কেনার জন্য বরাদ্দ পেয়েছিল মেডিকেল সেন্টার ব্যথার দান। সেই বরাদ্দ নিয়ে গেছে অন্য খাতে প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কয়েকটি সরঞ্জাম থাকলেও নেই কোনো ইসিজি কক্ষ, প্যাথলজি ল্যাব। আবার ইসিজি মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র থাকলেও জনবলের অভাবে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশেই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকায় হাসপাতালের স্টাফরা নিজেরাই মেডিকেল সেন্টারটি পরিষ্কার করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, মেডিকেল সেন্টারটিতে চিকিৎসাসেবার কিছুই নেই। মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে সময়মতো চিকিৎসা পাওয়া যায় না। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে চিকিৎসক চলে যান। নাপা-প্যারাসিটামল ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না সেখানে। ডাক্তারের লিখে দেওয়া অধিকাংশ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। ডাক্তার ও স্টাফরা দায়িত্বশীল আচরণ করেন না।
শাহরিয়ার চৌধুরী নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ব্যথার দানে গেলে অধিকাংশ সময়ই হতাশ হয়ে ফিরতে হয়। হয় চিকিৎসক থাকেন না অথবা চিকিৎসক থাকলেও পর্যাপ্ত সেবা দেন না। সামান্য অসুস্থতাতেও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন না তাঁরা। পাঠিয়ে দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অথবা ময়মনসিংহ মেডিকেলে।
মেডিকেল সেন্টার ‘ব্যথার দান’ এর সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. এম এম আশরাফ উদ্দিন তালুকদার বলেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স নেই। সর্বসাকল্যে স্টাফ আছেন মাত্র ৭ জন। টেকনিশিয়ান তো নেইই। ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন আছে তবে কক্ষ নেই। টেকনিশিয়ানের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্যাথলজি ল্যাব নেই। স্থান সংকুলানজনিত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে প্রথম থেকেই। নতুন ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নের বালাই নেই প্রশাসনের।
ছাত্র উপদেষ্টা তপন কুমার সরকার বলেন, নতুন হল খোলা হলে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। যেকোনো মুহূর্তে যে কারও সমস্যা হতে পারে। আমি চাই মেডিকেল সেন্টারটি যেন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়। পাশাপাশি যেন এর সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়।
রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ূন কবীর সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা সামনে মেডিকেল সেন্টারকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিচ্ছি।
উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মেডিকেল সেন্টার ব্যথার দানে কিছুই করতে পারিনি। সদিচ্ছা ছিল কিন্তু দক্ষ টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিতে না পারায় তেমন কিছু করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স নেই। এসব পদে জনবল নিয়োগের চেষ্টা থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় তা আর করা সম্ভব হয়নি।
যুক্তরাজ্যে জন্ম ও কানাডায় বেড়ে ওঠা ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক, সাংবাদিক ও বক্তা। তাঁর অন্যতম বই হলো আউটলায়ার্স। বইটি বিশ্বের অনেক ভাষায় অনূদিত হয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে।
১ few সেকেন্ড আগেবিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু পাঠ্যপুস্তক বা শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত নয়। এটি ব্যক্তিত্ব গঠনের, দক্ষতা বিকাশের এবং ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নেওয়ার এক বিশাল ক্ষেত্র। এই সময় ক্লাব কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা হতে পারে, যা তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে উল্লেখযো
৩ মিনিট আগেবিদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য পছন্দের গন্তব্য নেদারল্যান্ডস। ইউরোপের দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো ম্যাস্ট্রিচ ইউনিভার্সিটির বৃত্তি।
৭ মিনিট আগেমাইলস্টোন কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরার ডিয়াবাড়িতে অবস্থিত কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় অংশগ্রহণ করে নবম শ্রেণির সকল বালিকা। এ সময় তারা উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ, দড়ি লাফ, সাইক্লিং, হ্যান্ডবল, দৌড় প্রতিযোগিতা ছাড়াও বিভিন্ন একক ও দলগত প্রতিযোগিতায়
১৩ ঘণ্টা আগে