মো. সৈয়দুর রহমান
ছাত্র-জনতার দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকারের। তবে এখানেই থেমে যেতে চান না শিক্ষার্থীরা। তাঁদের প্রত্যাশা, তরুণদের হাত ধরেই গড়ে উঠবে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তাঁরা দেশে আর কোনো অপশাসন কিংবা দুঃশাসন দেখতে চান না। প্রতিটি ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে জবাবদিহি। একই সঙ্গে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হবে ভয়হীন ও নিরাপদ। যেখানে থাকবে না কোনো র্যাগিং কিংবা হয়রানি। অনেক শিক্ষার্থী আবার ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রাখার পক্ষেও মত দিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যাশার কথা জানাচ্ছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষার্থী।
দলীয়করণ করা সংবিধানের অনুচ্ছেদ সবার আগে সংস্কার করতে হবে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পর যে সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে, তাদের দল যেন কোনো জনবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তরুণদের আশা-আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে প্রণয়ন করতে হবে নির্বাচনী ইশতেহার। কারণ, একটি প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে না পারার পরিণাম দেশবাসী এবার প্রত্যক্ষ করেছে। সংবিধানের যেসব অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করে দলীয়করণ করা হয়েছিল, সেগুলো সবার আগে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করতে হবে।
শিক্ষা খাত এখনো উন্নত দেশের তুলনায় অনেক ভঙ্গুর। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষার সমন্বয় করে নতুন পদ্ধতি প্রণয়ন করলে কর্মসংস্থান নিয়ে আর কোনো চিন্তা করতে হবে না। একই সঙ্গে গবেষণায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাই গবেষণায় বরাদ্দ বাড়িয়ে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কাজে মনোযোগ দিতে হবে। আগামীর বাংলাদেশে থাকবে শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা। কেউ যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা ও গুজব ছড়াতে না পারে, সে জন্য কাজ করবে একাধিক সাইবার টিম। সর্বোপরি সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
মেহেদী হাসান জনী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির বাংলাদেশ চাই
তারুণ্যের বিপ্লবে অর্জিত হয়েছে এক অনন্য স্বাধীনতা। স্বাধীনতার এই আনন্দ-উল্লাস আমাদের আগামীর জন্য উজ্জীবিত করছে। এ তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়েই গড়ে তুলতে হবে আগামীর বাংলাদেশ। আমাদের প্রত্যাশা, দেশ শাসনে সবার অংশগ্রহণ তথা ভোটাধিকার সম্পূর্ণ নিশ্চিত হবে। আগামীর বাংলাদেশ যেন হয় প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সংবিধানের বিভিন্ন ধারা সংস্কার করার মাধ্যমে আমরা তরুণ প্রজন্ম বিশ্বাস করি, রাজনীতির কালো হাত দূর হবে। যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মাধ্যমে সরকার গঠন করে দেশকে অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে হবে।
শিক্ষা কাঠামোকে যুগোপযোগী করে সংস্কার করতে হবে। যেন বিশ্বে বাংলাদেশের শিক্ষাপদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা আরও বৃদ্ধি পায়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে শক্তিশালী হবে তারুণ্যের নেতৃত্ব। বাক্স্বাধীনতা, স্বৈরশাসনমুক্ত ও বৈষম্যহীন এক বাংলাদেশ পরিচিত হবে বিশ্বের বুকে।
স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রতিটি খাত এমনভাবে গড়ে উঠবে, যেন প্রত্যন্ত এলাকার জনগণও এর সুবিধা ভোগ করতে পারে। গণমাধ্যমগুলোতে সত্য ও ন্যায়ের তথ্য প্রচার করে জনগণের মনে আস্থা তৈরি করতে হবে। গুম, খুন ও অত্যাচারমুক্ত দেশ গঠন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সদা-স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। দেশকে সব ক্ষতি থেকে মুক্ত করে এক সমতার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অন্যদের সঙ্গে কাজ করবে তরুণ সমাজ।
কাজী ফাহমিদা সুলতানা
কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ঢাকা
মেধা ও পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন হতে হবে
স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজকের অবস্থানে আসা পর্যন্ত তারুণ্যের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। তারুণ্যের দৃষ্টিতেই গড়ে উঠবে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এমন এক বাংলাদেশ চাই, যেখানে নিরাপদ স্বাস্থ্যব্যবস্থা, শিক্ষার অধিকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পাঠদানের ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক চর্চার ক্ষেত্র উন্মুক্ত থাকবে। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবসম্পদের উন্নয়ন করে দেশের বেকারত্বের হার কমিয়ে আনতে হবে।
আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে এসে বাঙালি সংস্কৃতির স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার জন্য যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশ হবে একটি বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র। যেখানে অন্যায়-অবিচার থাকবে না, নিরাপত্তা বাহিনী হবে জনতার। প্রতিটি প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে মেধা ও পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে। ন্যায্যতা ও সুযোগের সমতার ভিত্তিতে কোনো জনগোষ্ঠী যেন পিছিয়ে না যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
