আফসানা আলম
গবেষণা শব্দটি কেমন যেন ভীষণ গুরুগম্ভীর। তবে এই সিরিয়াস বিষয়টি কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বেশ মজারও। যেমন, একটি বিষয় সবাই এক রকম ভাবে; কিন্তু দেখলেন সেটি একদম অন্য রকম। অনেকটা কিছু একটা আবিষ্কার করে ফেলার মতো।
গবেষণা শব্দটির সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় সন্ধিবিচ্ছেদে। গো+এষণা মানে আসলে কী, তা ঠিক বুঝিনি তখন। তবে এখন বলা যায়, না, এটি গরু (গো) খোঁজার (এষণা) মতো এত বেশি কঠিন নয়। গরু যেমন দিগ্বিদিক হয়ে খুঁজতে হয়, গবেষণায় এমন অথই সাগরে আপনাকে পড়তে হবে না। আপনি জানবেন কীভাবে কোথায় আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
ক্যারিয়ার নির্বাচন
ক্যারিয়ার নির্বাচন করা সহজ নয়। ছোটবেলায় জীবনের লক্ষ্য রচনার মতো কী হতে চাই ভেবে ফেলা পর্যন্তই শেষ নয়, এখানে বরং তার জন্য প্রয়োজন সিদ্ধান্ত গ্রহণ, প্রস্তুতি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা। আপনাকে প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে–আপনি আসলেই গবেষক হতে চান কি না। এই দিকটায় আপনার ভালোলাগা, আগ্রহ বা জানাশোনা কতখানি।
এগিয়ে রাখুন
এখানে দুটি বিষয় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা সম্পর্কিত একাডেমিক জ্ঞান আর কাজের অভিজ্ঞতা।
স্নাতক পর্যায়ে সব বিভাগেই গবেষণা পদ্ধতিবিষয়ক এক বা একাধিক কোর্স থাকে, যেখানে গবেষণা বিষয়ে প্রাথমিক ধারণাগুলো দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এই বিষয়ে আরও জানতে চাইলে তার অনেক মাধ্যম আছে। বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফরম গবেষণা সম্পর্কিত শর্ট কোর্স, সেমিনার, ওয়ার্কশপ করিয়ে থাকে। ইন্টারনেটেও এই সম্পর্কিত প্রচুর রিসোর্চ রয়েছে, যা থেকে আপনি প্রায় সবকিছুই জানতে পারবেন।
গবেষণায় কাজের অভিজ্ঞতা আপনাকে অনেকখানি এগিয়ে রাখবে। যেমন, শিক্ষার্থী থাকাকালীনই বিভিন্ন গবেষণায় কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া, তথ্য সংগ্রহ, জরিপ, সাক্ষাৎকার বা অনুবাদ করা। বর্তমানে এই ধরনের সুযোগ অনেক বেশি। বিভিন্ন সংস্থা খণ্ডকালীন গবেষণা সহকারী নিয়ে থাকে বা এই বিষয়ে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দিয়ে থাকে।
এ ছাড়া পত্রিকা বা পাবলিক প্ল্যাটফরমে লেখালেখি করা, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া, স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রমও আপনাকে এগিয়ে রাখবে অন্যদের চেয়ে।
সিভিতে কী কী থাকবে
সিভিতে একাডেমিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি গবেষণা, ইন্টার্নশিপ, লেখালেখি সম্পর্কিত যেকোনো কাজের অভিজ্ঞতা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করুন। ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ, সেমিনার, লিডারশিপ, স্বেচ্ছাসেবক কাজগুলোর তালিকা করুন। এ ছাড়া ভাষাগত দক্ষতাও যোগ করুন। এমন রেফারেন্স উল্লেখ করবেন, যাঁরা আপনার গবেষণা সম্পর্কিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন।
গবেষণা সম্পর্কিত চাকরির খোঁজ
