রাহুল শর্মা, ঢাকা

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ‘অতিরঞ্জিত’ চিত্র। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানানো হয়। এ কারণে চলতি বছরের চেয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বাতিল করা নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে একেকটি শ্রেণির জন্য ১০টি বিষয় ছিল। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বিষয় আরও বেশি। যেমন পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিকে বইয়ের সংখ্যা ২৩ (সব কটি সবার জন্য নয়)। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ায় আবার ছাপা হচ্ছে আরবি, সংস্কৃত, পালি ভাষা শিক্ষা বই।
পাঠ্যপুস্তকে নানা পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ইতিহাসে যাঁর যাঁর যে স্থান বা ভূমিকা, সেটাই আমরা নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এ জন্য পরিমার্জনের সঙ্গে জড়িত লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।’
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। এনসিটিবি সূত্র বলছে, পাঠ্যবইয়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হয়েছে। আর বাদ যাচ্ছে বইয়ের শেষ কভারে লেখা শেখ হাসিনার ছবিসংবলিত বাণী। একই সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিটিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতার অবদান। আর বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত কবিতাসহ কিছু ‘অতিরঞ্জিত’ ইতিহাস ও তথ্যগত ভুল। এ ছাড়া অনেক বইয়ের ছবিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শ্রেণির সব বইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় জুলাই অভ্যত্থানের গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে। যেমন: দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ের গ্রাফিতিতে লেখা আছে, ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’। আর উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’। একই শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের গ্রাফিতিতে রয়েছে, ‘পিপলস ইজ পাওয়ার’ ও উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘ডু নট টেল এ লাই’। এভাবে প্রতি শ্রেণির বইয়ে নতুন নতুন গ্রাফিতি ও উক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর একই সঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রতিটি বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে গল্প, লেখা অথবা কার্টুন যুক্ত করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ দু-একজনের কথাও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে গত ১৬ জুলাই রংপুরে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়ে যান তিনি।

বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
তবে বছরের মাত্র এক মাস বাকি থাকলেও এখনো পাঠ্যবই বিতরণের কাজ শুরু এবং দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি এনসিটিবি। ফলে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র জানান, এখনো নবম শ্রেণির দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। আর যেসব শ্রেণির দরপত্র আহ্বানসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, সেগুলোরও বই ছাপার অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পোস্ট ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) সম্পূর্ণ হয়নি। সব মিলিয়ে জানুয়ারিতে সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এবার অনেক দেরিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ জন্যই বই ছাপা ও বিতরণে দেরি হচ্ছে। আগের বছরগুলোয় এ সময়ে অন্তত ৪০ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে চলে যেত।
সব মিলিয়ে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আগামী মার্চের আগে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে নির্দিষ্ট কিছু মিল থেকে কাগজ কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তাঁরা জানান, এনসিটিবির গুটিকয়েক কর্মকর্তা তাঁদের পছন্দের ৪-৫টি কাগজের মিল থেকে কাগজ কিনতে বলছেন। না হলে পিডিআইতে নেগেটিভ প্রতিবেদন দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল হাসান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ কারও বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ‘অতিরঞ্জিত’ চিত্র। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানানো হয়। এ কারণে চলতি বছরের চেয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বাতিল করা নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে একেকটি শ্রেণির জন্য ১০টি বিষয় ছিল। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বিষয় আরও বেশি। যেমন পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিকে বইয়ের সংখ্যা ২৩ (সব কটি সবার জন্য নয়)। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ায় আবার ছাপা হচ্ছে আরবি, সংস্কৃত, পালি ভাষা শিক্ষা বই।
পাঠ্যপুস্তকে নানা পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ইতিহাসে যাঁর যাঁর যে স্থান বা ভূমিকা, সেটাই আমরা নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এ জন্য পরিমার্জনের সঙ্গে জড়িত লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।’