বাক্স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার কিংবা মৌলিক সামাজিক অধিকারের জন্য কোনো লড়াই করতে হবে না। বরং রাষ্ট্র নিজেই তার নাগরিকের এসব অধিকার স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে এসে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। কোনো একক খাতকে অধিক গুরুত্ব না দিয়ে সব খাতের বাজার যেন দেশ ও দেশের বাইরে সমৃদ্ধ হয়, সে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা অধিক কর্মক্ষম জনসংখ্যার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তাই এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ হবে সাম্য ও অসাম্প্রদায়িক
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। একটি সফল ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এবার তাই দেশ গঠনের পালা। আগামীর বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের নিয়ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে চুপ থাকার যে সংস্কৃতি, সেটি বন্ধ হতে হবে যেকোনো মূল্যে। সবাই মন খুলে কথা বলবে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আর কোনো সংখ্যালঘুর মনে ভীতির সঞ্চার করবে না। জাত-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই পাবে সমান অধিকার। দেশ হবে সাম্যের। আমার ভোটটি যেন আমি দিতে পারি, ভোট জালিয়াতির মতো কোনো বিষয় থাকবে না এ দেশে। নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হবে স্বাধীন এবং আইনসভার প্রভাবমুক্ত।
দলমত-নির্বিশেষে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে আইনের গতিতে, কোনো দলের স্বেচ্ছাচারিতায় নয়। শুধু রেমিট্যান্স ও আরএমডি নির্ভরশীল না হয়ে পাট, কুটির, মৎস্য, কৃষিসহ সব শিল্পে নজর দিতে হবে। যেন একটির প্রয়োজন ফুরোলেও অন্যটির সাহায্য নিয়ে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়া যায়। প্রযুক্তি খাতে ক্রমাগত উন্নতির মাধ্যমে উৎপাদন থেকে ভোগ পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে। একই সঙ্গে শুধু প্রযুক্তির উন্নয়ন করলেই হবে না, সব মানুষ যেন এ সুবিধা ভোগ করতে পারেন, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। পথশিশুসহ দেশের সব নাগরিক যেন অন্ন, বাসস্থান ও শিক্ষার অধিকার পায়, সে দায় রাষ্ট্রকে নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হবে ছাত্ররাজনীতি ও র্যাগিংমুক্ত। নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গড়ে উঠবে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব।
শহিদুল ইসলাম
উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়
লেখক: মো. সৈয়দুর রহমান
ছাত্র-জনতার দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকারের। তবে এখানেই থেমে যেতে চান না শিক্ষার্থীরা। তাঁদের প্রত্যাশা, তরুণদের হাত ধরেই গড়ে উঠবে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তাঁরা দেশে আর কোনো অপশাসন কিংবা দুঃশাসন দেখতে চান না। প্রতিটি ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে জবাবদিহি। একই সঙ্গে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হবে ভয়হীন ও নিরাপদ। যেখানে থাকবে না কোনো র্যাগিং কিংবা হয়রানি। অনেক শিক্ষার্থী আবার ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রাখার পক্ষেও মত দিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যাশার কথা জানাচ্ছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষার্থী।
দলীয়করণ করা সংবিধানের অনুচ্ছেদ সবার আগে সংস্কার করতে হবে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পর যে সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে, তাদের দল যেন কোনো জনবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তরুণদের আশা-আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে প্রণয়ন করতে হবে নির্বাচনী ইশতেহার। কারণ, একটি প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে না পারার পরিণাম দেশবাসী এবার প্রত্যক্ষ করেছে। সংবিধানের যেসব অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করে দলীয়করণ করা হয়েছিল, সেগুলো সবার আগে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করতে হবে।
শিক্ষা খাত এখনো উন্নত দেশের তুলনায় অনেক ভঙ্গুর। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষার সমন্বয় করে নতুন পদ্ধতি প্রণয়ন করলে কর্মসংস্থান নিয়ে আর কোনো চিন্তা করতে হবে না। একই সঙ্গে গবেষণায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাই গবেষণায় বরাদ্দ বাড়িয়ে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কাজে মনোযোগ দিতে হবে। আগামীর বাংলাদেশে থাকবে শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা। কেউ যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা ও গুজব ছড়াতে না পারে, সে জন্য কাজ করবে একাধিক সাইবার টিম। সর্বোপরি সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
মেহেদী হাসান জনী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির বাংলাদেশ চাই
তারুণ্যের বিপ্লবে অর্জিত হয়েছে এক অনন্য স্বাধীনতা। স্বাধীনতার এই আনন্দ-উল্লাস আমাদের আগামীর জন্য উজ্জীবিত করছে। এ তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়েই গড়ে তুলতে হবে আগামীর বাংলাদেশ। আমাদের প্রত্যাশা, দেশ শাসনে সবার অংশগ্রহণ তথা ভোটাধিকার সম্পূর্ণ নিশ্চিত হবে। আগামীর বাংলাদেশ যেন হয় প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সংবিধানের বিভিন্ন ধারা সংস্কার করার মাধ্যমে আমরা তরুণ প্রজন্ম বিশ্বাস করি, রাজনীতির কালো হাত দূর হবে। যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মাধ্যমে সরকার গঠন করে দেশকে অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে হবে।