প্রযুক্তির সুবিধার কারণে এই বিষয়টি এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। চাকরি সম্পর্কিত বিভিন্ন পোর্টাল রয়েছে। যেমন, বিডি জবসে রিসার্চ সেকশন সিলেক্ট করলে সেই সম্পর্কিত সব চাকরির বিস্তারিত চলে আসবে। তা ছাড়া ফেসবুকেও কিছু গ্রুপ রয়েছে যেমন: ডেস্পারেটলি সিকিং ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টাল প্রফেশনালস ইন বাংলাদেশ। এই গ্রুপগুলোতে গবেষণা সম্পর্কিত চাকরির বিজ্ঞাপনগুলো পোস্ট করা হয়ে থাকে। তা ছাড়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ক্যারিয়ার ওয়েবসাইট রয়েছে, যা থেকে আপনি সহজেই আবেদন করতে পারেন। গবেষণা সংস্থাগুলোতে ওপেনিং না থাকলেও আপনি সিভি এবং কভার লেটার দিয়ে রাখতে পারেন। পরবর্তী সময়ে কোনো সুযোগ থাকলে তারা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
ক্যারিয়ার হিসেবে কেন গবেষণা কেন
আপনি যদি দেশের বাইরে উচ্চতর শিক্ষা বা পেশা গ্রহণে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন, এটি আপনাকে দারুণভাবে সাহায্য করবে, এমনকি স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রেও। তা ছাড়া গবেষণায় কাজ করে আপনি তৃপ্তি ও আনন্দ পাবেন এই ভেবে যে, আপনি সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন। গবেষণায় আপনি যে নতুন নতুন তথ্য ও গল্পের সন্ধান পাবেন, তা আপনার পেশাগত ও ব্যক্তিগত সত্তাকে সমৃদ্ধ করবে।
আফসানা আলম
গবেষণা সহযোগী, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
গবেষণা শব্দটি কেমন যেন ভীষণ গুরুগম্ভীর। তবে এই সিরিয়াস বিষয়টি কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বেশ মজারও। যেমন, একটি বিষয় সবাই এক রকম ভাবে; কিন্তু দেখলেন সেটি একদম অন্য রকম। অনেকটা কিছু একটা আবিষ্কার করে ফেলার মতো।
গবেষণা শব্দটির সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় সন্ধিবিচ্ছেদে। গো+এষণা মানে আসলে কী, তা ঠিক বুঝিনি তখন। তবে এখন বলা যায়, না, এটি গরু (গো) খোঁজার (এষণা) মতো এত বেশি কঠিন নয়। গরু যেমন দিগ্বিদিক হয়ে খুঁজতে হয়, গবেষণায় এমন অথই সাগরে আপনাকে পড়তে হবে না। আপনি জানবেন কীভাবে কোথায় আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
ক্যারিয়ার নির্বাচন
ক্যারিয়ার নির্বাচন করা সহজ নয়। ছোটবেলায় জীবনের লক্ষ্য রচনার মতো কী হতে চাই ভেবে ফেলা পর্যন্তই শেষ নয়, এখানে বরং তার জন্য প্রয়োজন সিদ্ধান্ত গ্রহণ, প্রস্তুতি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা। আপনাকে প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে–আপনি আসলেই গবেষক হতে চান কি না। এই দিকটায় আপনার ভালোলাগা, আগ্রহ বা জানাশোনা কতখানি।
এগিয়ে রাখুন
এখানে দুটি বিষয় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা সম্পর্কিত একাডেমিক জ্ঞান আর কাজের অভিজ্ঞতা।
স্নাতক পর্যায়ে সব বিভাগেই গবেষণা পদ্ধতিবিষয়ক এক বা একাধিক কোর্স থাকে, যেখানে গবেষণা বিষয়ে প্রাথমিক ধারণাগুলো দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এই বিষয়ে আরও জানতে চাইলে তার অনেক মাধ্যম আছে। বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফরম গবেষণা সম্পর্কিত শর্ট কোর্স, সেমিনার, ওয়ার্কশপ করিয়ে থাকে। ইন্টারনেটেও এই সম্পর্কিত প্রচুর রিসোর্চ রয়েছে, যা থেকে আপনি প্রায় সবকিছুই জানতে পারবেন।