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। এনসিটিবি সূত্র বলছে, পাঠ্যবইয়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হয়েছে। আর বাদ যাচ্ছে বইয়ের শেষ কভারে লেখা শেখ হাসিনার ছবিসংবলিত বাণী। একই সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিটিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতার অবদান। আর বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত কবিতাসহ কিছু ‘অতিরঞ্জিত’ ইতিহাস ও তথ্যগত ভুল। এ ছাড়া অনেক বইয়ের ছবিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শ্রেণির সব বইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় জুলাই অভ্যত্থানের গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে। যেমন: দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ের গ্রাফিতিতে লেখা আছে, ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’। আর উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’। একই শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের গ্রাফিতিতে রয়েছে, ‘পিপলস ইজ পাওয়ার’ ও উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘ডু নট টেল এ লাই’। এভাবে প্রতি শ্রেণির বইয়ে নতুন নতুন গ্রাফিতি ও উক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর একই সঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রতিটি বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে গল্প, লেখা অথবা কার্টুন যুক্ত করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ দু-একজনের কথাও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে গত ১৬ জুলাই রংপুরে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়ে যান তিনি।

বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
তবে বছরের মাত্র এক মাস বাকি থাকলেও এখনো পাঠ্যবই বিতরণের কাজ শুরু এবং দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি এনসিটিবি। ফলে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র জানান, এখনো নবম শ্রেণির দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। আর যেসব শ্রেণির দরপত্র আহ্বানসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, সেগুলোরও বই ছাপার অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পোস্ট ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) সম্পূর্ণ হয়নি। সব মিলিয়ে জানুয়ারিতে সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এবার অনেক দেরিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ জন্যই বই ছাপা ও বিতরণে দেরি হচ্ছে। আগের বছরগুলোয় এ সময়ে অন্তত ৪০ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে চলে যেত।
সব মিলিয়ে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আগামী মার্চের আগে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে নির্দিষ্ট কিছু মিল থেকে কাগজ কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তাঁরা জানান, এনসিটিবির গুটিকয়েক কর্মকর্তা তাঁদের পছন্দের ৪-৫টি কাগজের মিল থেকে কাগজ কিনতে বলছেন। না হলে পিডিআইতে নেগেটিভ প্রতিবেদন দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল হাসান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ কারও বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:
রাহুল শর্মা, ঢাকা

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ‘অতিরঞ্জিত’ চিত্র। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানানো হয়। এ কারণে চলতি বছরের চেয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বাতিল করা নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে একেকটি শ্রেণির জন্য ১০টি বিষয় ছিল। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বিষয় আরও বেশি। যেমন পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিকে বইয়ের সংখ্যা ২৩ (সব কটি সবার জন্য নয়)। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ায় আবার ছাপা হচ্ছে আরবি, সংস্কৃত, পালি ভাষা শিক্ষা বই।
পাঠ্যপুস্তকে নানা পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ইতিহাসে যাঁর যাঁর যে স্থান বা ভূমিকা, সেটাই আমরা নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এ জন্য পরিমার্জনের সঙ্গে জড়িত লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।’
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। এনসিটিবি সূত্র বলছে, পাঠ্যবইয়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হয়েছে। আর বাদ যাচ্ছে বইয়ের শেষ কভারে লেখা শেখ হাসিনার ছবিসংবলিত বাণী। একই সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিটিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতার অবদান। আর বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত কবিতাসহ কিছু ‘অতিরঞ্জিত’ ইতিহাস ও তথ্যগত ভুল। এ ছাড়া অনেক বইয়ের ছবিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শ্রেণির সব বইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় জুলাই অভ্যত্থানের গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে। যেমন: দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ের গ্রাফিতিতে লেখা আছে, ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’। আর উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’। একই শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের গ্রাফিতিতে রয়েছে, ‘পিপলস ইজ পাওয়ার’ ও উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘ডু নট টেল এ লাই’। এভাবে প্রতি শ্রেণির বইয়ে নতুন নতুন গ্রাফিতি ও উক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর একই সঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রতিটি বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে গল্প, লেখা অথবা কার্টুন যুক্ত করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ দু-একজনের কথাও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে গত ১৬ জুলাই রংপুরে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়ে যান তিনি।

বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
তবে বছরের মাত্র এক মাস বাকি থাকলেও এখনো পাঠ্যবই বিতরণের কাজ শুরু এবং দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি এনসিটিবি। ফলে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র জানান, এখনো নবম শ্রেণির দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। আর যেসব শ্রেণির দরপত্র আহ্বানসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, সেগুলোরও বই ছাপার অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পোস্ট ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) সম্পূর্ণ হয়নি। সব মিলিয়ে জানুয়ারিতে সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এবার অনেক দেরিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ জন্যই বই ছাপা ও বিতরণে দেরি হচ্ছে। আগের বছরগুলোয় এ সময়ে অন্তত ৪০ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে চলে যেত।
সব মিলিয়ে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আগামী মার্চের আগে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে নির্দিষ্ট কিছু মিল থেকে কাগজ কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তাঁরা জানান, এনসিটিবির গুটিকয়েক কর্মকর্তা তাঁদের পছন্দের ৪-৫টি কাগজের মিল থেকে কাগজ কিনতে বলছেন। না হলে পিডিআইতে নেগেটিভ প্রতিবেদন দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল হাসান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ কারও বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ‘অতিরঞ্জিত’ চিত্র। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানানো হয়। এ কারণে চলতি বছরের চেয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বাতিল করা নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে একেকটি শ্রেণির জন্য ১০টি বিষয় ছিল। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বিষয় আরও বেশি। যেমন পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিকে বইয়ের সংখ্যা ২৩ (সব কটি সবার জন্য নয়)। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ায় আবার ছাপা হচ্ছে আরবি, সংস্কৃত, পালি ভাষা শিক্ষা বই।
পাঠ্যপুস্তকে নানা পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ইতিহাসে যাঁর যাঁর যে স্থান বা ভূমিকা, সেটাই আমরা নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এ জন্য পরিমার্জনের সঙ্গে জড়িত লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।’
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। এনসিটিবি সূত্র বলছে, পাঠ্যবইয়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হয়েছে। আর বাদ যাচ্ছে বইয়ের শেষ কভারে লেখা শেখ হাসিনার ছবিসংবলিত বাণী। একই সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিটিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতার অবদান। আর বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত কবিতাসহ কিছু ‘অতিরঞ্জিত’ ইতিহাস ও তথ্যগত ভুল। এ ছাড়া অনেক বইয়ের ছবিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শ্রেণির সব বইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় জুলাই অভ্যত্থানের গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে। যেমন: দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ের গ্রাফিতিতে লেখা আছে, ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’। আর উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’। একই শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের গ্রাফিতিতে রয়েছে, ‘পিপলস ইজ পাওয়ার’ ও উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘ডু নট টেল এ লাই’। এভাবে প্রতি শ্রেণির বইয়ে নতুন নতুন গ্রাফিতি ও উক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর একই সঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রতিটি বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে গল্প, লেখা অথবা কার্টুন যুক্ত করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ দু-একজনের কথাও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে গত ১৬ জুলাই রংপুরে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়ে যান তিনি।

বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
তবে বছরের মাত্র এক মাস বাকি থাকলেও এখনো পাঠ্যবই বিতরণের কাজ শুরু এবং দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি এনসিটিবি। ফলে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র জানান, এখনো নবম শ্রেণির দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। আর যেসব শ্রেণির দরপত্র আহ্বানসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, সেগুলোরও বই ছাপার অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পোস্ট ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) সম্পূর্ণ হয়নি। সব মিলিয়ে জানুয়ারিতে সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এবার অনেক দেরিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ জন্যই বই ছাপা ও বিতরণে দেরি হচ্ছে। আগের বছরগুলোয় এ সময়ে অন্তত ৪০ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে চলে যেত।
সব মিলিয়ে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আগামী মার্চের আগে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে নির্দিষ্ট কিছু মিল থেকে কাগজ কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তাঁরা জানান, এনসিটিবির গুটিকয়েক কর্মকর্তা তাঁদের পছন্দের ৪-৫টি কাগজের মিল থেকে কাগজ কিনতে বলছেন। না হলে পিডিআইতে নেগেটিভ প্রতিবেদন দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল হাসান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ কারও বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:

