মো. আশিকুর রহমান
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজশাহী বিভাগের অবস্থান। সবুজ এই বিভাগে রয়েছে বরেন্দ্রভূমি। এ অঞ্চলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব ও বায়ুদূষণমুক্ত শহর রাজশাহী, যা শিক্ষানগরী নামে অধিক পরিচিত। রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে ২০১২ সালের ১৪ মার্চ প্রতিষ্ঠা করা হয় এ অঞ্চলের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস শুরু হয় ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ৫ হাজার ৮৮২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
স্থায়ী ক্যাম্পাস
২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। রাজশাহী বাইপাসের সন্নিকটে খড়খড়িতে ইতিমধ্যে ৪৫ বিঘা জমিতে নির্মাণকাজ চলমান। তবে কাজ শেষে মোট জমির পরিমাণ হবে ৫৪ বিঘা। আগামী বছরের শুরু থেকেই এখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে থাকবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্লাসরুম, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, জিমনেসিয়ামসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধা।
ভর্তি হতে চাইলে
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বছরে তিন সেমিস্টারে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। স্প্রিং (জানুয়ারি-এপ্রিল, সামার (মে-আগস্ট) ও ফল (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)। তবে ফার্মেসি বিভাগে দুই সেমিস্টারে ভর্তি করানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিবছর ৩ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থীকে ৪ কোটি টাকার বেশি অর্থের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।
অনুষদ ও বিভাগ
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে ৭টি অনুষদের অধীনে মোট ১১টি বিভাগ। এগুলো হচ্ছে: মানবিক অনুষদ, ব্যবসায় অনুষদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ, আইন অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, জনস্বাস্থ্য অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। বিভাগগুলো হচ্ছে—কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, পাবলিক হেলথ, ব্যবসায় প্রশাসন, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি, আইন ও মানবাধিকার, জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ এবং ইসলামিক ইতিহাস। মাস্টার্স প্রোগ্রামে এলএলএম, এমপিএইচ, এমবিএ ও ইএমবিএ, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও কম্পিউটারে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, পুলিশ ক্রাইম ক্রিমিনোলজি বিভাগ থেকে শুরু করে ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইত্যাদি যুগোপযোগী বিভাগ খোলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ছাড়াও রয়েছে বিভাগভিত্তিক লাইব্রেরি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনভিত্তিক পাঠ্যপুস্তকের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত কম্পিউটার ল্যাব, ফার্মাসি ল্যাব, ইইই ল্যাব, জেসিএমএস ইনফোস্মিথস ল্যাবসহ ১৮টি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি। ক্যারিয়ার সেন্টারের বিভিন্ন শর্টকোর্সসহ নানাবিধ সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের জন্য নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রস্তুতের সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ১৩৪ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক। এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৪ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক বিভিন্ন বিভাগে পাঠদান করে থাকেন। এখানে সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তিনির্ভর মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয়।
সংগঠন
প্রতিটি বিভাগের নিজস্ব ক্লাব বিশ্ববিদ্যালয়কে করেছে সমৃদ্ধ। ক্লাবগুলোতে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক বিতর্ক, আলোচনা, সেমিনার ও গ্রুপ স্টাডিতে ব্যস্ত থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে বরেন্দ্র ব্লাড লাইন, রোবটিক সোসাইটি, বিজনেস ক্লাব, সোশিওলজি ক্লাব, ছোট্ট স্বপ্ন, কালচারাল ক্লাব, ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, ফার্মা বি, বন্ধুসভা, মুট কোর্ট ও ডিবেটিং ক্লাব, ফটোগ্রাফিক ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আত্মোন্নয়মূলক সংগঠন।
অর্জন ও উদ্যোগ
২০১৬ সালে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত রোবট কমপিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক সোসাইটি। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও টিআইবির যৌথ আয়োজনে মুটকোর্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২২ সালে রুয়েট কর্তৃক আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অন আইসিটি প্রতিযোগিতায় প্রজেক্ট কমপিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে ইইই বিভাগের একটি টিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই টিম বুয়েট হ্যাকাথনে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক নানা কর্মকাণ্ডেও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। এ ছাড়া প্রতিবছর বার্ষিক বনভোজন, শিক্ষাসফর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটের মতো কার্যকরী উদ্যোগ। রাজশাহী বিভাগের আমেরিকান সেন্টারের অবস্থানও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশে সহায়ক।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আশিক মোসাদ্দিক বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলা যেন সহজভাবে আমরা করতে পারি এবং পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, সে জন্য আমরা বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের প্রস্তুত করছি। দেশের শিক্ষা-গবেষণার অগ্রযাত্রায় শামিল হয়ে আমাদের অবদান রাখতে চাই।
এ জন্য আমরা গবেষণাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। শিক্ষক-গবেষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও যেন পর্যাপ্ত সুযোগ পায়, এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীদের পরিবহন সুবিধার জন্য উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন সেবাকে আমরা বিস্তৃত করব। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। ভারত, থাইল্যান্ড ও ইউএসএর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। বিদেশি শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বিদেশি ফ্যাকাল্টিরও পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজশাহী বিভাগের অবস্থান। সবুজ এই বিভাগে রয়েছে বরেন্দ্রভূমি। এ অঞ্চলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব ও বায়ুদূষণমুক্ত শহর রাজশাহী, যা শিক্ষানগরী নামে অধিক পরিচিত। রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে ২০১২ সালের ১৪ মার্চ প্রতিষ্ঠা করা হয় এ অঞ্চলের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস শুরু হয় ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ৫ হাজার ৮৮২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