গবেষণায় কাজের অভিজ্ঞতা আপনাকে অনেকখানি এগিয়ে রাখবে। যেমন, শিক্ষার্থী থাকাকালীনই বিভিন্ন গবেষণায় কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া, তথ্য সংগ্রহ, জরিপ, সাক্ষাৎকার বা অনুবাদ করা। বর্তমানে এই ধরনের সুযোগ অনেক বেশি। বিভিন্ন সংস্থা খণ্ডকালীন গবেষণা সহকারী নিয়ে থাকে বা এই বিষয়ে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দিয়ে থাকে।
এ ছাড়া পত্রিকা বা পাবলিক প্ল্যাটফরমে লেখালেখি করা, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া, স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রমও আপনাকে এগিয়ে রাখবে অন্যদের চেয়ে।
সিভিতে কী কী থাকবে
সিভিতে একাডেমিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি গবেষণা, ইন্টার্নশিপ, লেখালেখি সম্পর্কিত যেকোনো কাজের অভিজ্ঞতা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করুন। ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ, সেমিনার, লিডারশিপ, স্বেচ্ছাসেবক কাজগুলোর তালিকা করুন। এ ছাড়া ভাষাগত দক্ষতাও যোগ করুন। এমন রেফারেন্স উল্লেখ করবেন, যাঁরা আপনার গবেষণা সম্পর্কিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন।
গবেষণা সম্পর্কিত চাকরির খোঁজ
প্রযুক্তির সুবিধার কারণে এই বিষয়টি এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। চাকরি সম্পর্কিত বিভিন্ন পোর্টাল রয়েছে। যেমন, বিডি জবসে রিসার্চ সেকশন সিলেক্ট করলে সেই সম্পর্কিত সব চাকরির বিস্তারিত চলে আসবে। তা ছাড়া ফেসবুকেও কিছু গ্রুপ রয়েছে যেমন: ডেস্পারেটলি সিকিং ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টাল প্রফেশনালস ইন বাংলাদেশ। এই গ্রুপগুলোতে গবেষণা সম্পর্কিত চাকরির বিজ্ঞাপনগুলো পোস্ট করা হয়ে থাকে। তা ছাড়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ক্যারিয়ার ওয়েবসাইট রয়েছে, যা থেকে আপনি সহজেই আবেদন করতে পারেন। গবেষণা সংস্থাগুলোতে ওপেনিং না থাকলেও আপনি সিভি এবং কভার লেটার দিয়ে রাখতে পারেন। পরবর্তী সময়ে কোনো সুযোগ থাকলে তারা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
ক্যারিয়ার হিসেবে কেন গবেষণা কেন
আপনি যদি দেশের বাইরে উচ্চতর শিক্ষা বা পেশা গ্রহণে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন, এটি আপনাকে দারুণভাবে সাহায্য করবে, এমনকি স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রেও। তা ছাড়া গবেষণায় কাজ করে আপনি তৃপ্তি ও আনন্দ পাবেন এই ভেবে যে, আপনি সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন। গবেষণায় আপনি যে নতুন নতুন তথ্য ও গল্পের সন্ধান পাবেন, তা আপনার পেশাগত ও ব্যক্তিগত সত্তাকে সমৃদ্ধ করবে।
আফসানা আলম
গবেষণা সহযোগী, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আজ সোমবার ঢাকার নিশাতনগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিন শিন গ্রুপ এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সহযোগিতা
২ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শুধু শিক্ষার্থীরা না বহু সংগঠন ঢাকা শহরে আন্দোলন করছে। তাঁরা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছে, এর সমাধান কী করে হবে, আমি তো একা সমাধান করতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমাদ
৩ ঘণ্টা আগেপ্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
১৩ ঘণ্টা আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
১৪ ঘণ্টা আগে