আয়োজকেরা জানান, এ বছর সম্মেলনে এআই সহযোগিতা, সাইবার সিকিউরিটি, রেজিলিয়েন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিস্টেম, আইওটি ও উন্নত অটোমেশন, গ্রিন টেকনোলজি, সার্কুলার ইকোনমি, পোস্ট-প্যান্ডেমিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রান্সফরমেশনসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে মূল বক্তব্য, গবেষণা উপস্থাপনা, কর্মশালা ও প্যানেল আলোচনা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগে ফল সেমিস্টার–২০২৫-এ ভর্তি হওয়া ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবের উদ্যোগে সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির বনমায়া প্রাঙ্গণে এ আয়োজন অনুষ্ঠি
২ ঘণ্টা আগে
উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ফিনল্যান্ডের দ্বার খুলেছে। দেশটির অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ঘোষণা করেছে সম্মানজনক বৃত্তি কর্মসূচি। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবে
৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবর্তন উদ্বোধন করেন। তিনি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্ব করে
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিল্পের জন্য টেকসই প্রযুক্তির উন্নয়নে আন্তর্জাতিক গবেষকদের সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে সপ্তম আই-ইইই ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই) ৫.০’ আন্তর্জাতিক সম্মেলন। আগামী ১১-১২ ডিসেম্বর পূর্বাচলের আমেরিকান সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজকেরা।
আয়োজকেরা জানান, এ বছর সম্মেলনে এআই সহযোগিতা, সাইবার সিকিউরিটি, রেজিলিয়েন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিস্টেম, আইওটি ও উন্নত অটোমেশন, গ্রিন টেকনোলজি, সার্কুলার ইকোনমি, পোস্ট-প্যান্ডেমিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রান্সফরমেশনসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে মূল বক্তব্য, গবেষণা উপস্থাপনা, কর্মশালা ও প্যানেল আলোচনা হবে।
আয়োজক আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে প্রথম এসটিআই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে ২০টির বেশি দেশের গবেষক অংশ নিলেও ২০২৪ সাল নাগাদ এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০।
সংবাদ সম্মেলনে জিইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, এআই যুগে প্রযুক্তিগত বিপ্লব ও সম্ভাব্য কর্মহীনতার আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে লাগসই শিল্পপ্রযুক্তি ও গবেষণানির্ভর সমাধানের কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিল্প খাত ও নীতিনির্ধারকদের সমন্বিত সহযোগিতার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি মানবিক উদ্ভাবন ও বাস্তব প্রয়োগ যোগ্যতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়া দরকার। গ্রিন ইউনিভার্সিটি সে দিকটি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। তা ছাড়া প্রতি বছরই সম্মেলনের গবেষণা প্রবন্ধ আই-ইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সিংয়ের মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্মেলনের মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ও সম্মেলনের পাবলিকেশন চেয়ার ড. মো. আহসান হাবীব জানান, টেকসই শিল্পপ্রযুক্তির গবেষণা ও প্রয়োগ বৃদ্ধিতেই এসটিআই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইলেকট্রনিকস, রোবোটিকস, সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেম, টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন খাতের গবেষণাকে শিল্পে প্রয়োগযোগ্য করে তোলাই এ প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য।
জিইউবির তড়িৎ ও বৈদ্যুতিন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এএসএম শিহাব উদ্দিন বলেন, এবারের সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে ৪৩৪টি গবেষণা পেপার জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১১৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপনার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচিত সেরা গবেষণাপত্রগুলোকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং সেগুলো আই-ইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সিংয়ে প্রকাশিত হবে।
তিনি জানান, ১১ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা। ১২ ডিসেম্বর সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান।
সম্মেলনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কি-নোট স্পিকার, শিল্প খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জিইউবি সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক ড. মো. অলিউর রহমান।

শিল্পের জন্য টেকসই প্রযুক্তির উন্নয়নে আন্তর্জাতিক গবেষকদের সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে সপ্তম আই-ইইই ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই) ৫.০’ আন্তর্জাতিক সম্মেলন। আগামী ১১-১২ ডিসেম্বর পূর্বাচলের আমেরিকান সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজকেরা।
আয়োজকেরা জানান, এ বছর সম্মেলনে এআই সহযোগিতা, সাইবার সিকিউরিটি, রেজিলিয়েন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিস্টেম, আইওটি ও উন্নত অটোমেশন, গ্রিন টেকনোলজি, সার্কুলার ইকোনমি, পোস্ট-প্যান্ডেমিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রান্সফরমেশনসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে মূল বক্তব্য, গবেষণা উপস্থাপনা, কর্মশালা ও প্যানেল আলোচনা হবে।