শিক্ষা কাঠামোকে যুগোপযোগী করে সংস্কার করতে হবে। যেন বিশ্বে বাংলাদেশের শিক্ষাপদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা আরও বৃদ্ধি পায়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে শক্তিশালী হবে তারুণ্যের নেতৃত্ব। বাক্স্বাধীনতা, স্বৈরশাসনমুক্ত ও বৈষম্যহীন এক বাংলাদেশ পরিচিত হবে বিশ্বের বুকে।
স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রতিটি খাত এমনভাবে গড়ে উঠবে, যেন প্রত্যন্ত এলাকার জনগণও এর সুবিধা ভোগ করতে পারে। গণমাধ্যমগুলোতে সত্য ও ন্যায়ের তথ্য প্রচার করে জনগণের মনে আস্থা তৈরি করতে হবে। গুম, খুন ও অত্যাচারমুক্ত দেশ গঠন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সদা-স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। দেশকে সব ক্ষতি থেকে মুক্ত করে এক সমতার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অন্যদের সঙ্গে কাজ করবে তরুণ সমাজ।
কাজী ফাহমিদা সুলতানা
কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ঢাকা
মেধা ও পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন হতে হবে
স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজকের অবস্থানে আসা পর্যন্ত তারুণ্যের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। তারুণ্যের দৃষ্টিতেই গড়ে উঠবে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এমন এক বাংলাদেশ চাই, যেখানে নিরাপদ স্বাস্থ্যব্যবস্থা, শিক্ষার অধিকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পাঠদানের ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক চর্চার ক্ষেত্র উন্মুক্ত থাকবে। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবসম্পদের উন্নয়ন করে দেশের বেকারত্বের হার কমিয়ে আনতে হবে।
আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে এসে বাঙালি সংস্কৃতির স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার জন্য যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশ হবে একটি বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র। যেখানে অন্যায়-অবিচার থাকবে না, নিরাপত্তা বাহিনী হবে জনতার। প্রতিটি প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে মেধা ও পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে। ন্যায্যতা ও সুযোগের সমতার ভিত্তিতে কোনো জনগোষ্ঠী যেন পিছিয়ে না যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
বাক্স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার কিংবা মৌলিক সামাজিক অধিকারের জন্য কোনো লড়াই করতে হবে না। বরং রাষ্ট্র নিজেই তার নাগরিকের এসব অধিকার স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে এসে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। কোনো একক খাতকে অধিক গুরুত্ব না দিয়ে সব খাতের বাজার যেন দেশ ও দেশের বাইরে সমৃদ্ধ হয়, সে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা অধিক কর্মক্ষম জনসংখ্যার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তাই এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ হবে সাম্য ও অসাম্প্রদায়িক
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। একটি সফল ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এবার তাই দেশ গঠনের পালা। আগামীর বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের নিয়ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে চুপ থাকার যে সংস্কৃতি, সেটি বন্ধ হতে হবে যেকোনো মূল্যে। সবাই মন খুলে কথা বলবে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আর কোনো সংখ্যালঘুর মনে ভীতির সঞ্চার করবে না। জাত-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই পাবে সমান অধিকার। দেশ হবে সাম্যের। আমার ভোটটি যেন আমি দিতে পারি, ভোট জালিয়াতির মতো কোনো বিষয় থাকবে না এ দেশে। নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হবে স্বাধীন এবং আইনসভার প্রভাবমুক্ত।
দলমত-নির্বিশেষে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে আইনের গতিতে, কোনো দলের স্বেচ্ছাচারিতায় নয়। শুধু রেমিট্যান্স ও আরএমডি নির্ভরশীল না হয়ে পাট, কুটির, মৎস্য, কৃষিসহ সব শিল্পে নজর দিতে হবে। যেন একটির প্রয়োজন ফুরোলেও অন্যটির সাহায্য নিয়ে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়া যায়। প্রযুক্তি খাতে ক্রমাগত উন্নতির মাধ্যমে উৎপাদন থেকে ভোগ পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে। একই সঙ্গে শুধু প্রযুক্তির উন্নয়ন করলেই হবে না, সব মানুষ যেন এ সুবিধা ভোগ করতে পারেন, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। পথশিশুসহ দেশের সব নাগরিক যেন অন্ন, বাসস্থান ও শিক্ষার অধিকার পায়, সে দায় রাষ্ট্রকে নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হবে ছাত্ররাজনীতি ও র্যাগিংমুক্ত। নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গড়ে উঠবে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব।
শহিদুল ইসলাম
উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়
লেখক: মো. সৈয়দুর রহমান
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আজ সোমবার ঢাকার নিশাতনগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিন শিন গ্রুপ এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সহযোগিতা
৪ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শুধু শিক্ষার্থীরা না বহু সংগঠন ঢাকা শহরে আন্দোলন করছে। তাঁরা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছে, এর সমাধান কী করে হবে, আমি তো একা সমাধান করতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমাদ
৫ ঘণ্টা আগেপ্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
১৫ ঘণ্টা আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
১৬ ঘণ্টা আগে