স্থায়ী ক্যাম্পাস
২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। রাজশাহী বাইপাসের সন্নিকটে খড়খড়িতে ইতিমধ্যে ৪৫ বিঘা জমিতে নির্মাণকাজ চলমান। তবে কাজ শেষে মোট জমির পরিমাণ হবে ৫৪ বিঘা। আগামী বছরের শুরু থেকেই এখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে থাকবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্লাসরুম, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, জিমনেসিয়ামসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধা।
ভর্তি হতে চাইলে
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বছরে তিন সেমিস্টারে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। স্প্রিং (জানুয়ারি-এপ্রিল, সামার (মে-আগস্ট) ও ফল (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)। তবে ফার্মেসি বিভাগে দুই সেমিস্টারে ভর্তি করানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিবছর ৩ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থীকে ৪ কোটি টাকার বেশি অর্থের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।
অনুষদ ও বিভাগ
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে ৭টি অনুষদের অধীনে মোট ১১টি বিভাগ। এগুলো হচ্ছে: মানবিক অনুষদ, ব্যবসায় অনুষদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ, আইন অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, জনস্বাস্থ্য অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। বিভাগগুলো হচ্ছে—কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, পাবলিক হেলথ, ব্যবসায় প্রশাসন, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি, আইন ও মানবাধিকার, জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ এবং ইসলামিক ইতিহাস। মাস্টার্স প্রোগ্রামে এলএলএম, এমপিএইচ, এমবিএ ও ইএমবিএ, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও কম্পিউটারে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, পুলিশ ক্রাইম ক্রিমিনোলজি বিভাগ থেকে শুরু করে ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইত্যাদি যুগোপযোগী বিভাগ খোলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ছাড়াও রয়েছে বিভাগভিত্তিক লাইব্রেরি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনভিত্তিক পাঠ্যপুস্তকের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত কম্পিউটার ল্যাব, ফার্মাসি ল্যাব, ইইই ল্যাব, জেসিএমএস ইনফোস্মিথস ল্যাবসহ ১৮টি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি। ক্যারিয়ার সেন্টারের বিভিন্ন শর্টকোর্সসহ নানাবিধ সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের জন্য নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রস্তুতের সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ১৩৪ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক। এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৪ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক বিভিন্ন বিভাগে পাঠদান করে থাকেন। এখানে সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তিনির্ভর মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয়।
সংগঠন
প্রতিটি বিভাগের নিজস্ব ক্লাব বিশ্ববিদ্যালয়কে করেছে সমৃদ্ধ। ক্লাবগুলোতে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক বিতর্ক, আলোচনা, সেমিনার ও গ্রুপ স্টাডিতে ব্যস্ত থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে বরেন্দ্র ব্লাড লাইন, রোবটিক সোসাইটি, বিজনেস ক্লাব, সোশিওলজি ক্লাব, ছোট্ট স্বপ্ন, কালচারাল ক্লাব, ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, ফার্মা বি, বন্ধুসভা, মুট কোর্ট ও ডিবেটিং ক্লাব, ফটোগ্রাফিক ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আত্মোন্নয়মূলক সংগঠন।
অর্জন ও উদ্যোগ
২০১৬ সালে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত রোবট কমপিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক সোসাইটি। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও টিআইবির যৌথ আয়োজনে মুটকোর্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২২ সালে রুয়েট কর্তৃক আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অন আইসিটি প্রতিযোগিতায় প্রজেক্ট কমপিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে ইইই বিভাগের একটি টিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই টিম বুয়েট হ্যাকাথনে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক নানা কর্মকাণ্ডেও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। এ ছাড়া প্রতিবছর বার্ষিক বনভোজন, শিক্ষাসফর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটের মতো কার্যকরী উদ্যোগ। রাজশাহী বিভাগের আমেরিকান সেন্টারের অবস্থানও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশে সহায়ক।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আশিক মোসাদ্দিক বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলা যেন সহজভাবে আমরা করতে পারি এবং পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, সে জন্য আমরা বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের প্রস্তুত করছি। দেশের শিক্ষা-গবেষণার অগ্রযাত্রায় শামিল হয়ে আমাদের অবদান রাখতে চাই।
এ জন্য আমরা গবেষণাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। শিক্ষক-গবেষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও যেন পর্যাপ্ত সুযোগ পায়, এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীদের পরিবহন সুবিধার জন্য উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন সেবাকে আমরা বিস্তৃত করব। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। ভারত, থাইল্যান্ড ও ইউএসএর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। বিদেশি শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বিদেশি ফ্যাকাল্টিরও পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’
পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শুধু শিক্ষার্থীরা না বহু সংগঠন ঢাকা শহরে আন্দোলন করছে। তাঁরা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছে, এর সমাধান কী করে হবে, আমি তো একা সমাধান করতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমাদ
১ ঘণ্টা আগেপ্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
১১ ঘণ্টা আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
১১ ঘণ্টা আগেইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের মেকাট্রনিক্স ক্লাব আয়োজিত ও ইইই ডিপার্টমেন্ট পরিচালিত ‘বিয়ন্ড বাউন্ডারিস-২৪’ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন
১৮ ঘণ্টা আগে