আয়োজক আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে প্রথম এসটিআই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে ২০টির বেশি দেশের গবেষক অংশ নিলেও ২০২৪ সাল নাগাদ এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০।
সংবাদ সম্মেলনে জিইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, এআই যুগে প্রযুক্তিগত বিপ্লব ও সম্ভাব্য কর্মহীনতার আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে লাগসই শিল্পপ্রযুক্তি ও গবেষণানির্ভর সমাধানের কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিল্প খাত ও নীতিনির্ধারকদের সমন্বিত সহযোগিতার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি মানবিক উদ্ভাবন ও বাস্তব প্রয়োগ যোগ্যতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়া দরকার। গ্রিন ইউনিভার্সিটি সে দিকটি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। তা ছাড়া প্রতি বছরই সম্মেলনের গবেষণা প্রবন্ধ আই-ইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সিংয়ের মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্মেলনের মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ও সম্মেলনের পাবলিকেশন চেয়ার ড. মো. আহসান হাবীব জানান, টেকসই শিল্পপ্রযুক্তির গবেষণা ও প্রয়োগ বৃদ্ধিতেই এসটিআই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইলেকট্রনিকস, রোবোটিকস, সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেম, টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন খাতের গবেষণাকে শিল্পে প্রয়োগযোগ্য করে তোলাই এ প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য।
জিইউবির তড়িৎ ও বৈদ্যুতিন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এএসএম শিহাব উদ্দিন বলেন, এবারের সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে ৪৩৪টি গবেষণা পেপার জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১১৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপনার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচিত সেরা গবেষণাপত্রগুলোকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং সেগুলো আই-ইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সিংয়ে প্রকাশিত হবে।
তিনি জানান, ১১ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা। ১২ ডিসেম্বর সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান।
সম্মেলনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কি-নোট স্পিকার, শিল্প খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জিইউবি সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক ড. মো. অলিউর রহমান।

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা
৩০ নভেম্বর ২০২৪
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগে ফল সেমিস্টার–২০২৫-এ ভর্তি হওয়া ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবের উদ্যোগে সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির বনমায়া প্রাঙ্গণে এ আয়োজন অনুষ্ঠি
২ ঘণ্টা আগে
উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ফিনল্যান্ডের দ্বার খুলেছে। দেশটির অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ঘোষণা করেছে সম্মানজনক বৃত্তি কর্মসূচি। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবে
৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবর্তন উদ্বোধন করেন। তিনি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্ব করে
১৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগে ফল সেমিস্টার–২০২৫-এ ভর্তি হওয়া ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবের উদ্যোগে সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির বনমায়া প্রাঙ্গণে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল কাবিল খান জামিল। শুরুতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবের পক্ষ থেকে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াদুস সালেহীন শৌভিক ও সাবাবা খাদিজা হক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গ্রেগরি জন সাইমন, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও সহকারী অধ্যাপক অমিত চক্রবর্তী, বিভাগের প্রভাষক ইহা অবাপ্তি, মেহেরাবুল হক রাফি, মেহেরুন নাহার, ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবের সভাপতি তামান্না ইয়াসমিন মারিয়া, সাধারণ সম্পাদক ইশরাক আলমসহ প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগ একটি সৃজনশীল ও সম্ভাবনাময় শিক্ষাক্ষেত্র, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিভা বিকাশের পাশাপাশি বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পায়। চার বছরের বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে পাঠের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় থাকার মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জাতির প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য তারা নবীনদের উৎসাহিত করেন। শিক্ষার্থীদের যেকোনো ইতিবাচক উদ্যোগ ও দক্ষতা উন্নয়নে সবসময় পাশে থাকার আশ্বাসও দেন শিক্ষকেরা।
নবীন শিক্ষার্থীরা বলেন, এমন আন্তরিক ও প্রাণবন্ত আয়োজন তাদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। শিক্ষকবৃন্দের দিকনির্দেশনা এবং জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুটিকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। তারা প্রত্যাশা করেন যে সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়ন শেষে দক্ষ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবেন।
আলোচনা পর্ব শেষে নবীন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় গান, নৃত্যসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ‘নব্যপ্রভা’-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগে ফল সেমিস্টার–২০২৫-এ ভর্তি হওয়া ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবের উদ্যোগে সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির বনমায়া প্রাঙ্গণে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল কাবিল খান জামিল। শুরুতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবের পক্ষ থেকে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াদুস সালেহীন শৌভিক ও সাবাবা খাদিজা হক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গ্রেগরি জন সাইমন, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও সহকারী অধ্যাপক অমিত চক্রবর্তী, বিভাগের প্রভাষক ইহা অবাপ্তি, মেহেরাবুল হক রাফি, মেহেরুন নাহার, ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবের সভাপতি তামান্না ইয়াসমিন মারিয়া, সাধারণ সম্পাদক ইশরাক আলমসহ প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগ একটি সৃজনশীল ও সম্ভাবনাময় শিক্ষাক্ষেত্র, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিভা বিকাশের পাশাপাশি বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পায়। চার বছরের বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে পাঠের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় থাকার মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জাতির প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য তারা নবীনদের উৎসাহিত করেন। শিক্ষার্থীদের যেকোনো ইতিবাচক উদ্যোগ ও দক্ষতা উন্নয়নে সবসময় পাশে থাকার আশ্বাসও দেন শিক্ষকেরা।
নবীন শিক্ষার্থীরা বলেন, এমন আন্তরিক ও প্রাণবন্ত আয়োজন তাদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। শিক্ষকবৃন্দের দিকনির্দেশনা এবং জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুটিকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। তারা প্রত্যাশা করেন যে সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়ন শেষে দক্ষ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবেন।
আলোচনা পর্ব শেষে নবীন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় গান, নৃত্যসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ‘নব্যপ্রভা’-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা
৩০ নভেম্বর ২০২৪
আয়োজকেরা জানান, এ বছর সম্মেলনে এআই সহযোগিতা, সাইবার সিকিউরিটি, রেজিলিয়েন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিস্টেম, আইওটি ও উন্নত অটোমেশন, গ্রিন টেকনোলজি, সার্কুলার ইকোনমি, পোস্ট-প্যান্ডেমিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রান্সফরমেশনসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে মূল বক্তব্য, গবেষণা উপস্থাপনা, কর্মশালা ও প্যানেল আলোচনা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ফিনল্যান্ডের দ্বার খুলেছে। দেশটির অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ঘোষণা করেছে সম্মানজনক বৃত্তি কর্মসূচি। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবে
৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবর্তন উদ্বোধন করেন। তিনি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্ব করে
১৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ফিনল্যান্ডের দ্বার খুলেছে। দেশটির অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ঘোষণা করেছে সম্মানজনক বৃত্তি কর্মসূচি। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থী আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছেন না, তাঁদের জন্য এই বৃত্তি হতে পারে ইউরোপে পড়াশোনার এক স্বর্ণালী সুযোগ।
ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি ফিনল্যান্ডের সবচেয়ে প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। ১৬৪০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে নিয়মিতভাবে শীর্ষস্থান দখল করা এ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানসম্মত শিক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত।
সুযোগ-সুবিধা: ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কিতে পড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এই বৃত্তি কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা তাঁদের টিউশন ফির ৫০ বা ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন। সাধারণত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক টিউশন ফি ১৩ হাজার থেকে ১৮ হাজার ইউরোর মধ্যে হয়ে থাকে, যা এই স্কলারশিপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা অর্জনের পথ আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।
আবেদনের যোগ্যতা: বৃত্তিটির জন্য আবেদনে আগ্রহী প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীদের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরের দেশের শিক্ষার্থী হতে হবে। আবেদনকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তিযোগ্য হতে হবে। প্রার্থীকে ফিনল্যান্ডে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় স্টুডেন্ট ভিসা ও রেসিডেন্স পারমিটের শর্তও পূরণ করতে হবে। প্রার্থীর অবশ্যই ভালো ফলসহ স্নাতক (ব্যাচেলর) ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া যাঁদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাঁদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইংরেজি ভাষা পরীক্ষার সনদ থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য: ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কির স্কলারশিপে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে ডিগ্রির ট্রান্সক্রিপ্ট, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদ (টোয়েফল বা আইইএলটিএস), পরিচয় নিশ্চিত করতে পাসপোর্টের কপি এবং নিজের শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতার বিস্তারিত তুলে ধরতে একটি হালনাগাদ জীবনবৃত্তান্ত। এসব নথি সঠিক ও সম্পূর্ণভাবে জমা দিয়ে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো: বিজ্ঞান অনুষদ, জীববিজ্ঞান ও পরিবেশ বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মানবিক ও ভাষাবিজ্ঞান, আইন অনুষদ, শিক্ষা ও মনোবিজ্ঞান, কৃষি ও বনবিদ্যা ও চিকিৎসাবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদ। প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে অন্তত ৫-৭টি বিভাগ। বৃত্তির শর্ত ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ অনুযায়ী নিজের পছন্দের অনুষদ ও বিভাগ বেছে নেওয়া যাবে।
আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৬ জানুয়ারি, ২০২৬

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ফিনল্যান্ডের দ্বার খুলেছে। দেশটির অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ঘোষণা করেছে সম্মানজনক বৃত্তি কর্মসূচি। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থী আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছেন না, তাঁদের জন্য এই বৃত্তি হতে পারে ইউরোপে পড়াশোনার এক স্বর্ণালী সুযোগ।
ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি ফিনল্যান্ডের সবচেয়ে প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। ১৬৪০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে নিয়মিতভাবে শীর্ষস্থান দখল করা এ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানসম্মত শিক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত।
সুযোগ-সুবিধা: ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কিতে পড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এই বৃত্তি কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা তাঁদের টিউশন ফির ৫০ বা ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন। সাধারণত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক টিউশন ফি ১৩ হাজার থেকে ১৮ হাজার ইউরোর মধ্যে হয়ে থাকে, যা এই স্কলারশিপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা অর্জনের পথ আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।
আবেদনের যোগ্যতা: বৃত্তিটির জন্য আবেদনে আগ্রহী প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীদের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরের দেশের শিক্ষার্থী হতে হবে। আবেদনকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তিযোগ্য হতে হবে। প্রার্থীকে ফিনল্যান্ডে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় স্টুডেন্ট ভিসা ও রেসিডেন্স পারমিটের শর্তও পূরণ করতে হবে। প্রার্থীর অবশ্যই ভালো ফলসহ স্নাতক (ব্যাচেলর) ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া যাঁদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাঁদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইংরেজি ভাষা পরীক্ষার সনদ থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য: ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কির স্কলারশিপে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে ডিগ্রির ট্রান্সক্রিপ্ট, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদ (টোয়েফল বা আইইএলটিএস), পরিচয় নিশ্চিত করতে পাসপোর্টের কপি এবং নিজের শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতার বিস্তারিত তুলে ধরতে একটি হালনাগাদ জীবনবৃত্তান্ত। এসব নথি সঠিক ও সম্পূর্ণভাবে জমা দিয়ে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো: বিজ্ঞান অনুষদ, জীববিজ্ঞান ও পরিবেশ বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মানবিক ও ভাষাবিজ্ঞান, আইন অনুষদ, শিক্ষা ও মনোবিজ্ঞান, কৃষি ও বনবিদ্যা ও চিকিৎসাবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদ। প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে অন্তত ৫-৭টি বিভাগ। বৃত্তির শর্ত ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ অনুযায়ী নিজের পছন্দের অনুষদ ও বিভাগ বেছে নেওয়া যাবে।
আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৬ জানুয়ারি, ২০২৬

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা
৩০ নভেম্বর ২০২৪
আয়োজকেরা জানান, এ বছর সম্মেলনে এআই সহযোগিতা, সাইবার সিকিউরিটি, রেজিলিয়েন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিস্টেম, আইওটি ও উন্নত অটোমেশন, গ্রিন টেকনোলজি, সার্কুলার ইকোনমি, পোস্ট-প্যান্ডেমিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রান্সফরমেশনসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে মূল বক্তব্য, গবেষণা উপস্থাপনা, কর্মশালা ও প্যানেল আলোচনা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগে ফল সেমিস্টার–২০২৫-এ ভর্তি হওয়া ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবের উদ্যোগে সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির বনমায়া প্রাঙ্গণে এ আয়োজন অনুষ্ঠি
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবর্তন উদ্বোধন করেন। তিনি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্ব করে
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবর্তন উদ্বোধন করেন। তিনি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্ব করে গ্র্যাজুয়েট ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করেন।
সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি সদস্য ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এ ছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এম শামসুল আলম লিটন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, লেখক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জুলাই আন্দোলনের আত্মত্যাগ নতুন বাংলাদেশের পথ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব জ্ঞানচর্চা ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেওয়া, যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সম্ভব।
সমাবর্তন বক্তা ড. মিলন নব-গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ নয়, বরং নতুন যাত্রার শুরু। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে টিকে থাকতে হলে দক্ষতা, অধ্যবসায় ও মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন জরুরি।
ইউজিসি সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, অতীশ দীপঙ্করের আদর্শ অনুসরণ করে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতের উপযোগী নাগরিক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম কারিকুলামের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন বলেন, দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৪০ লাখ হলেও অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় যুগোপযোগী শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (এসডিআই) প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা ও ভোকেশনাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এবারের সমাবর্তনে মোট ২ হাজার ৩২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছয়জন চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড, পাঁচজন বিওটি চেয়ারম্যানস অ্যাওয়ার্ড এবং ১৬ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় ভাইস চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড। ইউজিসির চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট ও মেডেল তুলে দেন।

রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবর্তন উদ্বোধন করেন। তিনি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্ব করে গ্র্যাজুয়েট ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করেন।
সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি সদস্য ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এ ছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এম শামসুল আলম লিটন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, লেখক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জুলাই আন্দোলনের আত্মত্যাগ নতুন বাংলাদেশের পথ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব জ্ঞানচর্চা ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেওয়া, যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সম্ভব।
সমাবর্তন বক্তা ড. মিলন নব-গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ নয়, বরং নতুন যাত্রার শুরু। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে টিকে থাকতে হলে দক্ষতা, অধ্যবসায় ও মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন জরুরি।
ইউজিসি সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, অতীশ দীপঙ্করের আদর্শ অনুসরণ করে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতের উপযোগী নাগরিক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম কারিকুলামের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন বলেন, দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৪০ লাখ হলেও অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় যুগোপযোগী শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (এসডিআই) প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা ও ভোকেশনাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এবারের সমাবর্তনে মোট ২ হাজার ৩২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছয়জন চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড, পাঁচজন বিওটি চেয়ারম্যানস অ্যাওয়ার্ড এবং ১৬ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় ভাইস চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড। ইউজিসির চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট ও মেডেল তুলে দেন।

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা
৩০ নভেম্বর ২০২৪
আয়োজকেরা জানান, এ বছর সম্মেলনে এআই সহযোগিতা, সাইবার সিকিউরিটি, রেজিলিয়েন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিস্টেম, আইওটি ও উন্নত অটোমেশন, গ্রিন টেকনোলজি, সার্কুলার ইকোনমি, পোস্ট-প্যান্ডেমিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রান্সফরমেশনসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে মূল বক্তব্য, গবেষণা উপস্থাপনা, কর্মশালা ও প্যানেল আলোচনা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগে ফল সেমিস্টার–২০২৫-এ ভর্তি হওয়া ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবের উদ্যোগে সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির বনমায়া প্রাঙ্গণে এ আয়োজন অনুষ্ঠি
২ ঘণ্টা আগে
উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ফিনল্যান্ডের দ্বার খুলেছে। দেশটির অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ঘোষণা করেছে সম্মানজনক বৃত্তি কর্মসূচি। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবে
৭ ঘণ্টা আগে